ঈদের দিন সাগরকন্যা কুয়াকাটায় ভীড় জমিয়েছে স্থানীয় দর্শনার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে এসব দর্শনার্থীরা ভীড় করে কুয়াকাটা সৈকতে। ঈদুল ফিতর ও বৈশাখের লম্বা ছুটিতে আনন্দ উপভোগ করতে নানা উন্মাদনায় মেতে ওঠে আগতরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্ট, শুটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন মহিলা মার্কেট, রাখাইন পল্লী, জাতীয় উদ্যান, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন, সৈকতের ঝাউবাগানসহ পর্যটন স্পটগুলো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে।

পার্শ্ববর্তী জেলা বরগুনার আমতলী উপজেলা থেকে ঘুরতে আসা আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমি পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসলাম। সকালে পুরো সৈকত মূখর। অনেক লোক এসেছে, বেশ ভালো লাগছে।

আবাসিক হোটেল কানসাই ইনের ম্যানেজার জুয়েল ফরাজী বলেন, আজকে স্থানীয় দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেশি পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। আগামীকাল থেকে প্রচুর সংখ্যক পর্যটক কুয়াকাটা আসবেন। এবারের ঈদের ছুটিতে আমাদের ৬০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। শুক্র ও শনিবারকে কেন্দ্র করে আমরা ভালো একটা সারা পাচ্ছি। আশা করছি সামনের পুরো সপ্তাহজুড়ে ভালো পর্যটক পাবো।

ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল কে.এম.জহিরুল ইসলাম বলেন , ঈদের ছুটি উপলক্ষে আজকে কুয়াকাটায় অনেক দর্শনার্থী এসেছেন । স্থানীয় পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর গোটা সৈকত।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে ছয়টি টিম নিয়োজিত করেছি। যাতে সব ধরনের অপ্রতিকার ঘটনা ঠেকানো যায়। ছুটিরদিনগুলোতে বিশেষ করে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ে। পর্যটকদের সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।