ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলা হ্যারিসে চাঙ্গা ডেমক্রেটরা

শিতাংশু গুহ, নিউইয়র্ক থেকে
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা দেরিতে হলেও শেষপর্যন্ত কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে কমলা হ্যারিস ডেমক্রেট দলের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছেন। ইতোপূর্বে প্রেসিডেন্ট বাইডেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, সিনেট নেতা চাক স্যুমার, হাউস ডেমোক্রেট নেতা হেকিম জেফরী, সাবেক স্পীকার ন্যান্সী পেলোসি, বেশিরভাগ ডেমোক্রেট গভর্নর, ডেলিগেট, বিভিন্ন স্টেস্টের ডেমক্রেট নেতৃবৃন্দ কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানান।

দৃশ্যত: কমলা হ্যারিসের কোন প্রতিদ্ধন্ধী নেই। এরফলে ১৯শে আগষ্ট শিকাগোতে অনুষ্ঠিতব্য ডেমক্রেট সম্মেলনে তিনি দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রাথী হচ্ছেন তা স্পষ্ট।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সাথে সাথে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেয়ায় তিনি দ্রুত এগিয়ে যেতে সমর্থ হন এবং দক্ষতার সাথে দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করেন। প্রশ্ন উঠেছে, কমলাকে সমর্থন দিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ঠিক কাজ করেছেন কিনা? কারণ যুক্তরাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক প্রথা হচ্ছে, সিটিং প্রেসিডেন্ট সম্মেলনের পরেই কেবল প্রার্থীকে সমর্থন জানান। আরো প্রশ্ন যে, কমলা একটি ভোটও পাননি, একটি ডেলিগেট জেতেননি, অর্থাৎ তিনি প্রতিদ্ধন্ধিতা করেননি। এমনকি ২০২০-তেও তিনি কোন ভোট বা ডেলিগেট পাননি। কারণ বাইডেন সম্মেলনের পূর্বে তাকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন দেন্। এটা কি গণতন্ত্র?

কমলা হ্যারিস প্রার্থী হবার সাথে সাথে ডেমোক্রেটিক পার্টিতে প্রাণ-চাঞ্চল্য ফিরে আসে। ৪৮ ঘন্টায় তার নির্বাচনী তহবিলে ১০০মিলিয়ন ডলার চাঁদা ওঠে। বাইডেন বুধবার ওভাল অফিস থেকে ১১মিনিটের এক ভাষণে তার ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন গণতন্ত্রের জন্যেই তার সরে দাঁড়ানো। কেন্টাকির রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জেমস কমার বলেছেন, বাইডেন গণতন্ত্রের মুখ চপেটাঘাত করেছেন। বাইডেন অবশ্য ট্রাম্পের নাম না নিয়ে তার সমালোচনা করেছেন। কমলা হ্যারিস বলেছেন, এবারের নির্বাচন চরমপন্থার বিরুদ্ধে। ফ্লোরিডার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান বায়রন ডোনাল্ডস বলেছেন, কমলা এলিটদের সমর্থন পেয়েছেন, ভোটারদের নন।

সিএনএন জানায়, ট্রাম্প ৪৯% ভোটে কমলা হ্যারিস ৪৬% থেকে এগিয়ে। ইমারসন জরীপ বলেছে, ৪টি ব্যাটেলগ্রাউন্ড টেস্টে ট্রাম্প এগিয়ে আছেন। ইমারসন কলেজ পোলিং/ দি হিল সার্ভে বলেছে, আরিজোনায় ট্রাম্প (৪৯-৪৪%), জর্জিয়ায় (৪৮-৪৬), মিশিগান (৪৬-৪৫), পেনসিলভানিয়া (৪৮-৪৬), উইসকনসিন (৪৭-৪৭)। এসব ষ্টেটে যারা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি তাদের পরিসংখ্যান হচ্ছে, আরিজোনা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া ৭%, মিশিগান ৯%, উইসকনসিন ৫%। এদিকে কমলা হ্যারিস কাকে তার ভাইস-প্রেসিডেন্ট নেবেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। প্রায় এক ডজন নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। পেনসিলভানিয়ার গভর্নর হোজে সাপিরো, নর্থ ক্যারোলিনার গভর্নর রয় কুপার, আরিজোনার সিনেটর মার্ক কেলী এই তালিকায় এগিয়ে আছেন। তবে কমলা হয়তো তার ভিপি হিসাবে একজন শ্বেতাঙ্গ-পুরুষ মনোনয়ন দেবেন।

এদিকে নর্থ ক্যারোলিনার শার্লোটে বুধবার এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেছেন, গুলী খাওয়ার পর আমি ভদ্র হয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু ওঁরা এতো খারাপ যে ওদের সাথে ভদ্রতা চলেনা। এরপর তিনি কমলা হ্যারিসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কমলা রেডিকেল বাম, পাগল, কমলা জিতলে এক বছরের মধ্যে আমেরিকাকে ধ্বংস করে দেবে। তিনি বলেন, কমলা যাতে হাত দেন্, সেটাই শেষ। তিনি বর্ডারে হাত দিয়েছেন, ২মিলিয়ন এলিয়েন ঢুকে গেছে। তিনি ইউরোপ গেছেন রাশিয়াকে ঠেকাতে, ফিরে আসার পাঁচদিনের মধ্যে পুটিন ইউক্রেনে ঢুকে পরে। ট্রাম্প এক পর্যায়ে বলেন, কমলা, ইউ আর ফায়ার্ড।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কমলা হ্যারিসে চাঙ্গা ডেমক্রেটরা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা দেরিতে হলেও শেষপর্যন্ত কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে কমলা হ্যারিস ডেমক্রেট দলের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছেন। ইতোপূর্বে প্রেসিডেন্ট বাইডেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, সিনেট নেতা চাক স্যুমার, হাউস ডেমোক্রেট নেতা হেকিম জেফরী, সাবেক স্পীকার ন্যান্সী পেলোসি, বেশিরভাগ ডেমোক্রেট গভর্নর, ডেলিগেট, বিভিন্ন স্টেস্টের ডেমক্রেট নেতৃবৃন্দ কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানান।

