তাপদাহের সাথে সাথে বিদ্যুৎ ঘাটতি, জনজীবনে অস্বস্তি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪ ১৬৬ বার পড়া হয়েছে
তাপদাহের সাথে সাথে বিদ্যুৎ ঘাটতি বরিশাল অঞ্চলের রোজাদারসহ সার্বিক জনজীবনে অস্বস্তি বাড়িয়েই চলেছে। গত কয়েকদিন ধরেই সন্ধ্যায় ইফতারীর সাথেই বিদ্যুৎ ঘাটতি শুরু হয়ে তারাবীর নামাজের সময়ও তা অব্যাহত থাকছে। মঙ্গলবার দিনের অধিকাংশ সময়ই নগরীর বেশীর ভাগ এলাকা ছিল বিদ্যুৎবিহীন।
এমনকি তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের ৩-৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস উপরে। এরমধ্যে অন্ধকার আর গরমে তারাবীর নামাজ আদায় করতে গিয়ে মুসুল্লীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। শহরের তুলনায় পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় সন্ধ্যা থেকে মাঝরাত পেরিয়ে লোডশেডিং বেশী। সেই সাথে বিতরণ ব্যবস্থার গলদে বরিশাল নগরীসহ আশপাশের এলাকায় নিয়মিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়েই চলছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) বরিশাল ৩৩/১১ কেভী সাব-স্টেশনে একটি করেন্ট ট্রান্সফর্মারে আকষ্মিক বিস্ফোরন থেকে অগ্নিকান্ডের পরে বরিশাল মহানগরীতে প্রায় ৪৫ মিনিট বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ ছিল। ঝালকাঠী জেলা সদর সহ পুরো এলাকায় পৌনে ৩ ঘন্টা পরে বিকল্প ব্যবস্থায় সরবরাহ প্রায় স্বভাাবিক করা সম্ভব হলেও বরিশাল মহানগরীর বিভিন্ন ফিডারগুলো সন্ধ্যা থেকে কয়েকবারই ট্রিপ করে। সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ ও যথাযথ নজরদারীর অভাবে বরিশাল মহানগরী ও পাশ্ববর্তী এলাকায় দ্যুৎ বিতরন ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
পল্লী বিদ্যুৎ এবং পশ্চিম জোন বিদ্যুৎ বিতরন কোম্পনী-ওজোপাডিকোর প্রায় ১ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে গত কয়েকদিন ধরে সান্ধ্য পীক আওয়ারে ৩শ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ রেশনিং করতে হচ্ছে। বরিশাল অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বেসরকরী বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র জ্বালানীর অভাবে পূর্ণ উৎপাদনে যেতে পারছে না। এর ফলে কয়েকদিন থেকে মাঝরাত পর্যন্ত বরিশাল অঞ্চলে চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ রেশনিং করতে হয়।
তরল জ্বালানী সংকট মোকাবেলায় বরিশালে সামিট পাওয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার সহ পিডিবির পশ্চিম জোনে সরকারী ও আধা সরকারী বেশ কয়েকটি ইউনিটের উৎপাদন সীমিত করতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
অথচ গ্রীষ্মের আগেই বরিশালে তাপমাত্রার পারদ ইতোমধ্যে স্বাভাবিকের ৩-৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস ওপরে রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাবাসে বরিশাল অঞ্চলে মাঝারী তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে ভলে আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে।
অপরদিকে, চিকিৎসকরা চলমান তাপ প্রবাহের মধ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতির এই সময় ‘হিট স্ট্রোক’ এর ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।