ঢাকা ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগর পরিবহনে যুক্ত হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রাম মহানগরে পরিবহন বহরে যুক্ত হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস সার্ভিস। ‘চট্টলা চাকা’ নামে বাসগুলো সড়কে নামানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এগুলো ‘শান্তি এক্সপ্রেস লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থার ব্যানারে।

প্রথম ধাপে সংস্থাটি ২০টি বাস নামানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে সড়কে বাসগুলোর চাকা ঘুরবে।

এদিকে, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন এলাকার যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি (আরটিসি) তিন শর্তে বাসগুলো নামানোর প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে।

শর্ত তিনটি হলো-প্রতিটি গাড়ি ৪০ সিটের হতে হবে। গাড়ি ছাড়ার শুরু এবং শেষ প্রান্তে অর্থাৎ কাপ্তাই রাস্তার মাথা এবং কাটগড় প্রান্তে বাস রাখার নিজস্ব ডিপো থাকতে হবে। ডিপো ভাড়া নেওয়ার চুক্তিপত্র বিআরটিএর কাছে জমা দিতে হবে। লোকাল যাত্রী বহন করা যাবে না।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান এ বিষয়ে জানান, শর্তসাপেক্ষে কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে কাটগড় পর্যন্ত এসি বাস নামানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে বাসগুলোকে রুট পারমিট দেওয়া হবে।

জানা গেছে, নগরীর ১৮ রুটে এক হাজার ৫৪৫টি বাস মিনিবাস চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হলেও এক হাজার ৪০টি গাড়ি চলাচল করছে। আরও ৫০৫টি বাস মিনিবাস চলাচল করতে পারবে রুটগুলোতে।

একইভাবে নগরীতে অটোটেম্পোর রুট রয়েছে ২১টি। রুট গুলোতে ২৩৯৭টি গাড়ি চলাচলের অনুমতি দিয়েছে আরটিসি। সেখানে রুট পারমিট নিয়েছে ১৮৩৯টি। আরও ৫৫৮টি অটোটেম্পোর রুট পারমিট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ১৮টি রুটে ১৪৫৬টি হিউম্যান হলার চলাচলের রুট পারমিট অনুমোদন দিয়েছে আরটিসি। সেখানে চলাচল করছে ৯৯৪টি। আরোও ৪৬২টি হিউম্যান হলার পারমিট নিতে পারবে।

এর বাইরেও প্রায় ২০০ বাস মিনিবাস আটশোর বেশি হিউম্যান হলার ও টেম্পো নগরীর বিভিন্ন সড়কে চলাচল করছে।

এর আগে ২০১৬ সালে প্রিমিয়ার ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি নগরীর ১৪ নম্বর রুটে ৬টি পরিবহন নিয়ে এসি বাস সার্ভিস চালু করেছিলো। তবে তা স্থায়ী হয়নি। কয়েক মাসের মধ্যে সড়ক থেকে তুলে নেয়া হয়।

২০১৯ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নগরীর তিনটি রুটে এসি বাস চালুর উদ্যোগ নেন। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এসব বাস চালুর জন্য কর্পোরেশনের ৫২তম সাধারণ সভায় সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছিলো। প্রথম দিকে তিনটি রুটে ১০০টি বাস নামানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়। এরমধ্যে কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা, ভাটিয়ারী থেকে লালদিঘি এবং নিউমার্কেট থেকে ফতেয়াবাদ রুটে বাসগুলো নামানোর কথা ছিলো। পরে এই উদ্যোগ সফল হয়নি।

এর ৮ বছর পর আবারো এসি বাস নামানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আরটিসির সভায় অনুমোদনও পেয়েছে ‘শান্তি এক্সপ্রেস লিমিটেড’।

এ ব্যাপারে শান্তি এক্সপ্রেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, আমরা ২০টি বাস চলাচলের প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছি। কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে কাটগড় পর্যন্ত এসব বাস চলাচল করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নগর পরিবহনে যুক্ত হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

