ঢাকা ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিনের চালে বজ্রপাত, পুড়ে ছাই মা ও শিশু

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খাগড়াছড়ির মধ্যবেতছড়ি গ্রামে ঘরের চালে বজ্রপাত হয়। এতে ঘরে থাকা মা ও শিশু দুজনই পুড়ে যান। পুড়ে যায় ঘরও। রোববার (৫ মে) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- হাসিনা আক্তার (৩০) ও তার ছেলে আবু হানিফ (৮)।

এসময় প্রকৃতির ডাকে বাইরে গেলে আরেক সন্তান হাফিজ (১১) প্রাণে বেঁচে যায়। নিহতের স্বামী মো. ছাদেক শান্তি গাড়ির হেলপার। তিনি গাড়িতে কর্মরত থাকায় তিনিও প্রাণে বেঁচে যান।

স্থানীয়রা জানান, রোববার (৫ মে) ভোর পৌনে ৫টার দিকে আকাশে গর্জনসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এরমধ্যে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। এসময় বজ্রপাত ছাদেক মিয়ার বসতঘরে পড়ে। বসতঘরে থাকা হাসিনা বেগম ও ছেলে আবু হানিফ পুড়ে কঙ্কাল হয়ে যায়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মরদেহ উদ্ধার করে।

ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মো. নাজমুল ইসলাম জানান, রোববার (৫ মে) সাড়ে ৫টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন।বজ্রপাতে ঘরের সব পুড়ে গেছে।

দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডেকেল অফিসার জানান, বজ্রপাতে বেঁচে যাওয়া হাফিজুর রহমানকে (১১) প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

দীঘিনালা থানার ওসি মো. নুরুল হক জানান, বজ্রপাতে মা ও ছেলে দুজনই পুড়ে গেছে। চেনার উপায়ও নেই। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

টিনের চালে বজ্রপাত, পুড়ে ছাই মা ও শিশু

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

খাগড়াছড়ির মধ্যবেতছড়ি গ্রামে ঘরের চালে বজ্রপাত হয়। এতে ঘরে থাকা মা ও শিশু দুজনই পুড়ে যান। পুড়ে যায় ঘরও। রোববার (৫ মে) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- হাসিনা আক্তার (৩০) ও তার ছেলে আবু হানিফ (৮)।

এসময় প্রকৃতির ডাকে বাইরে গেলে আরেক সন্তান হাফিজ (১১) প্রাণে বেঁচে যায়। নিহতের স্বামী মো. ছাদেক শান্তি গাড়ির হেলপার। তিনি গাড়িতে কর্মরত থাকায় তিনিও প্রাণে বেঁচে যান।

স্থানীয়রা জানান, রোববার (৫ মে) ভোর পৌনে ৫টার দিকে আকাশে গর্জনসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এরমধ্যে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। এসময় বজ্রপাত ছাদেক মিয়ার বসতঘরে পড়ে। বসতঘরে থাকা হাসিনা বেগম ও ছেলে আবু হানিফ পুড়ে কঙ্কাল হয়ে যায়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মরদেহ উদ্ধার করে।

ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মো. নাজমুল ইসলাম জানান, রোববার (৫ মে) সাড়ে ৫টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন।বজ্রপাতে ঘরের সব পুড়ে গেছে।

দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডেকেল অফিসার জানান, বজ্রপাতে বেঁচে যাওয়া হাফিজুর রহমানকে (১১) প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

দীঘিনালা থানার ওসি মো. নুরুল হক জানান, বজ্রপাতে মা ও ছেলে দুজনই পুড়ে গেছে। চেনার উপায়ও নেই। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।