ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদযাত্রায় সড়কপথে বিড়ম্বনা দক্ষিণাঞ্চলবাসীর

শাহ জালাল, বরিশাল
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩৯:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৮৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দু’বছর আগে নৌযানের হাজারো বিড়ম্বনা সহ্য করে ঈদের সময় দক্ষিণাঞ্চলবাসী বাড়িতে আসত এবং ঈদ শেষে আবার ফিরে যেত। কিন্তু পদ্মা সেতু চালুর পর নৌপথের বিড়ম্বনা না থাকলেও সড়কপথে বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছে। আসন্ন ঈদ উল ফিতরে সার দেশের বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠীর সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কে বড় ধরনের বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ নিয়ে শংকিত পরিবহন যাত্রী, মালিক, শ্রমিক সহ সকল মহল। এমনকি ঘরমুখো এবং ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলমুখী মানুষের বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ কোন পর্যায়ে যাবে তা নিয়ে অনেকেই শিহরিত হয়ে উঠছেন এখনই।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটিতে যানবাহনের সংখ্যা প্রায় তিনগুন বেড়ে গেছে। কিন্তু ঢাকা থেকে ৬ লেনের বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে ধরে পদ্মাসেতু পার হয়ে ৬৫ কিলোমিটার দূরে ভাংগায় পৌঁছানোর পর বরিশাল পর্যন্ত ১৮-২৪ ফুট প্রশস্ত ৯১ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে তীব্র যানযট ও দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিনত হয়েছে। এমনকি ১৯৬০ থেকে ’৬৬ সালের মধ্যে মাত্র ৫ টন বহনক্ষম মহাসড়কটির এই অংশ দুই যুগ আগে জাতীয় মহাসড়কের মর্যাদা লাভ করে। কিন্তু সড়কের বহন ক্ষমতা আর বাড়েনি।

উপরন্তু দু’পাশের নানা অবৈধ স্থাপনা মহাসড়কটিকে গলা টিপে ধরেছে। বাড়তি ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে অবৈধ যানবাহনের আধিক্য এবং বিভিন্ন উপজেলার মধ্যেকার সড়ক। বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। সড়ক অধিদপ্তর ও হাইওয়ে পুলিশের একাধিক

সূত্রমতে, বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কে এখন প্রতিদিন গড়ে ১৮ হাজারেরও বেশী যানবাহন চলাচল করে। যা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় সমান। অথচ দেশের এক নম্বর ওই জাতীয় মহাসড়কটি ৬ লেনের। আর বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটি ডবল লেনের। এর ফলে প্রতিদিন মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ৬ মাসে এই মহাসড়কে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। দুর্ঘটনা ছাড়াও নিত্যযানযটে নাকাল নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার যাত্রী।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে ভাংগা থেকে বরিশাল পর্যন্ত ৯১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতেই এখন বিভিন্ন যানবাহনের প্রায় ৩ ঘন্টা সময় চলে যাচ্ছে । এর ফলে সেতু চালু হলেও দ্রুত সময়ে ঢাকা ও সন্নিহিত এলাকায় পৌঁছানোর যে আশা করা হয় তা ধূসর হতে শুরু করেছে।

অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিক্রমে ২০১৫ সাল থেকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটি কুয়াকাটা সমুত্র সৈকত পর্যন্ত ৬ লেনে উন্নীত করনের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে ২০১৮ সালে শেষ হয়। এমনকি সমীক্ষার পথনকশা অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর ভূমি অধিগ্রহনে ১৮শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে একটি আলাদা প্রকল্পও অনুমোদন করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ বছর পরেও ভূমি অধিগ্রহন কাজের অর্ধেকও সম্পন্ন হয়নি। তবে ঐসব জমির বর্তমান বাজার মূল্য দ্বিগুনেরও বেশী বৃদ্ধিসহ নতুন পথনকশা অনুযায়ী বাড়তি প্রায় ২শ হেক্টর সহ জমির মূল্য পরিশোধেই দ্বিগুনেরও বেশী অর্থের প্রয়োজন হবে। সড়ক অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

