ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চুন্নুর আহবান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪ ১১৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে রাজধানীর অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিরোধী দলের চীফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বেইলি রোডে যে দু:খজনক ঘটনা ঘটেছে আমরা সে বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করি। সরকারের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানি না। কিন্তু আমরা দেখলাম বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট তড়িঘড়ি করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। রাজউক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস নিজেদের মতো করে অভিযান পরিচালনা করছে। একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে কে কোনটা আটকাবে, কোনটা ভাঙবে বা কোনটা ধরবে। তাই আমার কাছে মনে হয় এটা একটা সমন্বয়হীনতার মাধ্যমে চলছে।’

চুন্নু বলেন, রাজউক থেকে আগেই শনাক্ত করা হয়েছে যে, কোন কোন ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ এবং কোন কোন ভবনগুলোতে আগুন লাগার সম্ভাবনা আছে অথবা যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ যদি সমন্বয় করে বা কমিটি করে একটা একটা ধরে তাহলে ভালো হয়। কারণ আমরা দেখলাম তিন চারটি ডিপার্টমেন্ট থেকে তারা তড়িৎ অ্যাকশন নিচ্ছে। যার ফলে কয়দিন পর দেখা যাবে কেউ নাই, একদম নীরব হয়ে গেছে।

তিনি জানান, ঢাকা শহরে ১ হাজার ১০৬টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এরমধ্যে আটটি মার্কেট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অতি ঝুঁকিপূর্ণ একটি গাউসিয়া, ফুলবাড়িয়া বরিশাল প্লাজা, টিকাটুলির নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট, লালবাগের আলাউদ্দিন মার্কেট, চকবাজারের শহিদুল্লাহ মার্কেট ও শাকিল আনোয়ার টাওয়ার, সদরঘাটের শরীফ মার্কেট, সিদ্দিক বাজারের রোজলিন ভিস্তা। গাউসিয়া মার্কেটে মহিলাদের বেশি আনাগোনা হয়। এমন একটি জায়গায় যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে আমার মনে হয় অনেক মানুষ মারা যাবে। গাউসিয়াসহ এই মার্কেটগুলোতে এখনই মালিক বা ডেভলপারের সঙ্গে আলাপ ও সমন্বয় করে যদি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা না হয় এবং এটিকে যদি সরকারের দৃষ্টিতে না আনা হয় তাহলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটবে।

চুন্নু আরও বলেন, সামনে ঈদ এসেছে, এখন গরম। গাউসিয়ায় মানুষ যাবে, হাজার হাজার মহিলা। আমিও গেছি আমার স্ত্রীর সঙ্গে। হাঁটা যায়না, অটোমেটিক চলে যেতে হয় এতো ভীর। সেখানে যদি একটি কান্ড ঘটে তাহলে মারাত্মক একটি অবস্থা হয়ে যাবে। আমি একদিন মিরপুর গিয়েছিলাম, সেখানে একটি মার্কেট আছে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট। সেই আশির দশকে হয়েছিল, প্রায় পাঁচশ’ দোকান। সমস্ত কিছু ভেঙ্গে গেছে। রাজউক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে তাও মার্কেটের যারা দোকান মালিক তারা এটি ভাঙছে না। এই মার্কেটটিরও একটি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সমন্বয়হীনতার অভাবে আবার সমস্যা হবে। আপনি নির্দেশ দেন রাজউক হোক, সিটি কর্পোরেশন হোক বা ফায়ার সার্ভিস হোক তারা যেন সম্মিলিতভাবে কাজ করে। একজন ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে এক দোকান ভাঙছে, আরেকদিক থেকে সিটি কর্পোরেশন বলছে ‘নো এটা স্টপ করেন’। এটা কিন্তু এলোপাতাড়ি হচ্ছে। কাজেই আপনি নির্দেশ দেন যারা কনসার্ন বিভাগ তারা ধীরস্থিরভাবে যেগুলো অতি ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলোর বিষয়ে যেন একটা ব্যবস্থা গ্রহন করে। যাতে এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চুন্নুর আহবান

