ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ডেঙ্গু মোকাবেলায় ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে’

দেবব্রত দত্ত
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪ ১২২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশার প্রকোপ কমাতে দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনে উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ডেঙ্গু মোকাবেলা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য ৩২ কোটি টাকা এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয়ের জন্য ৮ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের জনসচেতনতা বাড়াতে ও প্রচারণায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ও শেষ অধিবেশনে শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আলি আকতার উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে এডিস মশা বা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি। মানুষের সচেতনতাই হচ্ছে ডেঙ্গু প্রতিরোধের ৯০ ভাগ হাতিয়ার, আর বাকি ১০ ভাগ ওষুধের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, আগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঢাকা শহরেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যেত, কিন্তু গত বছর থেকে ঢাকার বাইরে ছড়িয়েছে। সেজন্য জেলা শহরেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এডিস মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ইলেকট্রনিকস মিডিয়াতে টিভিসি ও প্রিন্ট মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও জানান, জন্ম নিবন্ধন নিয়ে যে সমস্যা ছিল তা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে এবং অতিশীঘ্রই জন্ম নিবন্ধন সেবা সহজে মানুষের নাগালে পৌঁছে যাবে।

পরিবেশ সুরক্ষায় অবকাঠামো নির্মাণে ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব কনক্রিট ব্লক ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী গ্রামীণ অবকাঠামোর ক্ষেত্রে একই রাস্তায় দুইবার বরাদ্দরোধে আইডি দেখে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি জলাশয় ও পানির সংরক্ষণ করার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জলাশয়গুলো সংরক্ষণের নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য এক্ষেত্রে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘ডেঙ্গু মোকাবেলায় ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশার প্রকোপ কমাতে দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনে উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ডেঙ্গু মোকাবেলা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য ৩২ কোটি টাকা এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয়ের জন্য ৮ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের জনসচেতনতা বাড়াতে ও প্রচারণায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ও শেষ অধিবেশনে শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আলি আকতার উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে এডিস মশা বা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি। মানুষের সচেতনতাই হচ্ছে ডেঙ্গু প্রতিরোধের ৯০ ভাগ হাতিয়ার, আর বাকি ১০ ভাগ ওষুধের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, আগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঢাকা শহরেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যেত, কিন্তু গত বছর থেকে ঢাকার বাইরে ছড়িয়েছে। সেজন্য জেলা শহরেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এডিস মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ইলেকট্রনিকস মিডিয়াতে টিভিসি ও প্রিন্ট মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও জানান, জন্ম নিবন্ধন নিয়ে যে সমস্যা ছিল তা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে এবং অতিশীঘ্রই জন্ম নিবন্ধন সেবা সহজে মানুষের নাগালে পৌঁছে যাবে।

পরিবেশ সুরক্ষায় অবকাঠামো নির্মাণে ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব কনক্রিট ব্লক ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী গ্রামীণ অবকাঠামোর ক্ষেত্রে একই রাস্তায় দুইবার বরাদ্দরোধে আইডি দেখে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি জলাশয় ও পানির সংরক্ষণ করার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জলাশয়গুলো সংরক্ষণের নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য এক্ষেত্রে বলা হয়েছে।