এমনকি বাস্তবতার আলোকে ইতোমধ্যে বরিশাল মহানগরীর পরিবর্তে প্রায় ১৬ কিলোমিটার বাইপাস নির্মানের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ায় সে ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। পটুয়াখালীতেও পথনকশায় কিছু পরিবর্তন করতে হচ্ছে। ফলে এ দুটি স্থানে আরো অন্তত ২শ হেক্টর বাড়তি ভূমি অধিগ্রহনের প্রয়োজন হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সংশোধিত ‘উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা-ডিপিপি’ তৈরীর কথাও জানিয়েছে সড়ক অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র।

উপরন্তু অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও এডিবি ছাড়াও আরো কয়েকটি দাতা সংস্থার সাথে প্রকল্পটির অর্থায়ন নিয়ে কথা চলছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। অপরদিকে, ২০১৫ থেকে ’১৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও পথনকশা অনুযায়ী ২১১ কিলোমিটার মহাসড়কটির জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ২১ হাজার কোটি টাকা ধরা হলেও ভূমি অধিগ্রহনেই অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রয়োজন হতে পারে। যার পুরোটাই দিতে হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।

কিন্তু ভূমি অধিগ্রহন সহ দাতা সংগ্রহ এবং দরপত্র আহবান, কারিগরি ও অর্থিক মূল্যায়ন শেষে বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটির বাস্তব অবকাঠামো নির্মান কাজ কবে শুরু হবে তা সুনিদিষ্ট করে বলতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কোন মহল। তবে এ লক্ষ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায় সহ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় যথেষ্ট আন্তরিক বলে জানান হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে পৌঁছলেও সেখান থেকে ৯১ কিলোমিটার দক্ষিণে বরিশাল, ৩০ কিলোমিটার উত্তরে ফরিদপুর এবং ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে পায়রা ও ২০৩ কিলোমিটার দক্ষিণে কুয়াকাটায় যাওয়ার হাসড়কগুলোর কোনটিই মানসম্মত নয়। এসব মহাসড়ক এখনও ১৮ থেকে ২৪ ফুট প্রস্থ।

ফলে আসন্ন ঈদ উল ফিতরের আগে পরে দেশের ৮ নম্বর বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কে সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তায় সংশ্লিষ্ট মহল। তবে হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এসব বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখাসহ সময়নুযায়ী প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহনের কথা বলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ঈদযাত্রায় সড়কপথে বিড়ম্বনা দক্ষিণাঞ্চলবাসীর

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩৯:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

দু’বছর আগে নৌযানের হাজারো বিড়ম্বনা সহ্য করে ঈদের সময় দক্ষিণাঞ্চলবাসী বাড়িতে আসত এবং ঈদ শেষে আবার ফিরে যেত। কিন্তু পদ্মা সেতু চালুর পর নৌপথের বিড়ম্বনা না থাকলেও সড়কপথে বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছে। আসন্ন ঈদ উল ফিতরে সার দেশের বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠীর সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কে বড় ধরনের বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ নিয়ে শংকিত পরিবহন যাত্রী, মালিক, শ্রমিক সহ সকল মহল। এমনকি ঘরমুখো এবং ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলমুখী মানুষের বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ কোন পর্যায়ে যাবে তা নিয়ে অনেকেই শিহরিত হয়ে উঠছেন এখনই।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটিতে যানবাহনের সংখ্যা প্রায় তিনগুন বেড়ে গেছে। কিন্তু ঢাকা থেকে ৬ লেনের বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে ধরে পদ্মাসেতু পার হয়ে ৬৫ কিলোমিটার দূরে ভাংগায় পৌঁছানোর পর বরিশাল পর্যন্ত ১৮-২৪ ফুট প্রশস্ত ৯১ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে তীব্র যানযট ও দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিনত হয়েছে। এমনকি ১৯৬০ থেকে ’৬৬ সালের মধ্যে মাত্র ৫ টন বহনক্ষম মহাসড়কটির এই অংশ দুই যুগ আগে জাতীয় মহাসড়কের মর্যাদা লাভ করে। কিন্তু সড়কের বহন ক্ষমতা আর বাড়েনি।

উপরন্তু দু’পাশের নানা অবৈধ স্থাপনা মহাসড়কটিকে গলা টিপে ধরেছে। বাড়তি ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে অবৈধ যানবাহনের আধিক্য এবং বিভিন্ন উপজেলার মধ্যেকার সড়ক। বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। সড়ক অধিদপ্তর ও হাইওয়ে পুলিশের একাধিক

