ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জলবায়ু পরিবর্তনে অর্থ ব্যয়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১৩:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধে অস্ত্র ও অর্থ ব্যয় না করে সেই অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় করা হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই। এজন্য প্রয়োজন অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নেওয়া।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে ন্যাপ এক্সপো ও বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭০ সালে বাংলাদেশে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো। ১৯৯১ সালে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ে ২ লাখ মানুষ মারা যায়। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় কোনো প্রাণহানি ঘটনা ঘটেনি। এর কারণ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।

তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশের পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় এক লাখ ২৭ হাজার ৫৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করা হয়। এর সাথে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি।

সরকার প্রধান বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদী ভাঙন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বন্যা এবং খরার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সব দেশকে ভাগ করে নিতে হবে এবং প্রধান অর্থনীতিসমূহকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী সব অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জলবায়ু পরিবর্তনে অর্থ ব্যয়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১৩:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধে অস্ত্র ও অর্থ ব্যয় না করে সেই অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় করা হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই। এজন্য প্রয়োজন অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নেওয়া।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে ন্যাপ এক্সপো ও বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭০ সালে বাংলাদেশে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো। ১৯৯১ সালে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ে ২ লাখ মানুষ মারা যায়। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় কোনো প্রাণহানি ঘটনা ঘটেনি। এর কারণ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।

তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশের পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় এক লাখ ২৭ হাজার ৫৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করা হয়। এর সাথে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি।

সরকার প্রধান বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদী ভাঙন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বন্যা এবং খরার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সব দেশকে ভাগ করে নিতে হবে এবং প্রধান অর্থনীতিসমূহকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী সব অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে হবে।