টোকিওতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস পালিত
![](https://bangla-times.com/wp-content/themes/Newspaper%20pro/assets/images/reporter.jpg)
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৪৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস। এ উপলক্ষে দূতাবাসে বৃহস্পতিবার সকালে (৭ মার্চ) এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
আলোচনা সভার পূর্বে বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরপর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তাঁর বক্তব্যে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্যদিয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। মূলত এই ভাষণের মাধ্যমেই তিনি এক অর্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর অমূল্য এই ভাষণ ও বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রামের ইতিহাস দেশে-বিদেশে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে একটি উন্নত- সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনা সভার পরে ৭ই মার্চের ভাষণের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।