কাঁচা পাট নিয়ে বিপাকে পাবনার কৃষকরা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
চলতি বছরে পাবনান আটঘরিয়ায় পাটের আবাদ কমেছে। আশানুরূপ ফলনা না হওয়া, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া এবং ন্যায্য দাম না পাওয়ার পাশাপাশি পাট জাগ দেয়ার খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় আবাদ কমেছে।
কৃষকরা বলেন, চলতি বছর অধিকাংশ কৃষক ধান চাষ করেছেন। তবে পাট অধিদপ্তরের দাবি, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় কমেছে পাটের আবাদ। কৃষি বিভাগের তশ্যমতে, পাট চাষে আগ্রহী করার জন্য কৃষকদের প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুবিধা ও বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে চাষিদের।
আটঘরিয়া উপজেলার ডেঙ্গাগ্রাম গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ বলেন, পাট চাষে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। পাট পচানো পানি আর শ্রমিকের অভাব থাকা সত্বেও পাঠ চাষ করতাম। এতো কিছুর পরেও ন্যায্যমূল্য পাইনি।
কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, গত বছর কয়েক বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছিলাম। যে টাকা খরচ করেছিলাম তাও আসেনি। তাই এবার পাট চাষ করিনি।
কৃষক রিপন আলী বলেন, পাট পচানোর জন্য উন্মুক্ত জলাশয় না থাকায় চাষিরা পাট চাষে অনীহা প্রকাশ করছেন। খাল-বিল সংস্কার ও দখল হয়ে যাওয়া জলাশয় উন্মুক্ত ঘোষণা করলে পাট চাষ বৃদ্ধি করা সম্ভব।
জানা গেছে, খাল-বিলসহ জলাশয়ে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট পচানো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত, মাজপাড়া, দেবোত্তর, লক্ষীপুর, অভিরামপুর, চাঁদভা ও আটঘরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য কৃষক। সময় মতো পাট কেটে পচাতে না পারলে পাটের রং সুন্দর হবে না। ন্যায্য মূল্য না পাওয়ারও শঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সজিব আল মারুফ এ বিষয়ে জানান, উপজেলায় চলতি বছর পাটের আবাদ হয়েছে চার হাজার ৮’শ ৬৩ হেক্টর। জাত-জি আর ও ৫২৪ ও রবি-১। উপজেলায় এবার পাটের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে -৫ হাজার ১’শ হেক্টর।