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে রাজধানীর অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিরোধী দলের চীফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বেইলি রোডে যে দু:খজনক ঘটনা ঘটেছে আমরা সে বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করি। সরকারের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানি না। কিন্তু আমরা দেখলাম বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট তড়িঘড়ি করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। রাজউক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস নিজেদের মতো করে অভিযান পরিচালনা করছে। একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে কে কোনটা আটকাবে, কোনটা ভাঙবে বা কোনটা ধরবে। তাই আমার কাছে মনে হয় এটা একটা সমন্বয়হীনতার মাধ্যমে চলছে।’

চুন্নু বলেন, রাজউক থেকে আগেই শনাক্ত করা হয়েছে যে, কোন কোন ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ এবং কোন কোন ভবনগুলোতে আগুন লাগার সম্ভাবনা আছে অথবা যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ যদি সমন্বয় করে বা কমিটি করে একটা একটা ধরে তাহলে ভালো হয়। কারণ আমরা দেখলাম তিন চারটি ডিপার্টমেন্ট থেকে তারা তড়িৎ অ্যাকশন নিচ্ছে। যার ফলে কয়দিন পর দেখা যাবে কেউ নাই, একদম নীরব হয়ে গেছে।

তিনি জানান, ঢাকা শহরে ১ হাজার ১০৬টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এরমধ্যে আটটি মার্কেট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অতি ঝুঁকিপূর্ণ একটি গাউসিয়া, ফুলবাড়িয়া বরিশাল প্লাজা, টিকাটুলির নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট, লালবাগের আলাউদ্দিন মার্কেট, চকবাজারের শহিদুল্লাহ মার্কেট ও শাকিল আনোয়ার টাওয়ার, সদরঘাটের শরীফ মার্কেট, সিদ্দিক বাজারের রোজলিন ভিস্তা। গাউসিয়া মার্কেটে মহিলাদের বেশি আনাগোনা হয়। এমন একটি জায়গায় যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে আমার মনে হয় অনেক মানুষ মারা যাবে। গাউসিয়াসহ এই মার্কেটগুলোতে এখনই মালিক বা ডেভলপারের সঙ্গে আলাপ ও সমন্বয় করে যদি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা না হয় এবং এটিকে যদি সরকারের দৃষ্টিতে না আনা হয় তাহলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটবে।

চুন্নু আরও বলেন, সামনে ঈদ এসেছে, এখন গরম। গাউসিয়ায় মানুষ যাবে, হাজার হাজার মহিলা। আমিও গেছি আমার স্ত্রীর সঙ্গে। হাঁটা যায়না, অটোমেটিক চলে যেতে হয় এতো ভীর। সেখানে যদি একটি কান্ড ঘটে তাহলে মারাত্মক একটি অবস্থা হয়ে যাবে। আমি একদিন মিরপুর গিয়েছিলাম, সেখানে একটি মার্কেট আছে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট। সেই আশির দশকে হয়েছিল, প্রায় পাঁচশ’ দোকান। সমস্ত কিছু ভেঙ্গে গেছে। রাজউক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে তাও মার্কেটের যারা দোকান মালিক তারা এটি ভাঙছে না। এই মার্কেটটিরও একটি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সমন্বয়হীনতার অভাবে আবার সমস্যা হবে। আপনি নির্দেশ দেন রাজউক হোক, সিটি কর্পোরেশন হোক বা ফায়ার সার্ভিস হোক তারা যেন সম্মিলিতভাবে কাজ করে। একজন ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে এক দোকান ভাঙছে, আরেকদিক থেকে সিটি কর্পোরেশন বলছে ‘নো এটা স্টপ করেন’। এটা কিন্তু এলোপাতাড়ি হচ্ছে। কাজেই আপনি নির্দেশ দেন যারা কনসার্ন বিভাগ তারা ধীরস্থিরভাবে যেগুলো অতি ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলোর বিষয়ে যেন একটা ব্যবস্থা গ্রহন করে। যাতে এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটে।