ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমতলী উপজেলার সড়ক নির্মাণে ব্যবহার হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী

বরগুনা প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:২০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বরগুনা জেলা আমতলী উপজেলার খুড়িয়ার খেয়াঘাট থেকে ধানখালী জিসির ৪ হাজার ৩’শ মিটার সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা ও শাহীন তালুকদার এ নিম্নমানের কাজ করছেন। উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ জেনেও ঠিকাদারের এ নিম্নমানের কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। স্থানীয়দের দাবী এ সড়ক বেশী দিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের খুড়িয়ার খেয়াঘাট থেকে ধানখালী জিসি সড়কের চার হাজার তিন’শ মিটার সড়ক। এ সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহবান করে বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশল বিভাগ। ওই কাজে তিন কোটি চার লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৯৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর ওই কাজের টেন্ডার হয়। বরেন্দ্র ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই কাজ পায়। ২০২৪ সালের ২১ এপ্রিল কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদার গত বছর জুন মাসে ওই সড়কের কিছু অংশের কাজের মেগাডাম করে ফেলে রাখেন। কাজের মেয়াদ আট মাস পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদার কাজ করেননি। গত ডিসেম্বর মাসে ওই কাজ শুরু করেন। শুরুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের খোয়া ও পাথর দিয়ে কাজ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়দেও আরো অভিযোগ ঠিকাদার শাহীন তালুকদার ও শহীদুল ইসলাম মৃধা নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন। ঠিকাদারগণ দরপত্র অনুসারে সড়কের প্রস্ত ও গভীরতা দেয়নি।এ বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে জানালেও তারা কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ওই কাজের এক কিস্তির বিল ছাড় দিয়েছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করছেন। স্থানীয় বাচ্চু মিয়া ও কামাল হোসেন বলেন, ঠিকাদার নিম্নমানের খোয়া দিয়ে সড়ক নির্মাণ করেছেন। এ সড়ক বেশী দিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে। দ্রিত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা। তারা আরো বলেন, টেকসই সড়ক নির্মাণেনিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ করে পুনরায় সড়ক নির্মাণের দাবী তাদের।
মোটর সাইকেল চালক নজরুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার যে নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করেছেন তাতে সরকারী টাকা অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।

ঠিকাদার শাহীন তালুকদার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কথা অস্বীকার করে বলেন, ইতিমধ্যে দুই হাজার এক’শ মিটার সড়কের কাজ শেষ করেছি। বাকী কাজ দ্রুত শুরু করবো। তিনি আরো বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী কাজের বিল ছাড় দিলেও এখনো উত্তোলন করতে পারিনি।

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, ঠিকাদার যতটুকু কাজ করেছেন তার বিল ছাড় দেয়া হয়েছে।

বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান খাঁন বলেন, কাজ করলে ঠিকাদারকে বিল ছাড় দিতেই হবে। তবে ঠিকাদার ওই সড়কের কিছু স্থানে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করেছিল পরির্দশন করে ওই নিম্নমানের সামগ্রী পরিবর্তন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আমতলী উপজেলার সড়ক নির্মাণে ব্যবহার হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:২০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

বরগুনা জেলা আমতলী উপজেলার খুড়িয়ার খেয়াঘাট থেকে ধানখালী জিসির ৪ হাজার ৩’শ মিটার সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা ও শাহীন তালুকদার এ নিম্নমানের কাজ করছেন। উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ জেনেও ঠিকাদারের এ নিম্নমানের কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। স্থানীয়দের দাবী এ সড়ক বেশী দিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের খুড়িয়ার খেয়াঘাট থেকে ধানখালী জিসি সড়কের চার হাজার তিন’শ মিটার সড়ক। এ সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহবান করে বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশল বিভাগ। ওই কাজে তিন কোটি চার লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৯৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর ওই কাজের টেন্ডার হয়। বরেন্দ্র ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই কাজ পায়। ২০২৪ সালের ২১ এপ্রিল কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদার গত বছর জুন মাসে ওই সড়কের কিছু অংশের কাজের মেগাডাম করে ফেলে রাখেন। কাজের মেয়াদ আট মাস পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদার কাজ করেননি। গত ডিসেম্বর মাসে ওই কাজ শুরু করেন। শুরুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের খোয়া ও পাথর দিয়ে কাজ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়দেও আরো অভিযোগ ঠিকাদার শাহীন তালুকদার ও শহীদুল ইসলাম মৃধা নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন। ঠিকাদারগণ দরপত্র অনুসারে সড়কের প্রস্ত ও গভীরতা দেয়নি।এ বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে জানালেও তারা কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ওই কাজের এক কিস্তির বিল ছাড় দিয়েছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করছেন। স্থানীয় বাচ্চু মিয়া ও কামাল হোসেন বলেন, ঠিকাদার নিম্নমানের খোয়া দিয়ে সড়ক নির্মাণ করেছেন। এ সড়ক বেশী দিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে। দ্রিত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা। তারা আরো বলেন, টেকসই সড়ক নির্মাণেনিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ করে পুনরায় সড়ক নির্মাণের দাবী তাদের।
মোটর সাইকেল চালক নজরুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার যে নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করেছেন তাতে সরকারী টাকা অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।

ঠিকাদার শাহীন তালুকদার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কথা অস্বীকার করে বলেন, ইতিমধ্যে দুই হাজার এক’শ মিটার সড়কের কাজ শেষ করেছি। বাকী কাজ দ্রুত শুরু করবো। তিনি আরো বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী কাজের বিল ছাড় দিলেও এখনো উত্তোলন করতে পারিনি।

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, ঠিকাদার যতটুকু কাজ করেছেন তার বিল ছাড় দেয়া হয়েছে।

বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান খাঁন বলেন, কাজ করলে ঠিকাদারকে বিল ছাড় দিতেই হবে। তবে ঠিকাদার ওই সড়কের কিছু স্থানে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করেছিল পরির্দশন করে ওই নিম্নমানের সামগ্রী পরিবর্তন করা হয়েছে।