ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ, সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০৭:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জেরে এক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়। নিহত ওই সাংবাদিকের নাম- মুকেশ চন্দ্রকর। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে সত্য প্রকাশে অটল থাকা মুকেশের মরদেহ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়। এমন ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ছত্তিসগড়ে।

রোববার (৫ জানুয়ারি) মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি মুকেশ একটি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতির খবর ফাঁস করেছিলেন। তার প্রতিবেদন প্রকাশের পরেই তিনি চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন অনেকের।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, গঙ্গালুর থেকে হিরোলি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডারের প্রাথমিক খরচ ছিল ৫০ কোটি টাকা, যা অস্বাভাবিকভাবে ১২০ কোটিতে পৌঁছে যায়। মুকেশ এই দুর্নীতির পেছনের মূলহোতাদের চিহ্নিত করে রাজ্য সরকারের নজরে আনেন।

এদিকে মুকেশের তুতোভাই রীতেশ চন্দ্রকরসহ চারজনকে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ঘটনার দিন মুকেশ এবং অভিযুক্তরা একসঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন। সেখানেই তর্ক-বিতর্কের জেরে রীতেশ ও অন্যরা মুকেশকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর তার মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে সিমেন্ট দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়। উল্লেখ্য, সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর ছিলেন বিজাপুর ও বস্তারের দুর্নীতি ও অপরাধের মুখোশ উন্মোচনে অগ্রগামী। তার নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘বস্তার জংশন’-এর মাধ্যমে তিনি নির্ভীকভাবে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও ঘটনা তুলে ধরতেন। তার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ছিল দেড় লাখের বেশি। মুকেশের নিকটজনরা জানিয়েছেন, তিনি কখনো ভয় পেতেন না এবং সত্য উদঘাটনে সবসময় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন।

মুকেশের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিবৃতিতে দেশের সব সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছে। একই সাথে দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য ভারতের সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ, সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০৭:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জেরে এক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়। নিহত ওই সাংবাদিকের নাম- মুকেশ চন্দ্রকর। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে সত্য প্রকাশে অটল থাকা মুকেশের মরদেহ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়। এমন ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ছত্তিসগড়ে।

রোববার (৫ জানুয়ারি) মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি মুকেশ একটি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতির খবর ফাঁস করেছিলেন। তার প্রতিবেদন প্রকাশের পরেই তিনি চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন অনেকের।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, গঙ্গালুর থেকে হিরোলি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডারের প্রাথমিক খরচ ছিল ৫০ কোটি টাকা, যা অস্বাভাবিকভাবে ১২০ কোটিতে পৌঁছে যায়। মুকেশ এই দুর্নীতির পেছনের মূলহোতাদের চিহ্নিত করে রাজ্য সরকারের নজরে আনেন।

এদিকে মুকেশের তুতোভাই রীতেশ চন্দ্রকরসহ চারজনকে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ঘটনার দিন মুকেশ এবং অভিযুক্তরা একসঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন। সেখানেই তর্ক-বিতর্কের জেরে রীতেশ ও অন্যরা মুকেশকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর তার মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে সিমেন্ট দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়। উল্লেখ্য, সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর ছিলেন বিজাপুর ও বস্তারের দুর্নীতি ও অপরাধের মুখোশ উন্মোচনে অগ্রগামী। তার নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘বস্তার জংশন’-এর মাধ্যমে তিনি নির্ভীকভাবে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও ঘটনা তুলে ধরতেন। তার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ছিল দেড় লাখের বেশি। মুকেশের নিকটজনরা জানিয়েছেন, তিনি কখনো ভয় পেতেন না এবং সত্য উদঘাটনে সবসময় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন।

মুকেশের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিবৃতিতে দেশের সব সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছে। একই সাথে দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য ভারতের সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।