ঢাকা ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসিআই কোম্পানীর বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

মো. মশিউর রহমান,টাঙ্গাইল
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টাঙ্গাইলে এসিআই কোম্পানীর কনজুমার ব্যান্ড গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার প্রতিবাদে এক ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার (১০ জুন) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মেসার্স মাহী এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মো. শফিকুল ইসলাম খান (সোহেল) লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি মেসার্স মাহী এন্টারপ্রাইজ নামে টাঙ্গাইল শহরে ১৯৯৮ সাল থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট এসিআই কোম্পানীর কনজুমার গ্রুপের পরিবেশক হিসেবে টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার, বাসাইল উপজেলায় নিয়োগ পাই। আমাকে নিয়োগ দেন এসিআই কোম্পানীর সুপারভাইজার এস এম সেলিম রেজা ওরফে সেলিম হোসেন। নিয়োগ দেওয়ার সময় আমার কাছ থেকে আমার স্বাক্ষরিত ৫টি চেক এবং স্বাক্ষরিত সাদা প্যাড জমা নিয়ে নেয়। মেসার্স মাহী এন্টারপ্রাইজ কোড নং RC15CI এই কোডে নগদে ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকি। এর কিছুদিন পর কোম্পানীর জোনাল ম্যানেজার আবুল কালাম তার নিজ নামের কোড RC15CY তার চাকুরির পদমর্যাদা দিয়ে কোড খুলে বিভিন্ন পরিবেশকের কাছে পণ্য পাঠান। আমি টাঙ্গাইলে ঐ পণ্য গ্রহণ করতে রাজি না হলে তার সুপারভাইজার এস এম সেলিম রেজা ওরফে সেলিম হোসেন দ্বারা আমাকে পণ্য গ্রহণ করতে রাজি করায় এই বলে যে, তিনি আমাকে এই পণ্য বিক্রির কমিশন এবং গোডাউন ভাড়া দেবেন। তবে এই পণ্য অন্যত্র বিক্রি হবে। পরবর্তীতে আমার অজ্ঞাতসারে আবুল কালাম আমার ফার্মের নাম মেসার্স মাহী এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ আবুল কালাম এই নামে আরেকটি কোড খুলেন RC15DI, এই কোডের পণ্যও আমার নিকট পাঠান এবং আমাকে কমিশন ও গোডাউন ভাড়া দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি অঅরও বলেন, এই পণ্য সুপারভাইজার সেলিম হোসেন তার বিক্রয় প্রতিনিধির দ্বারা গাড়ীতে করে আমার পরিবেশক এলাকার বাইরে অন্যত্র নিয়ে যায়। আমি তখন কোন তারিখে কত পরিমাণ পণ্য তারা নিলো তার হিসাব আমার নিকট সংরক্ষিত রেজিস্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করে রেজিস্টারে বিক্রয় প্রতিনিধির স্বাক্ষর রাখি। কোম্পানীর জিএম জাকির হোসেন সরকার তার স্বাক্ষরের মাধ্যমে ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার পণ্য নেন। এরপর ২০১৮ খ্রি. আমাকে কোম্পানীর সুপার ডিপো দিবে বলে আমার কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে ২ কোটি টাকার পেঅর্ডার এবং স্বাক্ষরিত সাদা ২০টি চেক ও মেসার্স মাহী এন্টারপ্রাইজ টাঙ্গাইল ফার্মের প্যাড নেয়। কিন্তু আমার এই ২ কোটি টাকার পেঅর্ডার আবুল কালাম তার নিজ নামীয় দুই কোডে RC15CY ও RC15DI তে জমা করেন। পণ্য নিয়ে যখন শেষ পর্যায়ে তখন আমি আমার টাকার জন্য জাকির হোসেন সরকার, জি এম; মোর্শেদ হাবিব এন,এস,এম; আবুল কালাম, জোনাল ম্যানেজার; এস এম সেলিম রেজা ওরফে সেলিম হোসেন, সুপারভাইজার; মানজির হোসেন, জোনাল ম্যানেজারকে আসামী করে টাঙ্গাইল সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সিআর ৪৯৯/২০২১ মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে সিআইডি টাঙ্গাইল-এর উপর তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করলে প্রায় ৪ বৎসর তদন্ত করে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে ৪০৬, ৪২০, ৪০৮ এবং ১০৯ এই ৪টি ধারায় পাঁচজনের নামে অপরাধ প্রমাণিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এক পর্যায়ে তারা আমার জামানতকৃত চেকের মধ্যে ৩টি চেক দ্বারা চেক ডিজঅনার করে এসিআই কোম্পানীকে দিয়ে ঢাকা জজ কোর্টে মামলা (নং- ৯০৯, ৯১০, ৯১৩) দায়ের করে; যা চলমান রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এসিআই কোম্পানীর বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