দৃশ্যত: কমলা হ্যারিসের কোন প্রতিদ্ধন্ধী নেই। এরফলে ১৯শে আগষ্ট শিকাগোতে অনুষ্ঠিতব্য ডেমক্রেট সম্মেলনে তিনি দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রাথী হচ্ছেন তা স্পষ্ট।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সাথে সাথে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেয়ায় তিনি দ্রুত এগিয়ে যেতে সমর্থ হন এবং দক্ষতার সাথে দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করেন। প্রশ্ন উঠেছে, কমলাকে সমর্থন দিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ঠিক কাজ করেছেন কিনা? কারণ যুক্তরাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক প্রথা হচ্ছে, সিটিং প্রেসিডেন্ট সম্মেলনের পরেই কেবল প্রার্থীকে সমর্থন জানান। আরো প্রশ্ন যে, কমলা একটি ভোটও পাননি, একটি ডেলিগেট জেতেননি, অর্থাৎ তিনি প্রতিদ্ধন্ধিতা করেননি। এমনকি ২০২০-তেও তিনি কোন ভোট বা ডেলিগেট পাননি। কারণ বাইডেন সম্মেলনের পূর্বে তাকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন দেন্। এটা কি গণতন্ত্র?

কমলা হ্যারিস প্রার্থী হবার সাথে সাথে ডেমোক্রেটিক পার্টিতে প্রাণ-চাঞ্চল্য ফিরে আসে। ৪৮ ঘন্টায় তার নির্বাচনী তহবিলে ১০০মিলিয়ন ডলার চাঁদা ওঠে। বাইডেন বুধবার ওভাল অফিস থেকে ১১মিনিটের এক ভাষণে তার ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন গণতন্ত্রের জন্যেই তার সরে দাঁড়ানো। কেন্টাকির রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জেমস কমার বলেছেন, বাইডেন গণতন্ত্রের মুখ চপেটাঘাত করেছেন। বাইডেন অবশ্য ট্রাম্পের নাম না নিয়ে তার সমালোচনা করেছেন। কমলা হ্যারিস বলেছেন, এবারের নির্বাচন চরমপন্থার বিরুদ্ধে। ফ্লোরিডার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান বায়রন ডোনাল্ডস বলেছেন, কমলা এলিটদের সমর্থন পেয়েছেন, ভোটারদের নন।

সিএনএন জানায়, ট্রাম্প ৪৯% ভোটে কমলা হ্যারিস ৪৬% থেকে এগিয়ে। ইমারসন জরীপ বলেছে, ৪টি ব্যাটেলগ্রাউন্ড টেস্টে ট্রাম্প এগিয়ে আছেন। ইমারসন কলেজ পোলিং/ দি হিল সার্ভে বলেছে, আরিজোনায় ট্রাম্প (৪৯-৪৪%), জর্জিয়ায় (৪৮-৪৬), মিশিগান (৪৬-৪৫), পেনসিলভানিয়া (৪৮-৪৬), উইসকনসিন (৪৭-৪৭)। এসব ষ্টেটে যারা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি তাদের পরিসংখ্যান হচ্ছে, আরিজোনা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া ৭%, মিশিগান ৯%, উইসকনসিন ৫%। এদিকে কমলা হ্যারিস কাকে তার ভাইস-প্রেসিডেন্ট নেবেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। প্রায় এক ডজন নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। পেনসিলভানিয়ার গভর্নর হোজে সাপিরো, নর্থ ক্যারোলিনার গভর্নর রয় কুপার, আরিজোনার সিনেটর মার্ক কেলী এই তালিকায় এগিয়ে আছেন। তবে কমলা হয়তো তার ভিপি হিসাবে একজন শ্বেতাঙ্গ-পুরুষ মনোনয়ন দেবেন।

এদিকে নর্থ ক্যারোলিনার শার্লোটে বুধবার এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেছেন, গুলী খাওয়ার পর আমি ভদ্র হয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু ওঁরা এতো খারাপ যে ওদের সাথে ভদ্রতা চলেনা। এরপর তিনি কমলা হ্যারিসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কমলা রেডিকেল বাম, পাগল, কমলা জিতলে এক বছরের মধ্যে আমেরিকাকে ধ্বংস করে দেবে। তিনি বলেন, কমলা যাতে হাত দেন্, সেটাই শেষ। তিনি বর্ডারে হাত দিয়েছেন, ২মিলিয়ন এলিয়েন ঢুকে গেছে। তিনি ইউরোপ গেছেন রাশিয়াকে ঠেকাতে, ফিরে আসার পাঁচদিনের মধ্যে পুটিন ইউক্রেনে ঢুকে পরে। ট্রাম্প এক পর্যায়ে বলেন, কমলা, ইউ আর ফায়ার্ড।