ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি আনার হত্যার রহস্য ঘনাচ্ছে, নেপালে নজর সিআইডির!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এখনও অধরা মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান। গ্রেপ্তার হয়নি কসাইকে সাহায্যকারী সিয়ামও। সূত্রের খবর, তার খোঁজেই নেপালে যেতে পারে সিআইডি। এদিকে, নিউটাউনের অভিজাত আবাসনে তদন্তে ফরেন্সিক টিম।

যতোই দিন গড়াচ্ছে, ততোই জটিল হচ্ছে এমপি আনার হত্যাকাণ্ড। এখনো অধরা মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান। গ্রেপ্তার হয়নি কসাইকে সহায়তাকারী সিয়ামও। সংবাদমাধ্যমের সূত্রের খবর, তার খোঁজেই নেপালে যেতে পারে সিআইডি।

আরও পড়ুন: একেকটি মাংসের টুকরার ওজন ১০০ গ্রাম, মেপে দেখেন কসাই জিহাদ!

এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন। তিনি আমেরিকার নাগরিক। কলকাতার নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটটি ২০১৮ সালে ভাড়া নেন আখতারুজ্জামান। আর সেখানেই হত্যা করা হয় এমপিকে। তদন্তকারীদের ধারণা, এমপি আনারকে হত্যার পরই দেশ ছেড়েছেন আখতারুজ্জামান। তার খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। সম্ভবত প্রথমে কলকাতা থেকে নেপালে যান। আর সেখান থেকেই পালিয়ে আখতারুজ্জামান দুবাই কিংবা আমেরিকাতে গাঢাকা দিতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। এছাড়া আরেক অভিযুক্ত সিয়ামও সম্ভবত নেপালে চলে গেছে বলে ধারনা তদন্ত সংশ্লিষ্টদের। সিয়াম কোন রুটে পালিয়ে গেছে, তা জানতেই নেপালে পাড়ি দিতে পারেন সিআইডি কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন: এসএসসিতে ফেল করলেও ভর্তি হওয়া যাবে কলেজে

মঙ্গলবার (২৮ মে) তল্লাশি চালিয়ে কলকাতার নিউটাউনে আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে প্রায় সাড়ে তিন কেজি টুকরা করা মাংস ও চুল উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। একেকটি মাংসের টুকরো ছিলো ৭০ থেকে ১০০ গ্রাম।

পেশায় কসাই এমপি আনারের মাংস কেটে তার সসাথে থাকা ছোট ওজনযন্ত্রে কয়েকটি মাংসের টুকরা ওজন করে দেখেও নিয়েছিলো বলেই জানা গেছে। মাংসের গায়ে মাখানো ছিল হলুদ। এবার চলছে রক্তের চিহ্নের সন্ধান। দেহটি কেটে টুকরা টুকরা করার পর বাথরুমে ধুয়ে ফেলা রক্ত নিকাশি পাইপ দিয়ে গিয়েছিল। তাই রক্তের চিহ্ন পেতে বুধবার (২৯ মে) কলকাতার নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের নিকাশি পাইপ খুলে পুলিশের সাথে সন্ধান চালান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।

তবে ওই দেহাংশ এমপির কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট করা হতে পারে। কলকাতা পুলিশ ডাকলে ডিএনএ টেস্টের জন্য কলকাতায় আসতে পারেন এমপিকন্যা মুমতারিন ফিরদৌস ডোরিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এমপি আনার হত্যার রহস্য ঘনাচ্ছে, নেপালে নজর সিআইডির!

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

এখনও অধরা মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান। গ্রেপ্তার হয়নি কসাইকে সাহায্যকারী সিয়ামও। সূত্রের খবর, তার খোঁজেই নেপালে যেতে পারে সিআইডি। এদিকে, নিউটাউনের অভিজাত আবাসনে তদন্তে ফরেন্সিক টিম।

যতোই দিন গড়াচ্ছে, ততোই জটিল হচ্ছে এমপি আনার হত্যাকাণ্ড। এখনো অধরা মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান। গ্রেপ্তার হয়নি কসাইকে সহায়তাকারী সিয়ামও। সংবাদমাধ্যমের সূত্রের খবর, তার খোঁজেই নেপালে যেতে পারে সিআইডি।

আরও পড়ুন: একেকটি মাংসের টুকরার ওজন ১০০ গ্রাম, মেপে দেখেন কসাই জিহাদ!

এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন। তিনি আমেরিকার নাগরিক। কলকাতার নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটটি ২০১৮ সালে ভাড়া নেন আখতারুজ্জামান। আর সেখানেই হত্যা করা হয় এমপিকে। তদন্তকারীদের ধারণা, এমপি আনারকে হত্যার পরই দেশ ছেড়েছেন আখতারুজ্জামান। তার খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। সম্ভবত প্রথমে কলকাতা থেকে নেপালে যান। আর সেখান থেকেই পালিয়ে আখতারুজ্জামান দুবাই কিংবা আমেরিকাতে গাঢাকা দিতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। এছাড়া আরেক অভিযুক্ত সিয়ামও সম্ভবত নেপালে চলে গেছে বলে ধারনা তদন্ত সংশ্লিষ্টদের। সিয়াম কোন রুটে পালিয়ে গেছে, তা জানতেই নেপালে পাড়ি দিতে পারেন সিআইডি কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন: এসএসসিতে ফেল করলেও ভর্তি হওয়া যাবে কলেজে

মঙ্গলবার (২৮ মে) তল্লাশি চালিয়ে কলকাতার নিউটাউনে আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে প্রায় সাড়ে তিন কেজি টুকরা করা মাংস ও চুল উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। একেকটি মাংসের টুকরো ছিলো ৭০ থেকে ১০০ গ্রাম।

পেশায় কসাই এমপি আনারের মাংস কেটে তার সসাথে থাকা ছোট ওজনযন্ত্রে কয়েকটি মাংসের টুকরা ওজন করে দেখেও নিয়েছিলো বলেই জানা গেছে। মাংসের গায়ে মাখানো ছিল হলুদ। এবার চলছে রক্তের চিহ্নের সন্ধান। দেহটি কেটে টুকরা টুকরা করার পর বাথরুমে ধুয়ে ফেলা রক্ত নিকাশি পাইপ দিয়ে গিয়েছিল। তাই রক্তের চিহ্ন পেতে বুধবার (২৯ মে) কলকাতার নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের নিকাশি পাইপ খুলে পুলিশের সাথে সন্ধান চালান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।

তবে ওই দেহাংশ এমপির কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট করা হতে পারে। কলকাতা পুলিশ ডাকলে ডিএনএ টেস্টের জন্য কলকাতায় আসতে পারেন এমপিকন্যা মুমতারিন ফিরদৌস ডোরিন।