যশোরে নিরাপদ সবজি উৎপাদন প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপ্তি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৫৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মহাবুবুল হক পাটোয়ারী বলেছেন, কৃষকদের আধুনিকায়নের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে কৃষকরা শীত কালে- গরমকালের সবজি এবং গরমকালে শীতকালের সবজি তৈরি পারবে। সারাদেশে সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। কৃষকদের সেই ক্ষেত্রে লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। কৃষকদের এসব সবজি বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
যশোরের চাচড়ার বিএডিসি সেচ কমপ্লেক্স সম্মেলন কক্ষে তিনদিনব্যাপী ‘পানি সাশ্রয় ও নিরাপদ সবজি, ফল এবং ফুল উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপ্তি হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ার) কর্মশালার শেষ দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সচিব মো. মহাবুবুল হক পাটোয়ারী একথা বলেন।
তিনি কর্মশালার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও কৃষিক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের জন্য পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। এ ধরনের প্রশিক্ষণ আমাদের কৃষি ব্যবস্থাকে আরও উন্নত ও কার্যকর করতে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহাবুব আলম, বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল রশিদ, প্রকৌশলী দীপঙ্কর দাশ। কর্মশালায় অংশগ্রহণ কারীদের মধ্যে খুলনা জেলা থেকে আগত মো.নাঈম ইসলাম, দিনাজপুর থেকে আসা শফিউল পারভেজ এবং রংপুর -মিঠাপুকুর থেকে আগত জাবের আলম তাদের অনুভূতি জানান।
প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে অংশগ্রহণকারী প্রকৌশলীদের হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়ার জন্য যশোরের সবজি উৎপাদন এলাকায় চুডমনকাটিৰ পুলতাডাঙ্গা গ্ৰামে নিয়ে গিয়ে বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়। কৃষি প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং পানি সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে কাজ করা যায়, সে সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীরা প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
কর্মশালায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ইরিগেশন সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা, পলি হাউস নির্মাণের ডিজাইন ও এস্টিমেট, সৌরচালিত স্থাপনা সংরক্ষণ, রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং, হোলি হাউসে ফসল ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন, রিমোট সেটিং প্রযুক্তি, ইন-ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট, এবং আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা।
কর্মশালায় বিএডিসির বিভিন্ন জেলা থেকে প্রকৌশলী, কৃষি বিশেষজ্ঞ, এবং সংশ্লিষ্ট পেশাদাররা অংশ নেন। তাদের মধ্যে অনেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হাতেকলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং নিরাপদ কৃষি উৎপাদনের নতুন নতুন পদ্ধতি কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
আয়োজকরা জানান, এই উদ্যোগ দেশের কৃষি ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে। বিশেষত পানি সাশ্রয় ও পরিবেশবান্ধব কৃষি উৎপাদনে এটি একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া এক প্রকৌশলী বলেন, এই কর্মশালায় আমরা এমন কিছু প্রযুক্তি ও কৌশল শিখেছি যা আমাদের বাস্তব জীবনে খুবই প্রাসঙ্গিক এবং কৃষি উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়ক হবে। এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা কৃষি খাতের উন্নয়ন এবং কৃষকদের সচেতনতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন