ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ৯ জনের প্রাণহানি

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৩২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪ ১০০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কালবৈশাখী চালিয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায় । আর এই তান্ডবে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। এরমধ্যে ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে নারী ও শিশুসহ ৩ জন, পটুয়াখালীর বাউফলে দুই জন, ভোলা, নেত্রকোণা, পিরোজপুর ও বাগেরহাটে একজন করে নিহত হয়েছেন। এছাড়া কালবৈশাখীর তান্ডবে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-

ঝালকাঠিতে রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রবল ঝড় ও বর্ষণের সাথে বজ্রপাত হয়। এ সময় কাঠালিয়া উপজেলার মুন্সিরাবাদ গ্রামে হেলেনা বেগম (৪৪) নামে একজন বজ্রপাতে মারা যান। সদর উপজেলার ইসালিয়া গ্রামে নিহত হয়েছে মাহিয়া আক্তার (১২) নামের এক শিশু। এছাড়া, বজ্রপাতে মিনারা বেগম নামে এক নারী গুরুতর আহত হন। পরে দুপুরের দিকে তিনিও মারা যান।

এদিকে, পটুয়াখালীর বাউফলে কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ঝড়ের সময় গাছচাপায় একজন মারা গেছেন।ঝড়ের পর এক শিশুকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আহত হয়েছেন ২০ জন ।

ভোলার লালমোহন ও মনপুরায় কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় শতাধিক কাঁচা বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও লালমোহনে ঘরের নিচে চাপা পড়ে মো. হারিচ আহমেদ নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। হারিচ ভিক্ষাবৃত্তি করতেন।

কালবৈশাখীর তাণ্ডবস চালিয়েছে পিরোজপুরেও। রোববার সকালে শুরু হয় ঝড়। প্রায় ১৫ মিনিটের ঝড়ে পিরোজপুর শতশত গাছ উপড়ে পড়ে। এসময় রুবী বেগম (২২) নামে এক নারী নিহত হন।

এদিকে, নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে একজন মারা গেছেন। তার নাম-শহীদ মিয়া (৫২)। বাগেরহাট জেলার কচুয়ায় বজ্রপাতে লিকসান সরদার নামে একজ মারা গেছেন।

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে মো. আক্তার হোসেন (৩৫) নামে একজন মারা গেছেন। তিনি গত ৩১ মার্চ রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে আহত হন। শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ৯ জনের প্রাণহানি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৩২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

কালবৈশাখী চালিয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায় । আর এই তান্ডবে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। এরমধ্যে ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে নারী ও শিশুসহ ৩ জন, পটুয়াখালীর বাউফলে দুই জন, ভোলা, নেত্রকোণা, পিরোজপুর ও বাগেরহাটে একজন করে নিহত হয়েছেন। এছাড়া কালবৈশাখীর তান্ডবে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-

ঝালকাঠিতে রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রবল ঝড় ও বর্ষণের সাথে বজ্রপাত হয়। এ সময় কাঠালিয়া উপজেলার মুন্সিরাবাদ গ্রামে হেলেনা বেগম (৪৪) নামে একজন বজ্রপাতে মারা যান। সদর উপজেলার ইসালিয়া গ্রামে নিহত হয়েছে মাহিয়া আক্তার (১২) নামের এক শিশু। এছাড়া, বজ্রপাতে মিনারা বেগম নামে এক নারী গুরুতর আহত হন। পরে দুপুরের দিকে তিনিও মারা যান।

এদিকে, পটুয়াখালীর বাউফলে কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ঝড়ের সময় গাছচাপায় একজন মারা গেছেন।ঝড়ের পর এক শিশুকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আহত হয়েছেন ২০ জন ।

ভোলার লালমোহন ও মনপুরায় কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় শতাধিক কাঁচা বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও লালমোহনে ঘরের নিচে চাপা পড়ে মো. হারিচ আহমেদ নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। হারিচ ভিক্ষাবৃত্তি করতেন।

কালবৈশাখীর তাণ্ডবস চালিয়েছে পিরোজপুরেও। রোববার সকালে শুরু হয় ঝড়। প্রায় ১৫ মিনিটের ঝড়ে পিরোজপুর শতশত গাছ উপড়ে পড়ে। এসময় রুবী বেগম (২২) নামে এক নারী নিহত হন।

এদিকে, নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে একজন মারা গেছেন। তার নাম-শহীদ মিয়া (৫২)। বাগেরহাট জেলার কচুয়ায় বজ্রপাতে লিকসান সরদার নামে একজ মারা গেছেন।

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে মো. আক্তার হোসেন (৩৫) নামে একজন মারা গেছেন। তিনি গত ৩১ মার্চ রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে আহত হন। শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।