চাঁদা না পেয়ে জমি দখল, মামলা করে বিপাকে বাদী
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবীর মামলা তুলে না নিলে বাদী হাবিবুর রহমানকে হত্যা হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার বাদী মোঃ হাবিবুর রহমান এমন অভিযোগ করেছেন। চাঁদা না পেয়ে মোঃ জলিল ঘরামী ও তার সহযোগীরা তার জমি দখল করে নিয়েছে। ওই জমিতে তারা বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করেছেন। পুলিশ প্রশাসনের কাজে সহযোগীতার দাবী। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের আসমত আলী সিকদারের ৫১৭ নং খতিয়ানে দলিল মুলে এক একর ৮০ শতাংশ জমি রয়েছে। গত ৪০ বছর ধরে তার ওয়ারিশরা ওই জমি ভোগদখল করে আসছেন। গত বছর ওই জমি চাষাবাদ করতে গেলে স্থানীয় জলিল ঘরামী, আলমগীর ঘরামী ও মনোয়ার ঘরামী জমির মালিক আসমত আলী সিকদারের ছেলে হাবিবুর রহমানের কাছে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা ওই জমি দখল করে নেয়। এ ঘটনায় হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারী আমতলী সিনিয়র জুডিনিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। এতে ক্ষুব্দ হয় জলিল ঘরামী ও তার সহযোগীরা। এ মামলা তুলে নিতে আসামীরা মামলার বাদীকে চাপ দিচ্ছেন। মামলা তুলে না নিলে তারা তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে মামলার বাদী হাবিবুর রহমান পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাচনাপাড়া গ্রামের কয়েকজন বলেন, হাবিবুব রহমানের কাছে জলিল ঘরামী ও তার সহযোগীরা চাঁদা দাবী করেছিল। চাঁদা না পেয়ে তার জমি জোরপুর্বক তারা দখল করে গাছের চারা রোপন করেছে।
মামলার বাদী হাবিবুর রহমান বলেন, জলিল ঘরামী ও তার সহযোগীরা আমার কাছে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় তারা আমার জমি দখল করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেছেন। আমি এ ঘটনায় মামলা করেছি। বর্তমানে আসামীরা আমাকে মামলা তুলে না নিলে হত্যা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমি তাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমি সহযোগীতা দাবী করছি।
এ বিষয়ে জলিল ঘরামী হত্যার হুমকি দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, হাবিবুর রহমানের কিছু জমিতে আমি গাছের চারা রোপন করেছি। কেন অন্যের জমি দখল করে গাছের চারা রোপন করেছেন এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি তিনি?
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ ঘটনায় মামলা তদন্তধীন রয়েছে। প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।