ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটার আন্দোলনে ঝরে গেলো আরও ১১ প্রাণ

বিশেষ প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৩০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে।

সংঘর্ষে নিহত ৪ জনের মরদেহ রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে রয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক মিজানুর রহমান গনমাধ্যমকে বলেন, নিহত ৪ জনের মধ্যে দুইজন শিক্ষার্থী রয়েছে। অপর দুইজনের সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

এর আগে উত্তরায় পুলিশ ও র‍্যাবের সাথে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের একজন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যায়। আরেকজন উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে মারা যায়। দুই হাসপাতালের চিকিৎসকরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সব মিলিয়ে উত্তরায় ৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে হাসপাতাল সূত্রে। এছাড়া ধানমণ্ডিতে সংঘর্ষে ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের এক শিক্ষার্থী, রামপুরায় এক গাড়ীচালক, যাত্রাবাড়ীতে এক রিকশাচালক, সাভারে এক শিক্ষার্থী এবং মাদারীপুরে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার দিকে সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক রিকশাচালককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ৩০ বছর।

রাজধানীর উত্তরায় কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ ও র‍্যাবের সংঘর্ষ শুরু হয় বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার পর থেকে।

এছাড়া কোটা সংস্কার ইস্যুতে সহিংসতা চলছে রাজধানীর আরো বেশ কয়েকটি এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে মেরুল বাড্ডা এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। পরে তা পাশের রামপুরা ও মালিবাগ এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে। রামপুরায় বিটিভি ভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধরা। সংঘর্ষ চলছে যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া এলাকায়।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুপুরে আহত ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র মারা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কোটার আন্দোলনে ঝরে গেলো আরও ১১ প্রাণ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৩০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে।

সংঘর্ষে নিহত ৪ জনের মরদেহ রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে রয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক মিজানুর রহমান গনমাধ্যমকে বলেন, নিহত ৪ জনের মধ্যে দুইজন শিক্ষার্থী রয়েছে। অপর দুইজনের সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

এর আগে উত্তরায় পুলিশ ও র‍্যাবের সাথে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের একজন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যায়। আরেকজন উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে মারা যায়। দুই হাসপাতালের চিকিৎসকরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সব মিলিয়ে উত্তরায় ৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে হাসপাতাল সূত্রে। এছাড়া ধানমণ্ডিতে সংঘর্ষে ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের এক শিক্ষার্থী, রামপুরায় এক গাড়ীচালক, যাত্রাবাড়ীতে এক রিকশাচালক, সাভারে এক শিক্ষার্থী এবং মাদারীপুরে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার দিকে সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক রিকশাচালককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ৩০ বছর।

রাজধানীর উত্তরায় কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ ও র‍্যাবের সংঘর্ষ শুরু হয় বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার পর থেকে।

এছাড়া কোটা সংস্কার ইস্যুতে সহিংসতা চলছে রাজধানীর আরো বেশ কয়েকটি এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে মেরুল বাড্ডা এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। পরে তা পাশের রামপুরা ও মালিবাগ এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে। রামপুরায় বিটিভি ভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধরা। সংঘর্ষ চলছে যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া এলাকায়।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুপুরে আহত ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র মারা যায়।