ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-উপকূল অতিক্রম করেছে। রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে এটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করে। আগামী ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।

রোববার (২৬ মে) রাতে এক ব্রিফিংয়ে ঝড় সতর্ককরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান ভূঁইয়া জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। যা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। উপকূলীয় এলাকায় ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব দেশের প্রায় সব এলাকায় পড়বে। আগামী ৫-৭ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি আকারে ঘুর্ণিঝড়টি নিস্তেজ হয়ে যাবে। সোমবার (২৭ মে) সারাদিন বৃষ্টি থাকবে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে সিলেট অঞ্চলে।

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এর প্রভাবে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বলবৎ থাকবে। এছাড়া, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং নদীবন্দর সমূহকে ৪ নম্বর নৌমহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি এড়াতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী,লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-উপকূল অতিক্রম করেছে। রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে এটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করে। আগামী ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।

রোববার (২৬ মে) রাতে এক ব্রিফিংয়ে ঝড় সতর্ককরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান ভূঁইয়া জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। যা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। উপকূলীয় এলাকায় ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব দেশের প্রায় সব এলাকায় পড়বে। আগামী ৫-৭ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি আকারে ঘুর্ণিঝড়টি নিস্তেজ হয়ে যাবে। সোমবার (২৭ মে) সারাদিন বৃষ্টি থাকবে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে সিলেট অঞ্চলে।

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এর প্রভাবে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বলবৎ থাকবে। এছাড়া, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং নদীবন্দর সমূহকে ৪ নম্বর নৌমহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি এড়াতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী,লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।