ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টোল প্লাজায় সড়ক দুর্ঘটনা/ মেহেদীর রং মোছার আগেই স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিয়ের মেহেদীর রং মোছার আগেই ঝালকাঠির গাবখান টোল প্লাজায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ পরিবারের ৬ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৮ জন প্রাণ হারায়। আহত হয়েছে প্রায় ১৭ জন।

ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত বিমান বাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত ইমরান হোসেন (২৬) ও তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী নিপা আক্তারসহ পরিবারের ৬ জন সদস্যই নিহত হন। বিয়ের মাত্র ৪০ দিনের মধ্যেই এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় তারা দুজনেই।

ইমরান হোসেনের সাথে রাজাপুর উপজেলার সাংগর গ্রামের আঃ বারেকের কন্যা নিপা আক্তারের চলতি বছরের ৮ মার্চ বিবাহ হয়েছিল। বিমান বাহিনীর সৈনিক ইমরান হোসেন রাঙামাটি জেলার বাহাপানা এলাকার নুরুল ইসলামের একমাত্র পুত্র সন্তান।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে ইমরানের মৃতদেহ তার পিতার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার মৃতদেহ বিমান বাহিনীর বিশেষ এম্বুলেন্স করে দাফনের জন্য রাঙামাটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তার স্ত্রী নিপার মরদেহ তার পিত্রালয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

একই উপজেলার উত্তর সাউথপুর গ্রামের ইমরানের ভায়রা হাসিবুর রহমান (৩৩), বড় শালিকা নাহিদা আক্তার সোনিয়া (২৮) ও এদের শিশুসন্তান তাকিয়া (সাড়ে ৪ বছর), তাহমিদ (৮মাস) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রাইভেটকারের চালক একই উপজেলার বাদুরতলা গ্রামের ইব্রাহিমেরও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ মর্মান্তিক ঘটনায় সমগ্র এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঝালকাঠির সদর হাসপাতালে মরদেহ নিতে আসা বিমান সৈনিক ইমরানের পিতা নুরুল ইসলাম পুত্র শোকে পাথর হয়ে গেছেন। তিনি জানান, তার এই একমাত্র পুত্র সন্তান ও ৪ ভাই-বোনের সবার ছোট ইমরান। তার মৃত্যুতে মা ও বোনরা পাগল প্রায়। তিনি তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, এই কষ্ট অত্যন্ত পীড়াদায়ক যা বহন করা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম জানান, দুর্ঘটনার কারন জানতে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকা, পঙ্গুত্ব বরণ করলে তিন লাখ এবং আহতদের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষনা করেছে সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

টোল প্লাজায় সড়ক দুর্ঘটনা/ মেহেদীর রং মোছার আগেই স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

বিয়ের মেহেদীর রং মোছার আগেই ঝালকাঠির গাবখান টোল প্লাজায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ পরিবারের ৬ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৮ জন প্রাণ হারায়। আহত হয়েছে প্রায় ১৭ জন।

ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত বিমান বাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত ইমরান হোসেন (২৬) ও তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী নিপা আক্তারসহ পরিবারের ৬ জন সদস্যই নিহত হন। বিয়ের মাত্র ৪০ দিনের মধ্যেই এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় তারা দুজনেই।

ইমরান হোসেনের সাথে রাজাপুর উপজেলার সাংগর গ্রামের আঃ বারেকের কন্যা নিপা আক্তারের চলতি বছরের ৮ মার্চ বিবাহ হয়েছিল। বিমান বাহিনীর সৈনিক ইমরান হোসেন রাঙামাটি জেলার বাহাপানা এলাকার নুরুল ইসলামের একমাত্র পুত্র সন্তান।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে ইমরানের মৃতদেহ তার পিতার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার মৃতদেহ বিমান বাহিনীর বিশেষ এম্বুলেন্স করে দাফনের জন্য রাঙামাটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তার স্ত্রী নিপার মরদেহ তার পিত্রালয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

একই উপজেলার উত্তর সাউথপুর গ্রামের ইমরানের ভায়রা হাসিবুর রহমান (৩৩), বড় শালিকা নাহিদা আক্তার সোনিয়া (২৮) ও এদের শিশুসন্তান তাকিয়া (সাড়ে ৪ বছর), তাহমিদ (৮মাস) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রাইভেটকারের চালক একই উপজেলার বাদুরতলা গ্রামের ইব্রাহিমেরও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ মর্মান্তিক ঘটনায় সমগ্র এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঝালকাঠির সদর হাসপাতালে মরদেহ নিতে আসা বিমান সৈনিক ইমরানের পিতা নুরুল ইসলাম পুত্র শোকে পাথর হয়ে গেছেন। তিনি জানান, তার এই একমাত্র পুত্র সন্তান ও ৪ ভাই-বোনের সবার ছোট ইমরান। তার মৃত্যুতে মা ও বোনরা পাগল প্রায়। তিনি তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, এই কষ্ট অত্যন্ত পীড়াদায়ক যা বহন করা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম জানান, দুর্ঘটনার কারন জানতে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকা, পঙ্গুত্ব বরণ করলে তিন লাখ এবং আহতদের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষনা করেছে সরকার।