এখনো আতঙ্ক বেইলি রোডে
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪ ৩০০ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের প্রাণহানি ঘটনা ঘটেছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) এই ঘটনা ঘটে। এরপর স্তব্দ হয়ে যায় অন্যতম ব্যস্ত বেইলি রোড এলাকা।
রোববার (৪ মার্চ) সকাল থেকে খুলতে শুরু করেছে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের আশেপাশের বেশ কিছু দোকানপাট। তবে এখনো আতঙ্ক কাটেনি এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের। এলাকায় এখন যেসব ভবন আছে সেগুলো কতটা নিরাপদ সে বিষয়ে নজরদারি দেয়ারও দাবি তুলেছেন তারা।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রোববার সকাল থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খুলতে শুরু করেছে। এদিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় এখনো পুড়ে যাওয়া ছয়তলা ভবনটি ঘিরে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের মালিকানাধীন গ্রিন কোজি কটেজ আগুন লাগে। ভবনটির বিভিন্ন তলায় ছিলো নানান রেস্তোরাঁ।কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলের কর্মীরা। ততক্ষণে ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ও আগুনে নিহত হন বহু মানুষ।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন পাঁচজন।
এদিকে, বেইলি রোডসহ সব আবাসিক এলাকায় রেষ্টুরেন্টসহ সকল ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি ভবনে অগ্নিকাণ্ড তদন্ত করে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার এবং হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রোববার (৩ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন। বিচারপতি নাঈমা হায়দারের বেঞ্চে রিটটির শুনানির দিন নির্ধারণ করা হবে।