টাঙ্গাইলে এসিআই কোম্পানীর কনজুমার ব্যান্ড গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার প্রতিবাদে এক ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার (১০ জুন) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মেসার্স মাহী এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মো. শফিকুল ইসলাম খান (সোহেল) লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি মেসার্স মাহী এন্টারপ্রাইজ নামে টাঙ্গাইল শহরে ১৯৯৮ সাল থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট এসিআই কোম্পানীর কনজুমার গ্রুপের পরিবেশক হিসেবে টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার, বাসাইল উপজেলায় নিয়োগ পাই। আমাকে নিয়োগ দেন এসিআই কোম্পানীর সুপারভাইজার এস এম সেলিম রেজা ওরফে সেলিম হোসেন। নিয়োগ দেওয়ার সময় আমার কাছ থেকে আমার স্বাক্ষরিত ৫টি চেক এবং স্বাক্ষরিত সাদা প্যাড জমা নিয়ে নেয়। মেসার্স মাহী এন্টারপ্রাইজ কোড নং RC15CI এই কোডে নগদে ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকি। এর কিছুদিন পর কোম্পানীর জোনাল ম্যানেজার আবুল কালাম তার নিজ নামের কোড RC15CY তার চাকুরির পদমর্যাদা দিয়ে কোড খুলে বিভিন্ন পরিবেশকের কাছে পণ্য পাঠান। আমি টাঙ্গাইলে ঐ পণ্য গ্রহণ করতে রাজি না হলে তার সুপারভাইজার এস এম সেলিম রেজা ওরফে সেলিম হোসেন দ্বারা আমাকে পণ্য গ্রহণ করতে রাজি করায় এই বলে যে, তিনি আমাকে এই পণ্য বিক্রির কমিশন এবং গোডাউন ভাড়া দেবেন। তবে এই পণ্য অন্যত্র বিক্রি হবে। পরবর্তীতে আমার অজ্ঞাতসারে আবুল কালাম আমার ফার্মের নাম মেসার্স মাহী এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ আবুল কালাম এই নামে আরেকটি কোড খুলেন RC15DI, এই কোডের পণ্যও আমার নিকট পাঠান এবং আমাকে কমিশন ও গোডাউন ভাড়া দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি অঅরও বলেন, এই পণ্য সুপারভাইজার সেলিম হোসেন তার বিক্রয় প্রতিনিধির দ্বারা গাড়ীতে করে আমার পরিবেশক এলাকার বাইরে অন্যত্র নিয়ে যায়। আমি তখন কোন তারিখে কত পরিমাণ পণ্য তারা নিলো তার হিসাব আমার নিকট সংরক্ষিত রেজিস্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করে রেজিস্টারে বিক্রয় প্রতিনিধির স্বাক্ষর রাখি। কোম্পানীর জিএম জাকির হোসেন সরকার তার স্বাক্ষরের মাধ্যমে ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার পণ্য নেন। এরপর ২০১৮ খ্রি. আমাকে কোম্পানীর সুপার ডিপো দিবে বলে আমার কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে ২ কোটি টাকার পেঅর্ডার এবং স্বাক্ষরিত সাদা ২০টি চেক ও মেসার্স মাহী এন্টারপ্রাইজ টাঙ্গাইল ফার্মের প্যাড নেয়। কিন্তু আমার এই ২ কোটি টাকার পেঅর্ডার আবুল কালাম তার নিজ নামীয় দুই কোডে RC15CY ও RC15DI তে জমা করেন। পণ্য নিয়ে যখন শেষ পর্যায়ে তখন আমি আমার টাকার জন্য জাকির হোসেন সরকার, জি এম; মোর্শেদ হাবিব এন,এস,এম; আবুল কালাম, জোনাল ম্যানেজার; এস এম সেলিম রেজা ওরফে সেলিম হোসেন, সুপারভাইজার; মানজির হোসেন, জোনাল ম্যানেজারকে আসামী করে টাঙ্গাইল সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সিআর ৪৯৯/২০২১ মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে সিআইডি টাঙ্গাইল-এর উপর তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করলে প্রায় ৪ বৎসর তদন্ত করে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে ৪০৬, ৪২০, ৪০৮ এবং ১০৯ এই ৪টি ধারায় পাঁচজনের নামে অপরাধ প্রমাণিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এক পর্যায়ে তারা আমার জামানতকৃত চেকের মধ্যে ৩টি চেক দ্বারা চেক ডিজঅনার করে এসিআই কোম্পানীকে দিয়ে ঢাকা জজ কোর্টে মামলা (নং- ৯০৯, ৯১০, ৯১৩) দায়ের করে; যা চলমান রয়েছে।