চট্টগ্রাম মহানগরে পরিবহন বহরে যুক্ত হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস সার্ভিস। ‘চট্টলা চাকা’ নামে বাসগুলো সড়কে নামানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এগুলো ‘শান্তি এক্সপ্রেস লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থার ব্যানারে।

প্রথম ধাপে সংস্থাটি ২০টি বাস নামানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে সড়কে বাসগুলোর চাকা ঘুরবে।

এদিকে, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন এলাকার যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি (আরটিসি) তিন শর্তে বাসগুলো নামানোর প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে।

শর্ত তিনটি হলো-প্রতিটি গাড়ি ৪০ সিটের হতে হবে। গাড়ি ছাড়ার শুরু এবং শেষ প্রান্তে অর্থাৎ কাপ্তাই রাস্তার মাথা এবং কাটগড় প্রান্তে বাস রাখার নিজস্ব ডিপো থাকতে হবে। ডিপো ভাড়া নেওয়ার চুক্তিপত্র বিআরটিএর কাছে জমা দিতে হবে। লোকাল যাত্রী বহন করা যাবে না।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান এ বিষয়ে জানান, শর্তসাপেক্ষে কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে কাটগড় পর্যন্ত এসি বাস নামানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে বাসগুলোকে রুট পারমিট দেওয়া হবে।

জানা গেছে, নগরীর ১৮ রুটে এক হাজার ৫৪৫টি বাস মিনিবাস চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হলেও এক হাজার ৪০টি গাড়ি চলাচল করছে। আরও ৫০৫টি বাস মিনিবাস চলাচল করতে পারবে রুটগুলোতে।

একইভাবে নগরীতে অটোটেম্পোর রুট রয়েছে ২১টি। রুট গুলোতে ২৩৯৭টি গাড়ি চলাচলের অনুমতি দিয়েছে আরটিসি। সেখানে রুট পারমিট নিয়েছে ১৮৩৯টি। আরও ৫৫৮টি অটোটেম্পোর রুট পারমিট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ১৮টি রুটে ১৪৫৬টি হিউম্যান হলার চলাচলের রুট পারমিট অনুমোদন দিয়েছে আরটিসি। সেখানে চলাচল করছে ৯৯৪টি। আরোও ৪৬২টি হিউম্যান হলার পারমিট নিতে পারবে।

এর বাইরেও প্রায় ২০০ বাস মিনিবাস আটশোর বেশি হিউম্যান হলার ও টেম্পো নগরীর বিভিন্ন সড়কে চলাচল করছে।

এর আগে ২০১৬ সালে প্রিমিয়ার ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি নগরীর ১৪ নম্বর রুটে ৬টি পরিবহন নিয়ে এসি বাস সার্ভিস চালু করেছিলো। তবে তা স্থায়ী হয়নি। কয়েক মাসের মধ্যে সড়ক থেকে তুলে নেয়া হয়।

২০১৯ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নগরীর তিনটি রুটে এসি বাস চালুর উদ্যোগ নেন। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এসব বাস চালুর জন্য কর্পোরেশনের ৫২তম সাধারণ সভায় সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছিলো। প্রথম দিকে তিনটি রুটে ১০০টি বাস নামানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়। এরমধ্যে কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা, ভাটিয়ারী থেকে লালদিঘি এবং নিউমার্কেট থেকে ফতেয়াবাদ রুটে বাসগুলো নামানোর কথা ছিলো। পরে এই উদ্যোগ সফল হয়নি।

এর ৮ বছর পর আবারো এসি বাস নামানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আরটিসির সভায় অনুমোদনও পেয়েছে ‘শান্তি এক্সপ্রেস লিমিটেড’।

এ ব্যাপারে শান্তি এক্সপ্রেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, আমরা ২০টি বাস চলাচলের প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছি। কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে কাটগড় পর্যন্ত এসব বাস চলাচল করবে।