ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ’ লীগ নেতা শাহীন চাকলাদারের চার বছরের দণ্ড

শহিদুল ইসলাম দইচ, যশোর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ ১২০ বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুদকের মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

যশোরের স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) এসএম নূরুল ইসলাম বুধবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের স্পেশাল পিপি মো. সিরাজুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।তবে, আসামিপক্ষের আইনজীবী গাজী আব্দুল কাদির সাংবাদিকদের বলেছেন, শুনেছি দুদকের মামলায় শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে এমন একটি রায় দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমার ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারছি না।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ এসএম নূরুল ইসলামের আদালত শাহীন চাকলাদারকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে শাহীন চাকলাদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা (স্পেশাল মামলা নম্বর ০৪/২০১০, কোতোয়ালি থানার মামলা নম্বর ০৭, ০৩.০৩.২০০৮ এবং দুদক জিআর ০১/২০০৮) করেন।

অভিযোগ ছিল, তিনি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, তার ট্যাক্স ফাইলে দেখানো সম্পদের অঙ্ক ও দাখিল করা বিবরণীর মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে।

শাহীন চাকলাদার তার সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছিলেন, তার মোট সম্পদ ১ কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকা, যার মধ্যে ১ কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা দেনা। কিন্তু দুদকের তদন্তে উঠে আসে, তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি তদন্ত শেষে দুদক তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। রায়ের দিন শাহীন চাকলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করে আদালত। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল কাদির।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আ’ লীগ নেতা শাহীন চাকলাদারের চার বছরের দণ্ড

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

দুদকের মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

যশোরের স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) এসএম নূরুল ইসলাম বুধবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের স্পেশাল পিপি মো. সিরাজুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।তবে, আসামিপক্ষের আইনজীবী গাজী আব্দুল কাদির সাংবাদিকদের বলেছেন, শুনেছি দুদকের মামলায় শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে এমন একটি রায় দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমার ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারছি না।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ এসএম নূরুল ইসলামের আদালত শাহীন চাকলাদারকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে শাহীন চাকলাদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা (স্পেশাল মামলা নম্বর ০৪/২০১০, কোতোয়ালি থানার মামলা নম্বর ০৭, ০৩.০৩.২০০৮ এবং দুদক জিআর ০১/২০০৮) করেন।

অভিযোগ ছিল, তিনি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, তার ট্যাক্স ফাইলে দেখানো সম্পদের অঙ্ক ও দাখিল করা বিবরণীর মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে।

শাহীন চাকলাদার তার সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছিলেন, তার মোট সম্পদ ১ কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকা, যার মধ্যে ১ কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা দেনা। কিন্তু দুদকের তদন্তে উঠে আসে, তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি তদন্ত শেষে দুদক তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। রায়ের দিন শাহীন চাকলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করে আদালত। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল কাদির।