ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘের থেকে মাছ লুটের অভিযোগ

বাগেরহাট অফিস
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪ ৬১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের মদারদিয়া গ্রাম নূর মোহাম্মদ নামের এক ব্যবসায়ীর মাছের ঘের থেকে মাছ লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী নূর মোহাম্মদ রামপাল রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী নূর মোহাম্মদ বলেন, মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদারের কাছ থেকে বছর চুক্তি হাড়ির টাকায় মাদারদিয়া গ্রামের সাড়ে ৩ বিঘার একটি ঘের লিজ নেই। দীর্ঘ দুই বছর ধরে আমি ওই ঘেরটিতে চিংড়িসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করে আসছি। হাড়ির টাকা হিসেবে গত দুই বছরে সালাম হাওলাদাকে আমি ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেছি। তারপরও তিনি আমার কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকে সালাম হাওলাদারকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে আমি কিছুটা সমস্যায় থাকায় নির্ধারিত সময়ে আমি তাকে ১০ হাজার টাকা দিতে পারি নাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সালাম হাওলাদার গত ৩ তারিখ আমার ঘেরে প্রবেশ করে মেশিন বসিয়ে পানি খিসতে থাকে এবং জাল দিয়ে ঘেরে থাকা প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার মাছ লুটে নেয়। খবর পেয়ে আমি ঘেরের কাছে গেলে আমাকে নানা প্রকার হুমকি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, নূর মোহাম্মদ বছর চুক্তি হাড়ির টাকা দিয়ে আমার কাছ থেকে ঘেরটি নেয়। কিন্তু গতবছর তিনি আমাকে একটি টাকাও দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে শালিস-বৈঠক হলে আমাকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু নূর মোহাম্মদ সময় পার হয়ে যাবার পরও আমাকে টাকা দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমি ঘেরে মেশিন লাগাই। কিন্তু মাস লুটে নেওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যা, ঘেরের মাছ ধরার জন্য আমি মেশিন লাগালেও এখন পর্যন্ত একটি মাছও ধরা হয়টি। আমার ইচ্ছা ছিল মাছ ধরে আমার টাকা বুঝে নিয়ে বাকি টাকা তাকে ফেরত দেওয়ার। এখানে মাছ লুটের কোন ঘটনা ঘটেনি।

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোমেন দাস বলেন, ঘের থেকে মাছ লুটের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঘের থেকে মাছ লুটের অভিযোগ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের মদারদিয়া গ্রাম নূর মোহাম্মদ নামের এক ব্যবসায়ীর মাছের ঘের থেকে মাছ লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী নূর মোহাম্মদ রামপাল রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী নূর মোহাম্মদ বলেন, মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদারের কাছ থেকে বছর চুক্তি হাড়ির টাকায় মাদারদিয়া গ্রামের সাড়ে ৩ বিঘার একটি ঘের লিজ নেই। দীর্ঘ দুই বছর ধরে আমি ওই ঘেরটিতে চিংড়িসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করে আসছি। হাড়ির টাকা হিসেবে গত দুই বছরে সালাম হাওলাদাকে আমি ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেছি। তারপরও তিনি আমার কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকে সালাম হাওলাদারকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে আমি কিছুটা সমস্যায় থাকায় নির্ধারিত সময়ে আমি তাকে ১০ হাজার টাকা দিতে পারি নাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সালাম হাওলাদার গত ৩ তারিখ আমার ঘেরে প্রবেশ করে মেশিন বসিয়ে পানি খিসতে থাকে এবং জাল দিয়ে ঘেরে থাকা প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার মাছ লুটে নেয়। খবর পেয়ে আমি ঘেরের কাছে গেলে আমাকে নানা প্রকার হুমকি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, নূর মোহাম্মদ বছর চুক্তি হাড়ির টাকা দিয়ে আমার কাছ থেকে ঘেরটি নেয়। কিন্তু গতবছর তিনি আমাকে একটি টাকাও দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে শালিস-বৈঠক হলে আমাকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু নূর মোহাম্মদ সময় পার হয়ে যাবার পরও আমাকে টাকা দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমি ঘেরে মেশিন লাগাই। কিন্তু মাস লুটে নেওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যা, ঘেরের মাছ ধরার জন্য আমি মেশিন লাগালেও এখন পর্যন্ত একটি মাছও ধরা হয়টি। আমার ইচ্ছা ছিল মাছ ধরে আমার টাকা বুঝে নিয়ে বাকি টাকা তাকে ফেরত দেওয়ার। এখানে মাছ লুটের কোন ঘটনা ঘটেনি।

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোমেন দাস বলেন, ঘের থেকে মাছ লুটের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।