সংস্কারের ৩ দিনেই উঠে যাচ্ছে পীচ, নিম্নমানের কাজে জনমনে ক্ষোভ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
বিভাগীয় নগরী রংপুরের প্রধান সড়ক সংস্কারের নামে ৩ দিনের মধ্যেই সড়ক থেকে নতুন পীচ ও পাথর উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর আর পীচ গুলো হাওয়া হয়ে গেছে। রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ ধরনের নিম্নমানের কাজ নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহি প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর নগরীর প্রধান সড়ক ডিসির মোড় থেকে পায়রা চত্বর পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের জন্য নয়া পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে সংস্কার করার পদক্ষেপ নেয়া হয়। ৫৩ লাখ টাকা ব্যায়ে পুর্বের সড়কের উপর সিঙ্গেল বিটুমিনাস সারপেস ট্রিটমেন্ট করার কথা। এ পদ্ধতির মাধ্যমে পূর্বের সড়কের উপর পাথরের বুজরী আর বিটুমিন দিয়ে আগের সড়কের উপর প্রলেপ দেয়া। এতে করে নাকি আগামী তিন বছর সড়কটি আর সংস্কার করা লাগবেনা।
কিন্তু তিন দিন পর থেকে আগের সড়কের উপর বিটুমিন আর বুজরি পাথর দিয়ে প্রলেপ লাগানো পাথর গুলো সরে যাচ্ছে ফলে আগে যে সড়কের অবস্থা ছিলো বরং তার থেকে খারাপ হচ্ছে। পুরো ঘটনাকে ধামাচাপা দেবার জন্য ঝাড়– দিয়ে উঠে যাওয়া পাথর পীচ সহ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু তার পরেও সড়ক সংস্কারের উদ্দেশ্যে শত ভাগ ব্যাহত হয়েছে বলে নগর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তারা বলছেন একটু বৃষ্টি হলেই সংস্কারের নামে পাথর আর পীচের প্রলেপ পুরোপুরি ঊঠে যাবে। এতে করে সরকারী অর্থের অপব্যাহারই হবে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও সওজের সাবেক প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম জানান, রংপুর নগরীর একটি মাত্র সড়ক যা প্রধান সড়ক হিসেবে ব্যাহৃত হয় প্রতিদিন গড়ে লাখেরও বেশী যান বাহন চলাচল করে। ফলে সেই সড়কে সিঙ্গেল বিটুমিনাস কার্পেটিং ট্রিটমেন্ট এর কাজ কোন সুফল বরেয় আনবেনা বরং সরকারী অর্থের অপচয় করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহি প্রকৌশলী সাজেদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নতুন এই পদ্ধতিতে সড়ক সংস্কার করলে একদিকে যেমন সরকারী বিপুল অর্থের সাশ্রয় হবে তেমনি এর আয়ুস্কাল কমপক্ষে তিন বছর হবে। তবে কোন পাথর ও পীচের প্রলেপ ঊঠে যাচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এতে শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ নষ্ট হলেও সড়কের কোন ক্ষতি হবেনা বলেও দাবি করেন তিনি।