‘দেশের অন্যতম স্মার্ট বাহিনী হবে বিজিবি’
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিজিবিকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। শৃঙ্খলা অব্যাহত রাখতে বিজিবি সদস্যদের চেইন অব কমান্ড মেনে চলার তাগিদ দিয়েছেন সরকার প্রধান। সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পিলখানায় বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর যারাই ক্ষমতা এসেছে, সীমান্ত চুক্তি নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা ক্ষমতায় এসে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। ছিটমহল বিনিময় অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। এতে বিজিবিও কাজ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষ আধুনিক শক্তিশালী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরা এর জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ইউনিট সুন্দরভাবে সীমান্ত রক্ষা, সীমান্তে অপরাধ দমনে কাজ করতে পারছে। আমরা চাই, বিজিবি হবে অন্যতম স্মার্ট বাহিনী। এই প্রথম আমরা নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। ২০১৫ থেকে এই বাহিনীতে নারী সংযুক্ত হচ্ছে। তারা বেশ স্মার্ট, আজকে আপনারা দেখলেন।
তিনি আরও বলেন, বিজিবির পোশাক পরিবর্তন করেছি। প্রতিটি ক্ষেত্রে যেন বিজিবি উন্নত হয় সেজন্য বিভিন্ন পদ সৃষ্টি, কল্যাণমুখি পদক্ষেপ, নতুন র্যাংক ব্যাজ প্রবর্তন, যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভাগীয় অফিসার পদে পদোন্নতি, সীমান্ত ভাতা প্রদান, জুনিয়র কর্মকর্তা, হাবিলদার পদের বিজিবি সদস্যদের বেতন স্কেল উচ্চতরে উন্নীত করা হয়েছে। দুই মাসের বাৎসরিক ছুটি ও বেতন অগ্রিম বেতন প্রদান, পারিবারিক রেশন, তিন বছরের নিচে সন্তানদের পূর্ণ স্কেল রেশন প্রদান, যাদের প্রতিবন্ধী সন্তান তাদের জন্যও আলাদা রেশনের ব্যবস্থা করেছি।
সরকারপ্রধান বলেন, পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সাতকানিয়ায় বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ, চুয়াডাঙ্গায় আরও একটি প্রশিক্ষণ সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে। টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ও আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যদের খেলাধুলার জন্য ময়মনসিংহের শেখ কামাল স্টেডিয়ামকে জিমসহ একটি ইনডোর স্টেডিয়াম করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ড একটি বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে চেইন অব কমান্ড এবং কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনে চলতে হবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন বিডিআরের ভূমিকা ও আত্মত্যাগ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। স্মরণ করেন ২০০৯ সালের পিলখানা ট্রাজেডির কথা। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিবাদে না জড়িয়ে প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত আছে বলে জানান সরকার প্রধান।
বিজিবি দেশের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠবে বলে আশাপ্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান রোধ, মাদক ও নারী-শিশু পাচার রোধসহ সীমান্তে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন, যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা, দেশগঠন ও জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজে বিজিবির পেশাদারিত্ব সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
ভাষণ প্রদান শেষে প্রধানমন্ত্রী প্যারেড গ্রাউন্ডে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ‘প্রেরণা’ এর শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর ডগ মার্চ, ট্রিক ড্রিল, বর্ণাঢ্য মোটর শোভাযাত্রা এবং বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ শেখ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সম্মিলিত প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।