ঢাকা ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদযাত্রায় সড়কে মৃত্যুর মিছিল, ১৫ দিনে ঝরল ২৯৪ প্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সারাদেশে ঈদের ১৫ দিনে প্রতিদিন সড়কে ঝরেছে ১৯ প্রাণ। ৫ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত দুর্ঘটনায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোড এই তথ্য জানিয়েছে।

সংঘনের মহাসচিব শান্তা ফারজানা জানান, এবারের ঈদযাত্রায় শুধু সড়কেই নিয়ম না মেনে অতিদ্রুত বাহন চালানো, পুলিশ-প্রশাসনের ঢিলেঢালা তদারকি আর যাত্রীদের অসচেতনতার কারণে ১ হাজার ৪৮৮ টি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন এক হাজার ৮২৭। আর এসব ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৯৪ জন।

এসব দুর্ঘটনার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ট্রাক-বাস-পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। বিশেষ করে এবার ১৫ দিনে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে বাসে। ফিটনেসবিহীন ও অদক্ষ চালকের নিয়ম না মেনে ড্রাইভিং-এ সারাদেশে ৫৩২ টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬৮৫ এবং নিহত হয়েছেন ১২৫ জন। ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৮৮ ট। এসব ঘটনায় আহত ৩৪৯ জন। আর নিহত হয়েছেন ৫৭ জন।

এছাড়া হাইওয়েতে নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও থ্রী হুইলারসহ অন্যান্য বাহন চলার পাশাপাশি দ্রুতগতিতে পিকআপ চলায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪১৭ টি।এসব ঘটনায় আহত হয়েছে ৫০৩ জন। আর নিহত হয়েছে ৮৪ জন।

সেভ দ্য রোড-এর দাবি আলঅদা বাইক লেন না থাকায় এবং সংশ্লিষ্টদের উদাসিনতার কারণে ২৫১টি বাইক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ২৯০ জন। নিহত হয়েছেন ২৮ জন।

সেভ দ্য রোড এর প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়- এবারের সড়কে হাইওয়ে পুলিশের ড্রোন এবং স্পিডগানের ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুৃল হওয়ায় দুর্ঘটনারোধে তেমন কোন ভূমিকাই রাখতে পারেনি। বরং দেশের বিভিন্ন সেতু-সড়ক ও মহাসড়কে বিলম্বিত টোল প্লাজা ও চেক পোস্টে বাড়তি দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।

সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এবারের ঈদযাত্রায় বিভিন্ন স্থানে পরিবহন ভাড়া ২-৩ গুন বেশি আদায় করায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর মনিটরিং ব্যবস্থা কাজে আসেনি। বরিশাল, বগুড়া, নওগাঁ, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ দেশের অধিকাংশ সড়কে ভাড়া নৈরাজ্যে চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।

অন্যদিকে, একই সময়ে রেলপথেও যাত্রী ভোগান্তি কমেনি। অন্যান্য বছরের তুলনায় যাত্রী ভোগান্তি বেশি ছিলো। এই বছর ট্রেনের ছাদ থেকে পরে ১১ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ১৭ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনঅয় ১০ নিহত হয়েছে। আহত জয়েছে ৫২ জন। আকাশপথে কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও যথারীতি যাত্রী বিড়ম্বনা ছিলো বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ঈদযাত্রায় সড়কে মৃত্যুর মিছিল, ১৫ দিনে ঝরল ২৯৪ প্রাণ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

সারাদেশে ঈদের ১৫ দিনে প্রতিদিন সড়কে ঝরেছে ১৯ প্রাণ। ৫ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত দুর্ঘটনায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোড এই তথ্য জানিয়েছে।

সংঘনের মহাসচিব শান্তা ফারজানা জানান, এবারের ঈদযাত্রায় শুধু সড়কেই নিয়ম না মেনে অতিদ্রুত বাহন চালানো, পুলিশ-প্রশাসনের ঢিলেঢালা তদারকি আর যাত্রীদের অসচেতনতার কারণে ১ হাজার ৪৮৮ টি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন এক হাজার ৮২৭। আর এসব ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৯৪ জন।

এসব দুর্ঘটনার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ট্রাক-বাস-পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। বিশেষ করে এবার ১৫ দিনে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে বাসে। ফিটনেসবিহীন ও অদক্ষ চালকের নিয়ম না মেনে ড্রাইভিং-এ সারাদেশে ৫৩২ টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬৮৫ এবং নিহত হয়েছেন ১২৫ জন। ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৮৮ ট। এসব ঘটনায় আহত ৩৪৯ জন। আর নিহত হয়েছেন ৫৭ জন।

এছাড়া হাইওয়েতে নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও থ্রী হুইলারসহ অন্যান্য বাহন চলার পাশাপাশি দ্রুতগতিতে পিকআপ চলায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪১৭ টি।এসব ঘটনায় আহত হয়েছে ৫০৩ জন। আর নিহত হয়েছে ৮৪ জন।

সেভ দ্য রোড-এর দাবি আলঅদা বাইক লেন না থাকায় এবং সংশ্লিষ্টদের উদাসিনতার কারণে ২৫১টি বাইক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ২৯০ জন। নিহত হয়েছেন ২৮ জন।

সেভ দ্য রোড এর প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়- এবারের সড়কে হাইওয়ে পুলিশের ড্রোন এবং স্পিডগানের ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুৃল হওয়ায় দুর্ঘটনারোধে তেমন কোন ভূমিকাই রাখতে পারেনি। বরং দেশের বিভিন্ন সেতু-সড়ক ও মহাসড়কে বিলম্বিত টোল প্লাজা ও চেক পোস্টে বাড়তি দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।

সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এবারের ঈদযাত্রায় বিভিন্ন স্থানে পরিবহন ভাড়া ২-৩ গুন বেশি আদায় করায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর মনিটরিং ব্যবস্থা কাজে আসেনি। বরিশাল, বগুড়া, নওগাঁ, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ দেশের অধিকাংশ সড়কে ভাড়া নৈরাজ্যে চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।

অন্যদিকে, একই সময়ে রেলপথেও যাত্রী ভোগান্তি কমেনি। অন্যান্য বছরের তুলনায় যাত্রী ভোগান্তি বেশি ছিলো। এই বছর ট্রেনের ছাদ থেকে পরে ১১ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ১৭ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনঅয় ১০ নিহত হয়েছে। আহত জয়েছে ৫২ জন। আকাশপথে কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও যথারীতি যাত্রী বিড়ম্বনা ছিলো বেশি।