ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিভেদ দূর করতে ৩ দফা প্রস্তাবনা (ভিডিও)

সোহরাব হোসেন সৌরভ,রাজশাহী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ ৬৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিভেদ দূরকরতে ৩ দফা প্রস্তাবনা জানিয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে রাজশাহীর বিভিন্নশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরশিক্ষার্থীরা। একই সাথে তারা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে উভয় পক্ষকে উষ্কানীমূলক বক্তব্য এবং কার্যক্রম থেকে বিরত রাখাসহ ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সকল অনাকাঙ্খিত হত্যকান্ডের বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি ২৫) বেলা ১১ টায় রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের  এমবি এ শিক্ষার্থী মো. শিপন।

তিনি বলেন, তাবলীগ জামাত মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক। বিশ্বে ইসলামের দাওয়াহ কার্যক্রমের অন্যতম মাধ্যম। আমরা লক্ষ্য করছি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিভেদ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে প্রাণহানির মতো দুঃখজনক ঘটনাও ঘটেছে। যা দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি শৃঙ্খলার জন্য হুমকি স্বরূপ। এই পরিস্থিতি শুধু তাবলীগ জামাতেরই ক্ষতি হচ্ছেনা বরং বৃহত্তর মুসলিম সমাজের ঐক্য ও সৌহার্দ্যকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি মুরুব্বিদের আগমনে বৈষম্য, কাকরাইল মসজিদ ব্যবহারে বৈষম্য, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণে বৈষম্য, ইজতেমার সময় বরাদ্দে বৈষম্য, মসজিদ কেন্দ্রিক আমলে বাধা প্রদান ও বৈষম্য এবংপাঁচ দিনের জোড় আয়োজনে বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরেন। এসময় সচেতন ছাত্র সমাজের পক্ষ ৩ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

প্রস্তাবনাগুলো হলো- উভয়পক্ষই যেন তাদের সর্বোচ্চ মুরুব্বীদের নিয়ে যার যার কার্যক্রম (অর্থাৎ জোড়, ইজতেমা ও অন্যান্য আমল) পরিচালনা করতে পারে তা নিশ্চিত করা। উভয় পক্ষের জন্যই কাকরাইল মসজিদ, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান এবং দেশের প্রতিটি মসজিদে তাবলীগের আমলে সমতা নিশ্চিত করা। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে উভয় পক্ষকে একে অপরের বিরুদ্ধে কোন ধরনের উস্কানীমূলক বক্তব্য এবং কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা এবং ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সকল অনাকাঙ্খিত হত্যকান্ডের বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রুয়েটের শিক্ষার্থী মো. জাবের, রামেক শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ, তানজিম, রাবি শিক্ষার্থী মো. তারেক, রাজশাহী সিটি কলেজে শিক্ষার্থী শাহারিয়ার, অগ্রণী কলেজের শিক্ষার্থী আবু বকর ও জুনায়েদসহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিভেদ দূর করতে ৩ দফা প্রস্তাবনা (ভিডিও)

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিভেদ দূরকরতে ৩ দফা প্রস্তাবনা জানিয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে রাজশাহীর বিভিন্নশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরশিক্ষার্থীরা। একই সাথে তারা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে উভয় পক্ষকে উষ্কানীমূলক বক্তব্য এবং কার্যক্রম থেকে বিরত রাখাসহ ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সকল অনাকাঙ্খিত হত্যকান্ডের বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি ২৫) বেলা ১১ টায় রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের  এমবি এ শিক্ষার্থী মো. শিপন।

তিনি বলেন, তাবলীগ জামাত মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক। বিশ্বে ইসলামের দাওয়াহ কার্যক্রমের অন্যতম মাধ্যম। আমরা লক্ষ্য করছি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিভেদ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে প্রাণহানির মতো দুঃখজনক ঘটনাও ঘটেছে। যা দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি শৃঙ্খলার জন্য হুমকি স্বরূপ। এই পরিস্থিতি শুধু তাবলীগ জামাতেরই ক্ষতি হচ্ছেনা বরং বৃহত্তর মুসলিম সমাজের ঐক্য ও সৌহার্দ্যকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি মুরুব্বিদের আগমনে বৈষম্য, কাকরাইল মসজিদ ব্যবহারে বৈষম্য, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণে বৈষম্য, ইজতেমার সময় বরাদ্দে বৈষম্য, মসজিদ কেন্দ্রিক আমলে বাধা প্রদান ও বৈষম্য এবংপাঁচ দিনের জোড় আয়োজনে বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরেন। এসময় সচেতন ছাত্র সমাজের পক্ষ ৩ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

প্রস্তাবনাগুলো হলো- উভয়পক্ষই যেন তাদের সর্বোচ্চ মুরুব্বীদের নিয়ে যার যার কার্যক্রম (অর্থাৎ জোড়, ইজতেমা ও অন্যান্য আমল) পরিচালনা করতে পারে তা নিশ্চিত করা। উভয় পক্ষের জন্যই কাকরাইল মসজিদ, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান এবং দেশের প্রতিটি মসজিদে তাবলীগের আমলে সমতা নিশ্চিত করা। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে উভয় পক্ষকে একে অপরের বিরুদ্ধে কোন ধরনের উস্কানীমূলক বক্তব্য এবং কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা এবং ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সকল অনাকাঙ্খিত হত্যকান্ডের বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রুয়েটের শিক্ষার্থী মো. জাবের, রামেক শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ, তানজিম, রাবি শিক্ষার্থী মো. তারেক, রাজশাহী সিটি কলেজে শিক্ষার্থী শাহারিয়ার, অগ্রণী কলেজের শিক্ষার্থী আবু বকর ও জুনায়েদসহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী।