ঢাকা ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপহরণ আতংকে সীমান্ত জনপদের মানুষ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৫৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪ ৮৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজারের টেকনাফের জনপদ ও পাহাড়ি এলাকায় একের পর এক অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। নৃশংস ঘটনায় সর্বমহলে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সকাল-সন্ধ্যা কোথায় কি হচ্ছে মানুষের মুখে সমালোচনার যেন শেষ নেই। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন,সঠিক দায়িত্ব পালন না করায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরা মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব অবহেলার কারণে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

এদিকে দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধিরা চুপ থাকা, তাদের ভূমিকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ জনগণ। গত ৯ মার্চ টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালী গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ছেলে ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ(৬) কে আবু হুরাইরা মাদ্রাসার সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সে মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ৭ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃত ছোয়াদকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এঘটনায় ভিকটিমের পরিবার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন। অপহৃত শিশুকে উদ্ধার অভিযানে যাওয়ার কথা বলে গাড়ি নেয় পুলিশ। সে গাড়ি দিয়ে অভিযান না করে আটককৃত আসামীদের আদালতে প্রেরণ করে।

এদিকে অপহরণ চক্রের সদস্যরা ছোয়াদ এর মাকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে শিশু ছোয়াদকে কেটে টুকরো করে ফেলবে বলেও হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। এবিষয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম সাংসদ সম্মেলন করায় অপহরণকারীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়েছে। পরিস্থিতি তেমন ভালো না। মোবাইল ট্র‍্যাকিং দেওয়া হয়েছে,আনরেজিষ্ট্রেশন সীম হওয়ায় বিভিন্ন দিকে লোকেশন দেখানো হচ্ছে।

এর আগে, শুক্রবার (৮মার্চ) বাহারছড়ার ইউনিয়নের জাহাজপুরার এলাকার আলী আহমদসহ তারা দু’জন পানের বরজে কাজ করতে যান। পাহাড়িয় অস্ত্রধারী ৮-৯ জনের একটি দল তাদের জিম্মি করে চোখ বেঁধে গহীন পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জিম্মি দশা থেকে ফেরত আসা ছৈয়দ আলম (৪০) বলেন,পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের নিরুপায় হয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে অপহরণকারীদের কবল থেকে একদিন পর বাড়িতে ফেরত আসি।

টমটম চালক মোস্তাক আহমদ (২৬) গত (৩ মার্চ) সদরের গোদারবিল এলাকায় টমটম গ্রেসে যায়। সেখান থেকে রাত ১০টায় বাড়ির ফেরার পথে অপহরণ হয়। পরিবার তাকে খোঁজে না পেয়ে ৪ মার্চ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনদিন পর টেকনাফ কায়ুকখালী খাল থেকে অপহৃত মোস্তাক আহমদের অর্ধ-গলিত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সেই টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া কাটাবুনিয়া এলাকার নুরুজামানের ছেলে।

মোস্তাক আহমদের ভাই মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন,থানায় একটা অজ্ঞাতনামা এজাহার দায়ের করেছি।পুলিশ তদন্ত করতেছে,তবে এখনো পর্যন্ত কোন আসামি সনাক্ত করতে পারেনি।

স্থানীয়রা জানান, দিনের পর দিন বেড়েই চলছে অপহরণ বাণিজ্য। স্কুল,কলেজ পড়োয়া ছাত্র,টমটম চালক, কাঠুরিয়া, জেলে, কৃষকস কেউই রেহাই পাচ্ছে না অপহরণে কবল থেকে।

তারা আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার দুই-এক বছর খানিকের মধ্যে অপহরণকারী চক্র ও তৎপরতা বেড়ে যায়। আশ্রিত রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ের ঢালাতে অবস্থান নিয়ে এ অপহরণ কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।অপহরণকারী চক্রের হাতে রয়েছে অস্ত্রসস্ত্র। তারা রোহিঙ্গা শিবির কেন্দ্রীক জঙ্গি গোষ্ঠির সদস্য। তাদের সাথে রয়েছে স্থানীয় কিছু যুবক। আর তাদের সহযোগিতায় ধারাবাহিক ভাবে এ অপহরণ চলছে। পাশাপাশি আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযানও রয়েছে।তবে কিছু কিছু সময় দেখা যায়,অপহরণের অভিযোগ পেয়েও প্রশাসন নিরভ ভুমিকা পালন করে থাকে যা সাধারণ মানুষের মনে ভয়ভীতি সংশয় করে দেয়।

হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু দুষ্কৃতকারী,স্থানীয়দের সাথে মিছে,তাদের সহযোগীতায় অপকর্ম গুলো করার সুযোগ হচ্ছে। আর ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টে যারা কাজ করতেছে,তাদের উচিৎ পাহাড়ের ভিতর কোন জাগায় ডাকাতদের আস্তানা সেটা চিহ্নিত করা। এ-ই ইউনিয়নে রোহিঙ্গাদের বিচরণ চোখে পড়ার মতো এবং তাদের বাসাভাড়া দেওয়া অপরাধ অপকর্ম করতে সুযোগ পাচ্ছে।স্থানীয়রা সহযোগিতা করলে রোহিঙ্গারা
অপরাধ করতে সাহস পাবেনা।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ নাগাদ টেকনাফে পাহাড়কেন্দ্রিক যে ১০১টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ৫১ জন স্থানীয় এবং ৫০ জন রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে ৪৬ জনকে ছাড়িয়ে আনতে হয়েছে মুক্তিপণ দিয়ে।

ভুক্তভোগিরা জানান,বর্তমানে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে,সকাল সন্ধ্যায় জমিতে কাজ করার সময়, ভোরে মসজিদে নামাযে যাওয়ার পথে, সন্ধ্যা নামলে পাহাড়ি জনপদগুলো যেনো অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়। মুখোশ পরা দুর্বৃত্তের দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে স্বজনদের ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলা হয় ‘বিষয়টি কাউকে না’ জানাতে। তাদের দেয়া সময়ের মধ্যে মুক্তিপণ দিয়ে আক্রান্তদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আবার মুক্তিপণ দিতে বিলম্ব হলে তাদের উপর চলে পাশবিক নির্যাতন। এভাবেই চলছে টেকনাফের পাহাড়ি জনগণের জীবনযাত্রা।

ওসি ওসমান গনি বলেন,অপহৃত মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছোয়াদকে উদ্ধার অভিযান চলতেছে। আমরা তদন্ত করতেছি,আর তদন্তের স্বার্থে আন্ডার ইনভেস্টিগেশনের আপডেট দেওয়া যাবেনা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) মোহাম্মদ রাসেল বলেন, অপহরণ ও অপকর্ম রোধ করার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ নিরন্তর কাজ করতেছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে ও অপরাধ নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অপহরণ আতংকে সীমান্ত জনপদের মানুষ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৫৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফের জনপদ ও পাহাড়ি এলাকায় একের পর এক অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। নৃশংস ঘটনায় সর্বমহলে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সকাল-সন্ধ্যা কোথায় কি হচ্ছে মানুষের মুখে সমালোচনার যেন শেষ নেই। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন,সঠিক দায়িত্ব পালন না করায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরা মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব অবহেলার কারণে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

এদিকে দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধিরা চুপ থাকা, তাদের ভূমিকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ জনগণ। গত ৯ মার্চ টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালী গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ছেলে ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ(৬) কে আবু হুরাইরা মাদ্রাসার সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সে মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ৭ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃত ছোয়াদকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এঘটনায় ভিকটিমের পরিবার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন। অপহৃত শিশুকে উদ্ধার অভিযানে যাওয়ার কথা বলে গাড়ি নেয় পুলিশ। সে গাড়ি দিয়ে অভিযান না করে আটককৃত আসামীদের আদালতে প্রেরণ করে।

এদিকে অপহরণ চক্রের সদস্যরা ছোয়াদ এর মাকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে শিশু ছোয়াদকে কেটে টুকরো করে ফেলবে বলেও হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। এবিষয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম সাংসদ সম্মেলন করায় অপহরণকারীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়েছে। পরিস্থিতি তেমন ভালো না। মোবাইল ট্র‍্যাকিং দেওয়া হয়েছে,আনরেজিষ্ট্রেশন সীম হওয়ায় বিভিন্ন দিকে লোকেশন দেখানো হচ্ছে।

এর আগে, শুক্রবার (৮মার্চ) বাহারছড়ার ইউনিয়নের জাহাজপুরার এলাকার আলী আহমদসহ তারা দু’জন পানের বরজে কাজ করতে যান। পাহাড়িয় অস্ত্রধারী ৮-৯ জনের একটি দল তাদের জিম্মি করে চোখ বেঁধে গহীন পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জিম্মি দশা থেকে ফেরত আসা ছৈয়দ আলম (৪০) বলেন,পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের নিরুপায় হয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে অপহরণকারীদের কবল থেকে একদিন পর বাড়িতে ফেরত আসি।

টমটম চালক মোস্তাক আহমদ (২৬) গত (৩ মার্চ) সদরের গোদারবিল এলাকায় টমটম গ্রেসে যায়। সেখান থেকে রাত ১০টায় বাড়ির ফেরার পথে অপহরণ হয়। পরিবার তাকে খোঁজে না পেয়ে ৪ মার্চ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনদিন পর টেকনাফ কায়ুকখালী খাল থেকে অপহৃত মোস্তাক আহমদের অর্ধ-গলিত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সেই টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া কাটাবুনিয়া এলাকার নুরুজামানের ছেলে।

মোস্তাক আহমদের ভাই মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন,থানায় একটা অজ্ঞাতনামা এজাহার দায়ের করেছি।পুলিশ তদন্ত করতেছে,তবে এখনো পর্যন্ত কোন আসামি সনাক্ত করতে পারেনি।

স্থানীয়রা জানান, দিনের পর দিন বেড়েই চলছে অপহরণ বাণিজ্য। স্কুল,কলেজ পড়োয়া ছাত্র,টমটম চালক, কাঠুরিয়া, জেলে, কৃষকস কেউই রেহাই পাচ্ছে না অপহরণে কবল থেকে।

তারা আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার দুই-এক বছর খানিকের মধ্যে অপহরণকারী চক্র ও তৎপরতা বেড়ে যায়। আশ্রিত রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ের ঢালাতে অবস্থান নিয়ে এ অপহরণ কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।অপহরণকারী চক্রের হাতে রয়েছে অস্ত্রসস্ত্র। তারা রোহিঙ্গা শিবির কেন্দ্রীক জঙ্গি গোষ্ঠির সদস্য। তাদের সাথে রয়েছে স্থানীয় কিছু যুবক। আর তাদের সহযোগিতায় ধারাবাহিক ভাবে এ অপহরণ চলছে। পাশাপাশি আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযানও রয়েছে।তবে কিছু কিছু সময় দেখা যায়,অপহরণের অভিযোগ পেয়েও প্রশাসন নিরভ ভুমিকা পালন করে থাকে যা সাধারণ মানুষের মনে ভয়ভীতি সংশয় করে দেয়।

হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু দুষ্কৃতকারী,স্থানীয়দের সাথে মিছে,তাদের সহযোগীতায় অপকর্ম গুলো করার সুযোগ হচ্ছে। আর ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টে যারা কাজ করতেছে,তাদের উচিৎ পাহাড়ের ভিতর কোন জাগায় ডাকাতদের আস্তানা সেটা চিহ্নিত করা। এ-ই ইউনিয়নে রোহিঙ্গাদের বিচরণ চোখে পড়ার মতো এবং তাদের বাসাভাড়া দেওয়া অপরাধ অপকর্ম করতে সুযোগ পাচ্ছে।স্থানীয়রা সহযোগিতা করলে রোহিঙ্গারা
অপরাধ করতে সাহস পাবেনা।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ নাগাদ টেকনাফে পাহাড়কেন্দ্রিক যে ১০১টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ৫১ জন স্থানীয় এবং ৫০ জন রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে ৪৬ জনকে ছাড়িয়ে আনতে হয়েছে মুক্তিপণ দিয়ে।

ভুক্তভোগিরা জানান,বর্তমানে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে,সকাল সন্ধ্যায় জমিতে কাজ করার সময়, ভোরে মসজিদে নামাযে যাওয়ার পথে, সন্ধ্যা নামলে পাহাড়ি জনপদগুলো যেনো অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়। মুখোশ পরা দুর্বৃত্তের দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে স্বজনদের ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলা হয় ‘বিষয়টি কাউকে না’ জানাতে। তাদের দেয়া সময়ের মধ্যে মুক্তিপণ দিয়ে আক্রান্তদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আবার মুক্তিপণ দিতে বিলম্ব হলে তাদের উপর চলে পাশবিক নির্যাতন। এভাবেই চলছে টেকনাফের পাহাড়ি জনগণের জীবনযাত্রা।

ওসি ওসমান গনি বলেন,অপহৃত মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছোয়াদকে উদ্ধার অভিযান চলতেছে। আমরা তদন্ত করতেছি,আর তদন্তের স্বার্থে আন্ডার ইনভেস্টিগেশনের আপডেট দেওয়া যাবেনা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) মোহাম্মদ রাসেল বলেন, অপহরণ ও অপকর্ম রোধ করার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ নিরন্তর কাজ করতেছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে ও অপরাধ নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।