ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাওনা টাকা না দেয়ায় যুবককে হত্যা

রাজশাহী ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহীতে পাওনা টাকা না দেওয়ায় এক যুবককে খুন করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম আমানুল্লাহ ইমন (২২)। তিনি জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মো. কামরুজ্জামানের ছেলে।

গত ২৮ ডিসেম্বর এই খুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

বুধবার (০১ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- আরাফাত হোসেন নাহিদ (২৪) ও আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফ (২৫)।

নাহিদের বাড়ি গোদাগাড়ীর নলত্রী গ্রামে। তার বাবার নাম আজিজুর রহমান।আর আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সাতনইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। নাহিদ পেশায় ট্রাকচালক। আলিফ ট্রাক চালকের হেলপার।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নাহিদ ১০ হাজার টাকা পেতেন ইমনের কাছে। গত ২৮ ডিসেম্বর নাহিদ তার হেলপার আলিফকে টাকা আনতে পাঠান ইমনের কাছে। কিন্তু ইমন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নাহিদ ও আলিফ ইমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি জুতার ফিতা, একটি ব্লেড ও একটি সাদা গেঞ্জি সংগ্রহ করেন।তারা ২৮ ডিসেম্বর নলত্রী গ্রামে ইমনকে দেখতে পান। এ সময় পেছন থেকে নাহিদ তাকে জাপটে ধরেন এবং আলিফ গেঞ্জি দিয়ে মুখ বেঁধে জুতার ফিতা দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। এতে শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় ইমনের। তখন আলিফ ব্লেড দিয়ে ইমনের গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর দুজন পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ৩০ ডিসেম্বর মামলা করেন বাবা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পাওনা টাকা না দেয়ায় যুবককে হত্যা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

রাজশাহীতে পাওনা টাকা না দেওয়ায় এক যুবককে খুন করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম আমানুল্লাহ ইমন (২২)। তিনি জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মো. কামরুজ্জামানের ছেলে।

গত ২৮ ডিসেম্বর এই খুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

বুধবার (০১ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- আরাফাত হোসেন নাহিদ (২৪) ও আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফ (২৫)।

নাহিদের বাড়ি গোদাগাড়ীর নলত্রী গ্রামে। তার বাবার নাম আজিজুর রহমান।আর আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সাতনইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। নাহিদ পেশায় ট্রাকচালক। আলিফ ট্রাক চালকের হেলপার।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নাহিদ ১০ হাজার টাকা পেতেন ইমনের কাছে। গত ২৮ ডিসেম্বর নাহিদ তার হেলপার আলিফকে টাকা আনতে পাঠান ইমনের কাছে। কিন্তু ইমন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নাহিদ ও আলিফ ইমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি জুতার ফিতা, একটি ব্লেড ও একটি সাদা গেঞ্জি সংগ্রহ করেন।তারা ২৮ ডিসেম্বর নলত্রী গ্রামে ইমনকে দেখতে পান। এ সময় পেছন থেকে নাহিদ তাকে জাপটে ধরেন এবং আলিফ গেঞ্জি দিয়ে মুখ বেঁধে জুতার ফিতা দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। এতে শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় ইমনের। তখন আলিফ ব্লেড দিয়ে ইমনের গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর দুজন পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ৩০ ডিসেম্বর মামলা করেন বাবা।