ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেলবন্দি ইমরান খানের ‘খাতির যত্নে’ খরচ ১২ লাখ, রয়েছে মেডিক্যাল টিম

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:২১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১২১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইমরান খান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বেই প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপের ট্রফি জয় করে পাকিস্তান। বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটারের দির কাটছে গরাদের পিছনে। তবে জেলের ভিতরেও তার ‘খাতির যত্নে’ কোনো ত্রুটি নেই। আর্থিক সংকটে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য মাস কমপক্ষে ১২ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে জেল কর্তৃপক্ষের।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তোষাখানা মামলায় গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। প্রথমে তার ঠাঁই হয় পাঞ্জাব প্রদেশের অটোক কারাগারে। এর পর সেখান থেকে তাকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে স্থানান্তর করা হয়। সম্প্রতি লাহোর হাইকোর্টের কাছে সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষায় যা যা ব্যবস্থাপনা রয়েছে তা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছে আদিয়ালা জেল কর্তৃপক্ষ। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে ইমরান খানের নিরাপত্তা রক্ষায় মাসে ১২ লাখ টাকা খরচ।

জেল সুপারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইমরান খানের নিরাপত্তার জন্য জেলের ভিতরে লাগানো হয়েছে ৫ হাজার টাকার সিসিটিভি। কারাগারের অন্য বন্দিদের তত্ত্বাবধানে জন্য রাখা ক্যামেরা থেকে আলাদা। রয়েছে আলাদা রান্নাঘর। রান্নার পর ওই খাবার চেখে দেখেন এক ব্যক্তি। এছাড়াও তার জন্য রয়েছে ৬ সদস্যের মেডিক্যাল টিম। তার প্রতিদিন ইমরান খানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে থাকেন। জেলের ৭টা বিশেষ সেলের মধ্যে ২টি বরাদ্দ রয়েছে তার জন্য। জেলের ভিতর ইমরান খানের হাঁটাচলা করার জন্যও আলাদা জায়গা তৈরি করা হয়েছে। এসব কিছুর জন্য মাসে গুণতে হয় মোটা অংকের টাকা।

প্রসঙ্গত, তোষাখানা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীকে ১৪ বছর কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। একই সাথে বিপুল অঙ্কের জরিমানা করা হয় তাদের। এর পাশাপাশি বলা হয়, আগামী ১০ বছর তারা কোনো সরকারি পদে বসতে পারবেন না। এ কারণেই সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি ইমরান খান।

যদিও একই বছরের ১ এপ্রিল ১৪ বছরের হাজতবাসের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। রায়ে স্থগিতাদেশ দিলেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন না ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা। কারণ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জেলবন্দি ইমরান খানের ‘খাতির যত্নে’ খরচ ১২ লাখ, রয়েছে মেডিক্যাল টিম

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:২১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪

ইমরান খান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বেই প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপের ট্রফি জয় করে পাকিস্তান। বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটারের দির কাটছে গরাদের পিছনে। তবে জেলের ভিতরেও তার ‘খাতির যত্নে’ কোনো ত্রুটি নেই। আর্থিক সংকটে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য মাস কমপক্ষে ১২ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে জেল কর্তৃপক্ষের।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তোষাখানা মামলায় গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। প্রথমে তার ঠাঁই হয় পাঞ্জাব প্রদেশের অটোক কারাগারে। এর পর সেখান থেকে তাকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে স্থানান্তর করা হয়। সম্প্রতি লাহোর হাইকোর্টের কাছে সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষায় যা যা ব্যবস্থাপনা রয়েছে তা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছে আদিয়ালা জেল কর্তৃপক্ষ। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে ইমরান খানের নিরাপত্তা রক্ষায় মাসে ১২ লাখ টাকা খরচ।

জেল সুপারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইমরান খানের নিরাপত্তার জন্য জেলের ভিতরে লাগানো হয়েছে ৫ হাজার টাকার সিসিটিভি। কারাগারের অন্য বন্দিদের তত্ত্বাবধানে জন্য রাখা ক্যামেরা থেকে আলাদা। রয়েছে আলাদা রান্নাঘর। রান্নার পর ওই খাবার চেখে দেখেন এক ব্যক্তি। এছাড়াও তার জন্য রয়েছে ৬ সদস্যের মেডিক্যাল টিম। তার প্রতিদিন ইমরান খানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে থাকেন। জেলের ৭টা বিশেষ সেলের মধ্যে ২টি বরাদ্দ রয়েছে তার জন্য। জেলের ভিতর ইমরান খানের হাঁটাচলা করার জন্যও আলাদা জায়গা তৈরি করা হয়েছে। এসব কিছুর জন্য মাসে গুণতে হয় মোটা অংকের টাকা।

প্রসঙ্গত, তোষাখানা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীকে ১৪ বছর কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। একই সাথে বিপুল অঙ্কের জরিমানা করা হয় তাদের। এর পাশাপাশি বলা হয়, আগামী ১০ বছর তারা কোনো সরকারি পদে বসতে পারবেন না। এ কারণেই সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি ইমরান খান।

যদিও একই বছরের ১ এপ্রিল ১৪ বছরের হাজতবাসের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। রায়ে স্থগিতাদেশ দিলেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন না ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা। কারণ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারা।