ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং

শাহ জালাল, বরিশাল
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:২০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪ ১১৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অব্যাহত তাপ প্রবাহে সময়ে চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ ঘাটতির ফলে বরিশালে সুস্থ স্বাভাবিক জনজীবন ওষ্ঠাগত। রমজানের শেষ প্রান্তে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের ২-৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস ওপরে উঠে যাওয়ার সাথে চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ ঘাটতি জনজীবনে দুর্ভোগের মাত্রা বৃদ্ধি করে চলেছে।

আর তাপ প্রবাহের সাথে বিদুৎ সংকট ঈদের বাজারেও যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব ফেলছে। যদিও এবার বরিশালে ঈদের বেচাকেনার বেশীরভাগই ফুটপাথ ও হকার্স মার্কেট মুখি তবুও দুঃসহ গরমের সাথে বিদ্যুৎ সংকট পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে তুলছে।

আবহাওয়া বিভাগ ৯ এপ্রিল থেকে পরবর্তি ৫ দিন তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধির কথাও জানিয়ে রেখেছে। এর আগে ৩ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৩দিন বরিশাল সহ কয়েকটি এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথা বলা হয়েছিল।

চলতি এপ্রিল মাসে বরিশালে সর্বোচ্চ স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৩.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের স্থলে শুক্রবারে ৩৪.২ এবং শনিবার দুপুরে প্রায় ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠে যায়। আর সকালে সর্বনিম্ন স্বাভাবিক তাপমাত্রা ২৩.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের স্থলে শনিবার তা ছিল ৪.২ ডিগ্রী বেশী ২৭.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। চৈত্রের শেষপ্রান্তে বসন্তের এ সময়ে তাপমাত্রার সাথে জলীয় বাস্পের আধিক্যের বিষয়টি জনজীবনে নতুন সংকট তৈরী করছে।

অপরদিকে, চলমান তাপ প্রবাহের মধ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতির এ সময়ে ‘হিট স্ট্রোক’ এর আশংকা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ ব্যপারে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। রোজাদারদের ছাড়াও শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের যথাসম্ভব রোদ ও গরম এড়িয়ে চলা সহ ইফতারী থেকে সেহেরী পর্যন্ত ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে বেশী পরিমানে পানি ও খাবার স্যালাইন পান এবং তাজা ফলমুল গ্রহনের তাগিদ দিয়েছেন।

এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যায় ইফতারীর সাথেই বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেক এলাকায় তারাবীর সময়ও অব্যাহত থাকছে। এমনকি বাড়তি তাপমাত্রার সাথে অন্ধকার আর গরমে তারাবীর নামাজ আদায় করতে গিয়ে মুসুল্লীদের দুর্ভোগ সব সীমা ছাড়াচ্ছে। শহরের চেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পেরিয়ে লোড সেডিং তুলনামূলক বেশী বলেও অভিযোগ রয়েছে। সাথে বিতরণ ব্যবস্থার গলদে বরিশাল মহানগরী সহ সন্নিহিত এলাকাগুলোতে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট জনজীবনে দূর্ভোগ বৃদ্ধি করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:২০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

অব্যাহত তাপ প্রবাহে সময়ে চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ ঘাটতির ফলে বরিশালে সুস্থ স্বাভাবিক জনজীবন ওষ্ঠাগত। রমজানের শেষ প্রান্তে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের ২-৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস ওপরে উঠে যাওয়ার সাথে চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ ঘাটতি জনজীবনে দুর্ভোগের মাত্রা বৃদ্ধি করে চলেছে।

আর তাপ প্রবাহের সাথে বিদুৎ সংকট ঈদের বাজারেও যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব ফেলছে। যদিও এবার বরিশালে ঈদের বেচাকেনার বেশীরভাগই ফুটপাথ ও হকার্স মার্কেট মুখি তবুও দুঃসহ গরমের সাথে বিদ্যুৎ সংকট পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে তুলছে।

আবহাওয়া বিভাগ ৯ এপ্রিল থেকে পরবর্তি ৫ দিন তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধির কথাও জানিয়ে রেখেছে। এর আগে ৩ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৩দিন বরিশাল সহ কয়েকটি এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথা বলা হয়েছিল।

চলতি এপ্রিল মাসে বরিশালে সর্বোচ্চ স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৩.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের স্থলে শুক্রবারে ৩৪.২ এবং শনিবার দুপুরে প্রায় ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠে যায়। আর সকালে সর্বনিম্ন স্বাভাবিক তাপমাত্রা ২৩.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের স্থলে শনিবার তা ছিল ৪.২ ডিগ্রী বেশী ২৭.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। চৈত্রের শেষপ্রান্তে বসন্তের এ সময়ে তাপমাত্রার সাথে জলীয় বাস্পের আধিক্যের বিষয়টি জনজীবনে নতুন সংকট তৈরী করছে।

অপরদিকে, চলমান তাপ প্রবাহের মধ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতির এ সময়ে ‘হিট স্ট্রোক’ এর আশংকা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ ব্যপারে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। রোজাদারদের ছাড়াও শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের যথাসম্ভব রোদ ও গরম এড়িয়ে চলা সহ ইফতারী থেকে সেহেরী পর্যন্ত ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে বেশী পরিমানে পানি ও খাবার স্যালাইন পান এবং তাজা ফলমুল গ্রহনের তাগিদ দিয়েছেন।

এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যায় ইফতারীর সাথেই বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেক এলাকায় তারাবীর সময়ও অব্যাহত থাকছে। এমনকি বাড়তি তাপমাত্রার সাথে অন্ধকার আর গরমে তারাবীর নামাজ আদায় করতে গিয়ে মুসুল্লীদের দুর্ভোগ সব সীমা ছাড়াচ্ছে। শহরের চেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পেরিয়ে লোড সেডিং তুলনামূলক বেশী বলেও অভিযোগ রয়েছে। সাথে বিতরণ ব্যবস্থার গলদে বরিশাল মহানগরী সহ সন্নিহিত এলাকাগুলোতে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট জনজীবনে দূর্ভোগ বৃদ্ধি করছে।