তীব্র তাপদাহ ও ভয়াবহ লোডশেডিং, জনজীবন বিপর্যস্ত
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:২১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে বিদ্যুতের ঘনঘ ঘন লোডশেডিং। রমজান মাসে বিদ্যুৎ বিড়ম্বনায় সাধারণ জনগণ। প্রচন্ড গরমে আর ভয়াবহ লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ জনজীবন। ২৪ ঘন্টায় ১০-১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ মিলছে না। এর ফলে উপজেলাবাসী চরম দুর্ভোগ ও দুরাবস্থার মধ্যে জীবন যাপন করছে।
বিশেষ করে তারাবীর নামাজ, সেহেরী রান্না ও খাওয়ার সময়সহ লেগেই থাকছে লোডশেডিং। ঈদের আসতে আর মাত্র ৪/৫ দিন সময় আছে। এসময় বিতান ও বিপণী গুলোতে চলছে বেচা কেনার ধুম। লোডশেডিং এর ফলে ব্যহত হচ্ছে ব্যবসা বানিজ্য, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পন্য উৎপাদন। কৃষিকাজেও সেচ পেতেও কৃষকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এছাড়াও রমজানমাসে মুসলমানদের ইবাদত বন্দগী করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে প্রচন্ড গরম ও লোডশেডিং এর কারনে।
এরমধ্যে কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড গরম ও ভয়াবহ বিদ্যুতের লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। বর্তমানে উপজেলায় বিদ্যুৎ কখন যায় কখন আসছে তার ঠিক নেই। এলাকায় প্রচলিত রয়েছে গোদাগাড়ীতে বিদ্যুৎ যায় না আসে। লোডশেডিং এর কারণে উপজেলাবাসী কোন মতে দিন পর করলেই রাত হলেই তাদের মঝে নেমে আসে চরম দুভোর্গ। সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারির সময় সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় বিদ্যুতের ভেলকিবাজি তা চলে সকাল পর্যন্ত। এতে তারাবীর নামাজ, সেহেরী রান্না, খাওয়া ও রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে তাদের ধর্মপ্রান মুসলমানদের।
গরমের তীব্রতায় ও বিদ্যুতের লোডশেডিংএর কবলে পড়ে গোদাগাড়ী উপজেলার এলাকার মানুষ গুলো অসহায় হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ সময় রাতে বিদ্যুৎ থাকছে না, রমজান মাসে তারাবীর নামাজ পড়ে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো রাতে শান্তি করে ঘুমাতে পারছেনা এই লোডশেডিং ও গরমের জন্য।
স্থানীয়রা বলছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ থাকায় গরমে মানুষের হাসপাস ধরে যাচ্ছে। বর্তমানে যে লোডশেডিং চলছে তা এর আগে কখনো হয়নি, উপজেলাবাসী এটাকে ভয়াবহ লোডশেডিং বলে জানিয়েছেন। এলাকায় বিদ্যুতের আসা যাওয়ার প্রতিযোগিতায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। দিন-রাতে অতিরিক্ত গরম আর বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে অধিকাংশ পরিবারের শিশু থেকে বৃদ্ধরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। এছাড়াও লোডশেডিং এর ফলে উপজেলার ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প কলকারখানার উৎপাদন কম হচ্ছে।
এ বিষয়ে নেসকো গোদাগাড়ী (বিদ্যুৎ অফিসে) টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে টেলিফোন রিসিভ করেনি, এমনকি গোদাগাড়ী নেসকোর ওয়েব সাইটে কোন প্রকৌশলীর মোবাইল নম্বর দেওয়া না থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।