আইনজীবী থেকে ক্ষমতার সিংহাসনে রইসি
![](https://bangla-times.com/wp-content/themes/Newspaper%20pro/assets/images/reporter.jpg)
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১১:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ৮৪ বার পড়া হয়েছে
পশ্চিমা বিশ্বে ‘তেহরানের কসাই’ হিসেবে পরিচিত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। কারণ তার আমলেই হয়েছে অনেক আন্দোলন। হিজাব ইস্যু, মধ্যপ্রাচ্য-লেবানন, ইসরায়েল ইস্যুতে ভূমিকা ছিল তার ভূমিকা। কিন্তু কীভাবে এই নেতার এতো উত্থান?
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু ইরানের জন্য এক বিরাট ধাক্কা। দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে ইরানের। ইব্রাহিম রাইসি ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় প্রতিবেশীদের পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছিলেন তিনি।
ইরানের আইন, সংবিধান এবং ধর্মীয় বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত ইব্রাহিম রইসির পেশাদার জীবন শুরুই হয় প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে। মাত্র ২০ বছর বয়সেই তিনি এই পেশায় যুক্ত হন। কারাজ শহরের কৌশুলি হিসেবে দায়িত্ব পেয়িছিলে তিনি। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত রইসি তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। রইসি ২০০৪ সাল থেকে এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
তখন থেকেই ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল এবং সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিতি পান রাইসি। পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি সর্বোচ্চ ধর্মী নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এই সভায়।
২০২১ সালে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইব্রাহিম রাইসি। নিজেকে দুর্নীতি অদক্ষতা ও অভিজাতদের ঘোর বিরোধী হিসেবে প্রকাশ করা রইসি রাজনৈতিক দিক থেকে শিয়া ইসলামি কট্টরপন্থার সমর্থক। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানামুখী চাপে পড়েন ইব্রাহিম রইসি। নতুন করে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আসতে থাকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে। এর ফলে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে দেশটিতে বিক্ষোভ হয় দফায় দফায়।
২০২২ সালে ইরানি তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পোশাকের স্বাধীনতা ইস্যুতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়। ওই ঘটনায় মারা যায় সাড়ে ৫শ’র বেশি মানুষ। এতে বেশি চাপের মুখে পড়েন রইসি।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার পেছনে রইসি প্রশাসনের ভূমিকাকেই দায়ী করে আসছে তেল আবিব। ইরান-ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ পরিস্থিতিও কৌশলী হাতে সামলেছেন রইসি।