সূত্রমতে, বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কে এখন প্রতিদিন গড়ে ১৮ হাজারেরও বেশী যানবাহন চলাচল করে। যা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় সমান। অথচ দেশের এক নম্বর ওই জাতীয় মহাসড়কটি ৬ লেনের। আর বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটি ডবল লেনের। এর ফলে প্রতিদিন মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ৬ মাসে এই মহাসড়কে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। দুর্ঘটনা ছাড়াও নিত্যযানযটে নাকাল নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার যাত্রী।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে ভাংগা থেকে বরিশাল পর্যন্ত ৯১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতেই এখন বিভিন্ন যানবাহনের প্রায় ৩ ঘন্টা সময় চলে যাচ্ছে । এর ফলে সেতু চালু হলেও দ্রুত সময়ে ঢাকা ও সন্নিহিত এলাকায় পৌঁছানোর যে আশা করা হয় তা ধূসর হতে শুরু করেছে।

অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিক্রমে ২০১৫ সাল থেকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটি কুয়াকাটা সমুত্র সৈকত পর্যন্ত ৬ লেনে উন্নীত করনের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে ২০১৮ সালে শেষ হয়। এমনকি সমীক্ষার পথনকশা অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর ভূমি অধিগ্রহনে ১৮শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে একটি আলাদা প্রকল্পও অনুমোদন করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ বছর পরেও ভূমি অধিগ্রহন কাজের অর্ধেকও সম্পন্ন হয়নি। তবে ঐসব জমির বর্তমান বাজার মূল্য দ্বিগুনেরও বেশী বৃদ্ধিসহ নতুন পথনকশা অনুযায়ী বাড়তি প্রায় ২শ হেক্টর সহ জমির মূল্য পরিশোধেই দ্বিগুনেরও বেশী অর্থের প্রয়োজন হবে। সড়ক অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

এমনকি বাস্তবতার আলোকে ইতোমধ্যে বরিশাল মহানগরীর পরিবর্তে প্রায় ১৬ কিলোমিটার বাইপাস নির্মানের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ায় সে ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। পটুয়াখালীতেও পথনকশায় কিছু পরিবর্তন করতে হচ্ছে। ফলে এ দুটি স্থানে আরো অন্তত ২শ হেক্টর বাড়তি ভূমি অধিগ্রহনের প্রয়োজন হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সংশোধিত ‘উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা-ডিপিপি’ তৈরীর কথাও জানিয়েছে সড়ক অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র।

উপরন্তু অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও এডিবি ছাড়াও আরো কয়েকটি দাতা সংস্থার সাথে প্রকল্পটির অর্থায়ন নিয়ে কথা চলছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। অপরদিকে, ২০১৫ থেকে ’১৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও পথনকশা অনুযায়ী ২১১ কিলোমিটার মহাসড়কটির জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ২১ হাজার কোটি টাকা ধরা হলেও ভূমি অধিগ্রহনেই অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রয়োজন হতে পারে। যার পুরোটাই দিতে হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।

কিন্তু ভূমি অধিগ্রহন সহ দাতা সংগ্রহ এবং দরপত্র আহবান, কারিগরি ও অর্থিক মূল্যায়ন শেষে বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটির বাস্তব অবকাঠামো নির্মান কাজ কবে শুরু হবে তা সুনিদিষ্ট করে বলতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কোন মহল। তবে এ লক্ষ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায় সহ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় যথেষ্ট আন্তরিক বলে জানান হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে পৌঁছলেও সেখান থেকে ৯১ কিলোমিটার দক্ষিণে বরিশাল, ৩০ কিলোমিটার উত্তরে ফরিদপুর এবং ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে পায়রা ও ২০৩ কিলোমিটার দক্ষিণে কুয়াকাটায় যাওয়ার হাসড়কগুলোর কোনটিই মানসম্মত নয়। এসব মহাসড়ক এখনও ১৮ থেকে ২৪ ফুট প্রস্থ।

ফলে আসন্ন ঈদ উল ফিতরের আগে পরে দেশের ৮ নম্বর বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কে সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তায় সংশ্লিষ্ট মহল। তবে হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এসব বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখাসহ সময়নুযায়ী প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহনের কথা বলেছে।