ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গুর ‘উচ্চঝুঁকিতে’ ঢাকার ১৮ ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪ ৮৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীতে বেড়েছে ডেঙ্গুর (dengu) প্রভাব। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপ অনুযায়ী, ঢাকার (dhaka) দুই সিটির ১৮টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের চেয়ে বেশি। গত ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চালানো প্রাক-বর্ষা জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে রাজধানীর (capital) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের (city corporation) ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতে ব্রুটো ইনডেক্সের ঘনত্ব ২০ এর বেশি। এর অর্থ, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে এডিস মশা বা লার্ভা পাওয়া গেছে। এএসব এলাকাগুলো ডেঙ্গুর বেশি ঝুঁকিতে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো- ২০,১২, ১৩, ৩৬, ৩২, ৩১, ১৭ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড। অপরদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো- ৩,৪, ৫২, ১৩, ৫৪, ১৬,১৫, ৫, ১৭, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ডিএনসিসিতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ১২ নম্বর ওয়ার্ডটি। এ ওয়ার্ডে এডিসের ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এরপর ১৩ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড। এই দুই ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪০ শতাংশ। এছাড়াও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ৩১ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ। ১৭ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, সবচেয়ে বেশি ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ডিএসসিসির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে । চার নম্বর ওয়ার্ডে ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর ৫২ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়া ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স। ৫, ৩, ১৫, ১৭ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।

প্রতিবছর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মৌসুমপূর্ব, মৌসুম, মৌসুম পরবর্তী তিনটি জরিপ পরিচালনা করে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি। এর অংশ হিসেবে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কীটতত্ত্ববিদদের ২১টি টিমের মাধ্যমে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।

জরিপ পদ্ধতি

উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯৯টি ওয়ার্ডে জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে ২১টি টিমের মাধ্যমে। প্রতি ওয়ার্ডকে ৮টি ব্লকে ভাগ করে ২টি টিম ৪টি ব্লকে ১৫টি করে প্রতি ওয়ার্ডে ৩০টি বাড়িতে জরিপ পরিচালনা করে। দশ দিনে ৯৯টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ৩ হাজার ১৫২টি বাড়িতে সার্ভে করা হয়। এছাড়া যেসব ওয়ার্ডে বাড়ির সংখ্যা বেশি ও এলাকা বড় সেগুলোতে তিন থেকে ৫টি টিমের মাধ্যমে জরিপ পরিচালনা করা হয়।

এক নজরে সংক্ষিপ্ত ফলাফল

জরিপ করা বাড়িগুলোর মধ্যে ৪৬৩টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপা পাওয়া যায়। এরমধ্যে বহুতল ভবন ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। স্বতন্ত্র বাড়ি ২১ দশমিক ৬ শতাংশ। আর নির্মাণাধীন ভবন ২১ দশমিক ৬ শতাংশ। সেমিপাকা বাড়ি ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। খালি জায়গা ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

ঢাকা উত্তর করপোরেশনে মশার ঘনত্ব পরিমাপক সূচক ব্রুটো ইনডেক্স ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ ও হাউস ইনডেক্স ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মশার ঘনত্ব পরিমাপক সূচক ব্রুটো ইনডেক্স ১৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও হাউস ইনডেক্স ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ডেঙ্গুর ‘উচ্চঝুঁকিতে’ ঢাকার ১৮ ওয়ার্ড

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

রাজধানীতে বেড়েছে ডেঙ্গুর (dengu) প্রভাব। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপ অনুযায়ী, ঢাকার (dhaka) দুই সিটির ১৮টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের চেয়ে বেশি। গত ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চালানো প্রাক-বর্ষা জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে রাজধানীর (capital) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের (city corporation) ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতে ব্রুটো ইনডেক্সের ঘনত্ব ২০ এর বেশি। এর অর্থ, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে এডিস মশা বা লার্ভা পাওয়া গেছে। এএসব এলাকাগুলো ডেঙ্গুর বেশি ঝুঁকিতে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো- ২০,১২, ১৩, ৩৬, ৩২, ৩১, ১৭ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড। অপরদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো- ৩,৪, ৫২, ১৩, ৫৪, ১৬,১৫, ৫, ১৭, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ডিএনসিসিতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ১২ নম্বর ওয়ার্ডটি। এ ওয়ার্ডে এডিসের ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এরপর ১৩ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড। এই দুই ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪০ শতাংশ। এছাড়াও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ৩১ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ। ১৭ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, সবচেয়ে বেশি ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ডিএসসিসির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে । চার নম্বর ওয়ার্ডে ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর ৫২ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়া ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স। ৫, ৩, ১৫, ১৭ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।

প্রতিবছর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মৌসুমপূর্ব, মৌসুম, মৌসুম পরবর্তী তিনটি জরিপ পরিচালনা করে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি। এর অংশ হিসেবে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কীটতত্ত্ববিদদের ২১টি টিমের মাধ্যমে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।

জরিপ পদ্ধতি

উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯৯টি ওয়ার্ডে জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে ২১টি টিমের মাধ্যমে। প্রতি ওয়ার্ডকে ৮টি ব্লকে ভাগ করে ২টি টিম ৪টি ব্লকে ১৫টি করে প্রতি ওয়ার্ডে ৩০টি বাড়িতে জরিপ পরিচালনা করে। দশ দিনে ৯৯টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ৩ হাজার ১৫২টি বাড়িতে সার্ভে করা হয়। এছাড়া যেসব ওয়ার্ডে বাড়ির সংখ্যা বেশি ও এলাকা বড় সেগুলোতে তিন থেকে ৫টি টিমের মাধ্যমে জরিপ পরিচালনা করা হয়।

এক নজরে সংক্ষিপ্ত ফলাফল

জরিপ করা বাড়িগুলোর মধ্যে ৪৬৩টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপা পাওয়া যায়। এরমধ্যে বহুতল ভবন ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। স্বতন্ত্র বাড়ি ২১ দশমিক ৬ শতাংশ। আর নির্মাণাধীন ভবন ২১ দশমিক ৬ শতাংশ। সেমিপাকা বাড়ি ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। খালি জায়গা ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

ঢাকা উত্তর করপোরেশনে মশার ঘনত্ব পরিমাপক সূচক ব্রুটো ইনডেক্স ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ ও হাউস ইনডেক্স ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মশার ঘনত্ব পরিমাপক সূচক ব্রুটো ইনডেক্স ১৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও হাউস ইনডেক্স ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ।