ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্তি!
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৮৩ বার পড়া হয়েছে
সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের হাতে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে জিম্মি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্তির বিষয়ে দস্যুদের সাথে আলোচনা চলমান রয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি। এই সমঝোতার অপেক্ষায় রয়েছে জিন্মি নাবিকদের পরিবার।
এদিকে, জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করতে তৃতীয় পক্ষের সাথে আলোচনা চলছে। ঈদুল আজহার আগেই জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তির জোর প্রচেষ্টা চলছে। এ তথ্য জানিয়েছে জাহাজের মালিক পক্ষ।
এমভি আবদুল্লাহ মুক্তির সর্বশেষ তথ্য জানতে চাইলে শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জিম্মি নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত করার লক্ষ্যে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি। ঈদের আগেই যত দ্রুত সম্ভব নাবিকদের ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
এদিকে, খাবার পানি ফুরিয়ে আসছে জাহাজে। ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি মজুদ ছিল। এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় প্রায় ২৫ দিনের হিমায়িত খাবার মজুদ ছিল।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আনাম চৌধুরী বলেন, যদি মালিকপক্ষ ও সরকারের সঙ্গে জলদস্যু পক্ষের (তৃতীয় পক্ষ) আলোচনা চূড়ান্ত হলেই জাহাজটি কাছের কোনো বন্দরে যেতে পারবে। মেরিটাইম বিশ্বের অনুশীলন হচ্ছে সেক্ষেত্রে জাহাজটির বর্তমান নাবিকদের প্লেনে নিজ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। কারণ তারা শারীরিকভাবে ফিট থাকলেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে। অন্যদিকে জাহাজ মালিক পক্ষ আরেকটি টিম পাঠাবে জাহাজটি পরবর্তী বন্দরে পণ্য খালাসের জন্য। সব কিছু হয় বোঝাপড়ার মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী। এক্ষেত্রে আমরা আশাবাদী এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি নাবিকরা যত দ্রæত সম্ভব দেশে ফিরে আসবেন।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমাদের সঙ্গে এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা সবাই ভালো আছেন। জলদস্যুরা মঙ্গলবারের দিকে নিজেরা খাবার জন্য স্থানীয়ভাবে কিছু ভেড়ার (দুম্বা/ছাগল) মাংস সংগ্রহ করেছে। এক্ষেত্রে তারা নাবিকদেরও কিছু খেতে দিয়েছে। এর কারণ হচ্ছে জাহাজের খাবারের মজুদ শেষ হলে জলদস্যুদের সরবরাহ করা খাবারই খেতে হবে নাবিকদের। এর জন্য অভ্যস্ত করার চেষ্টা। কারণ জলদস্যুদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য হলেও নাবিকদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। চট্টগ্রামের অন্যতম শিল্পগ্রুপ কেএসআরএম’র মালিকানাধীন জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপক‚ল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে।