জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের লোগো ব্যবহার করে নকল বস্তায় ভারতীয় চিনি বিক্রি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:১৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ ৬৮ বার পড়া হয়েছে
ঈদ বা যেকোনো উৎসব এলেই চিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণ। আর এই সুযোগে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের পথ বেছে নেয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিতে স্বনামধন্য ব্র্যান্ড ফ্রেস/ তীরের নকল প্যাকেট তৈরি করে অবৈধভাবে পাচার করে আনা ভারতীয় চিনি দেশীয় ব্র্যান্ড ফ্রেস/তীরের নকল বস্তায় ভরে চলছে বেচাকেনা।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মাধবপুর বাজারের প্রায় কয়েকটি দোকানে পাওয়া যায় অবৈধ ভারতীয় চিনি, যা রাখা হয়েছে নিত্যপণ্যের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ফ্রেস/তীরের নাম ব্যবহার করে।
থরে থরে সাজানো শতাধিক বস্তার এসব চিনি অবৈধভাবে ভারত থেকে পাচারের মাধ্যমে আনা হয়েছে। দাম কম পাওয়ায় চিনি সিন্ডিকেটের কাছ থেকে ভারতীয় চিনি এনে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করছেন বলে জানান বেশ কয়েক দোকানের মালিক।
পাচার করে আনার পর দেশীয় নামদামি ব্র্যান্ডের নকল বস্তায় ভরে চিনি বিক্রি করা হয় ব্যবসায়ীদের কাছে।
ইন্ডিয়া থেকে আসে চিনি। বস্তা পরিবর্তন করে ফ্রেস/ তীরের বস্তায় চিনি দেওয়া হয়। বস্তা প্রতি দুই থেকে তিনশ’ টাকা কম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী বলেন সবার দেখাদেখি আমিও বিক্রি করা শুরু করি।’
জানা যায় মাধবপুর বাজারের চিনি সিন্ডিকেটের মূল হোতা পংকজ রায়, মিজানুর রহমান ,শীতল পাল, গংদের একটি চক্র নিয়মিত প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে আসা ভারতীয় চিনি ব্যবসা করে আসছে।
প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিতে দফায়দফা পরিবর্তন করে গোডাউন। তাছাড়া গভীর রাতে সাঙ্গপাঙ্গ দের বিশাল বহর পাহাড়ায় রেখে ড্রিস্ট্রিক ট্রাক থেকে পন্য আনলোড করার দৃশ্য চোখে পড়ার মত।
আবার কেউ কেউ রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় বলতে শুনা যায় , “এত কড়াকড়ির পর ও আমার এক গাড়ি চিনি আনলোড করলাম।”
চিনি সিন্ডিকেটের মূল হোতা পংকজ রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমরা ব্যবসা করি তাই বিভিন্ন পলিসি অবলম্বন করতেই পারি, আপনারা পারলে প্রমাণ করুন।
আরও জানা যায় বুল্লা ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামের ব্যবসায়ী মিজান রাতের আঁধারে তার গ্রামের বাড়ি সামনে ভারতীয় চিনির প্যাকেট পরিবর্তনের মাধ্যমে তীর/ ফ্রেশের মোড়কজাত করে মাধবপুর বাজার সহ উপজেলার বেশ কয়টি বাজারে চিনি সাপ্লাই দিয়ে আসছে।
তবে চিনি ব্যবসায়ীর একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে বলেন, একমাত্র গাড়ির চালান চেক করেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে, কারণ গাড়ির চালানে অবশ্যই ড্রাইভার ও গাড়ির নাম্বার সহ বিস্তারিত থাকবে।
তবে এ ব্যাপারে থানা পুলিশ সহযোগিতা করলেই একমাত্র এ অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব।
জানতে চাইলে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে সরাসরি মামলা দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।