আন্দোলনে নিহত স্বামীর মরদেহ ৫ মাস পর শনাক্ত করলেন স্ত্রী
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪০:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ ৩১ বার পড়া হয়েছে
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত কাবিল হোসেন (৫৭) নামে একজনের মরদেহ অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে পড়ে ছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে। গত ৫ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহত কাবিলের মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) স্ত্রী সেলিনা বেগমের কাছে কাবিল হোসেনের মরদেহ হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
সেলিনা বেগম জানান, তার স্বামী কাবিল হোসেন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। তাদের বাড়ি কুমিল্লায়। কর্মসূত্রে তারা রাজধানীর মানিকনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সকালে রাজধানীর মানিকনগরের বাসা থেকে বের হন কাবিল হোসেন। এরপর তার আর কোনও খোঁজ পাননি পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমের খবরে তারা জানতে পারেন, ঢামেকের মর্গে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনের মরদেহ পড়ে আছে। পরদিন শনিবার (১১ জানুয়ারি) মর্গে এসে মরদেহের পরনে থাকা পোশাক দেখে তা কাবিলের বলে শনাক্ত করেন তার স্ত্রী।
এরপর বিষয়টি শাহবাগ থানাকে জানায় ঢামেক কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা হতাহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগেরই নাম-পরিচয় জানা গেছে। এরমধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকেই আন্দোলনে নিহত অনেকের মরদেহ বুঝেও নিয়েছেন স্বজনরা। তবে আন্দোলনে নিহত ছয় জনের মরদেহ ঘটনার ৫ মাস পরও অশনাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন ঢামেক হাসপাতালের মর্গে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহগুলো ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবেই ফ্রিজে রেখে দেয়। তাদেরই একজন কাবিল হোসেন।