ঢাকা ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি আনার হত্যা/ প্রথমে অজ্ঞান, তারপর মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত

নিজস্ব প্রতিবেদক ও কলকাতা প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনওয়ারুল আজিম আনারকে হত্যা করা হয়েছিলো কসাই দিয়ে। আর সেই ভাড়া করা কসাই হাড় মাংস আলাদা করে ফেলেছিলো তার। নৃশংসতার একেবারে চরম পর্যায়ে। কলকাতার নিউটাউনে হত্যা করা হয়েছিলো এমপিকে। সেই হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা সিআইডি। গ্রেফতারকৃতের নাম- জিহাদ হাওলাদার। তিনি খুলনার বাসিন্দা।

সিআইডির জিঞ্জাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সে। জাহিদ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলো। হত্যার আগে তাকে মুম্বাই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। গ্রেফতার কসাইয়ের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটির খালে ডুবুরি নামিয়ে দেহাংশের খোঁজে এখনো চলছে তল্লাশি।

এদিকে, অভিযুক্ত আখতারুজ্জামানের নির্দেশেই হত্যার অপারেশনে নামে জিহাদ। আরও সঙ্গীও ছিলো। তারাও সহায়তা করেছিলো বলে অভিযোগ। এমপি আনারকে প্রথমে শ্বাসরোধেহেত্যা করা হয়। এরপর শরীরের হাড় থেকে মাংস আলাদা করে ফেলা হয়। তারপর ব্যাগে ভরে ফেলা হয় সেই হাড় মাংস।

এবার সেই দেহাংশের খোঁজে ভাঙরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। খালে ডুবুরি নামানো হয়েছে। কচুরি পানায় ভরা পুরো খাল। আর সেখানেই নামানো হয়েছে ডুবুরি। সেখানে তল্লাশি চলছে। আকাশে ড্রোন উড়িয়ে ছবি তোলা হচ্ছে। এমপির দেহাংশ খুঁজে বের করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

তবে তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য় আসতে শুরু করেছে। সিআইডি তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, আজিম কলকাতায় আসার অনেক আগেই অভিযুক্তরা চলে এসেছিলো। একেবারে ছক কষে সব কাজ হচ্ছিল। হত্যার দিন দশেক আগে তারা কলকাতায় ডেরা বাঁধে। এমনকি খুনের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে তারা দফায় দফায় আলোচনায় বসে।

এদিকে, সেই হত্যার যে ভয়াবহ ঘটনা সামনে আসছে তা শুনে শিউরে উঠছেন অনেকেই। কীভাবে তাকে খুন করা হয়েছিল?

সূত্রের খবর, ক্লোরোফর্ম দিয়ে প্রথমে অজ্ঞান করা হয় এমপি আনোয়ারুলকে। তারপর মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিলো। এরপর তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার মাথায় আবার আঘাত করা হয়। তারপর তার দেহ লোপাট করতে মাংস, হাড় আলাদা করে ফেলা হয়। এরপর তা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরা হয়। সেই প্যাকেটগুলোকে এরপর ফেলে দেয়া হয় ভাঙরের কাছে পোলেরহাট এলাকায়। একটি খালে এই দেহাংশ ফেলা হয়েছিলো বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এমপি আনার হত্যা/ প্রথমে অজ্ঞান, তারপর মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনওয়ারুল আজিম আনারকে হত্যা করা হয়েছিলো কসাই দিয়ে। আর সেই ভাড়া করা কসাই হাড় মাংস আলাদা করে ফেলেছিলো তার। নৃশংসতার একেবারে চরম পর্যায়ে। কলকাতার নিউটাউনে হত্যা করা হয়েছিলো এমপিকে। সেই হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা সিআইডি। গ্রেফতারকৃতের নাম- জিহাদ হাওলাদার। তিনি খুলনার বাসিন্দা।

সিআইডির জিঞ্জাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সে। জাহিদ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলো। হত্যার আগে তাকে মুম্বাই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। গ্রেফতার কসাইয়ের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটির খালে ডুবুরি নামিয়ে দেহাংশের খোঁজে এখনো চলছে তল্লাশি।

এদিকে, অভিযুক্ত আখতারুজ্জামানের নির্দেশেই হত্যার অপারেশনে নামে জিহাদ। আরও সঙ্গীও ছিলো। তারাও সহায়তা করেছিলো বলে অভিযোগ। এমপি আনারকে প্রথমে শ্বাসরোধেহেত্যা করা হয়। এরপর শরীরের হাড় থেকে মাংস আলাদা করে ফেলা হয়। তারপর ব্যাগে ভরে ফেলা হয় সেই হাড় মাংস।

এবার সেই দেহাংশের খোঁজে ভাঙরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। খালে ডুবুরি নামানো হয়েছে। কচুরি পানায় ভরা পুরো খাল। আর সেখানেই নামানো হয়েছে ডুবুরি। সেখানে তল্লাশি চলছে। আকাশে ড্রোন উড়িয়ে ছবি তোলা হচ্ছে। এমপির দেহাংশ খুঁজে বের করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

তবে তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য় আসতে শুরু করেছে। সিআইডি তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, আজিম কলকাতায় আসার অনেক আগেই অভিযুক্তরা চলে এসেছিলো। একেবারে ছক কষে সব কাজ হচ্ছিল। হত্যার দিন দশেক আগে তারা কলকাতায় ডেরা বাঁধে। এমনকি খুনের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে তারা দফায় দফায় আলোচনায় বসে।

এদিকে, সেই হত্যার যে ভয়াবহ ঘটনা সামনে আসছে তা শুনে শিউরে উঠছেন অনেকেই। কীভাবে তাকে খুন করা হয়েছিল?

সূত্রের খবর, ক্লোরোফর্ম দিয়ে প্রথমে অজ্ঞান করা হয় এমপি আনোয়ারুলকে। তারপর মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিলো। এরপর তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার মাথায় আবার আঘাত করা হয়। তারপর তার দেহ লোপাট করতে মাংস, হাড় আলাদা করে ফেলা হয়। এরপর তা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরা হয়। সেই প্যাকেটগুলোকে এরপর ফেলে দেয়া হয় ভাঙরের কাছে পোলেরহাট এলাকায়। একটি খালে এই দেহাংশ ফেলা হয়েছিলো বলে জানা গেছে।