ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাইবান্ধা প্রিপেইড মিটারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ফুটপাত দখলমুক্ত করতে যশোরে এসপির অভিযান টাঙ্গাইলের চরাঞ্চলে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের সম্মাননা ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প  টাঙ্গাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খানকে বিদায় সংবর্ধনা সংসদের মেয়াদ চার বছর, দু’বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা টাঙ্গাইলে লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসব শুরু তাবলীগ জামাতের চলমান সঙ্কট নিরসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নতুন বই না পেয়ে কার্যালয়ে সহকারী হিসাব রক্ষককে লাঞ্ছিত

‘মার্চ ফর ইউনিটি’

জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’র গাড়িবহরে হামলা, সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে খুলনা মহানগর থেকে শিক্ষার্থীদের বহনকারী ২৫টি বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বাগেরহাটের মোল্লাহাট মাদ্রাসাঘাট এলাকায় পৌঁছালে গাড়িবহরের সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে পরিবহণ শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরে বাস শ্রমিক ও স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীরা গাড়ি বহর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং গাড়ি থামিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে। পরে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে মূহুর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আগামী ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এই দাবি জানান তারা। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোল্লাহাট অতিক্রম করার সময় পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের সহযোগিতা করে। থানার সামনে ঘটনা ঘটা সত্তে¡ও পুলিশ নিরব ভূমিকায় ছিল বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন খুলনার সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর জানান, খুলনা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের বহর ঢাকায় যাচ্ছিল। পথে আমাদের ওপর হামলা করে।

আরেক সমন্বয়ক মিনহাজুল আবেদীন জানান, পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। তবে কোনো বাঁধা আমাদের লক্ষ্য থেকে সরাতে পারবে না। আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরেছে। এর বিচার অতি দ্রæত করতে হবে, জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর না হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে জড়িতদের খুঁজে বের করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ইমাদ পরিবহণ নামের একটি বাসের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাড়িবহরের সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাগবিতÐার এক পর্যায়ে পরিবহণ শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আমাদের সংগ্রাম শেষ হয় নাই। খুনিরা, খুনিদের দোসরা এখনো ঘুরে বেড়ায়। এই খুনিদের বিচার হতে হবে। বিচার না হলে আমরা নিজেদের মাফ করতে পারব না। কেন আমরা শুনবো এক হাত থেকে আরেক হাতে সিন্ডিকেট যাচ্ছে। আপনারা কী করছেন? হাত ভেঙ্গে দিচ্ছেন না কেন?

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, এই দেশের হাজার হাজার মানুষের ঘামের টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে। গোপালগঞ্জে এখনও কীভাবে আমাদের উপর হামলা হয়? পুলিশদের বলব, নিরাপত্তা না দিতে পারলে আপনাদের পদে থাকার দরকার নাই। আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ চাই, আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা চাই।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, যেসকল দালাল লুকিয়ে আছে তাদের মুক্ত করুন। যেদেশের বিপ্লবীদের নিরাপত্তা নাই, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসা ও শহীদ পরিবারের সম্মান নিশ্চিত করতে হবে। অতিদ্রæত আমাদের প্রোক্লেমেশন দিতে হবে। নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান চায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন জুলাই প্রোক্লেমেশনের জন্য রাজপথে তখন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। অবিলম্বে জুলাই প্রোক্লেমেশন জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে ঘোষণা করতে হবে।

সমন্বয়ক রিফাত রশীদ বলেন, এখনও খুনি হাসিনার বিচার হয় নাই। খুনি হাসিনাকে এনে অবিলম্বে বিচার করতে হবে। অলিতে গলিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদের বিচার করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না। সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রশ্ন করতে চাই সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্তে¡ও যেসব পুলিশ ছাত্র-জনতার উপর গুলি করেছে কেনো তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ভিডিও ফুটেজ থাকার পরও কেন লাশ কবর থেকে তোলা হবে। এই বিপ্লব শুধু ছাত্রদের বিপ্লব নয়। শ্রমিকরা বুক পেতে দিয়েছিলেন বন্দুকের সামনে তবুও তাদের বৈষম্য দূর হয় নাই। আজকে দ্রব্যমূল্য কমে নাই। আমাদের ভাইদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কী করেন? বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে কেন এত টালহাবানা। বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। বিভিন্ন দল সুশীলতা করে। কিন্তু চাঁদাবাজি করে কারা?

আহত শিক্ষার্থী আতিকুল গাজী বলেন, ভারত সরকারকে বলতে চাই এটা খুনি হাসিনার দেশ না। আমরা খুনি হাসিনাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলাবো। রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য পাগল হয়েছে। আমরা নির্বাচনের জন্য রক্ত দেই নাই। আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। শহীদ মীর মুগ্ধর বাবা বলেন, ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা হেলিকপ্টার দিয়ে ভারতে পালিয়েছে। তখনতো এই সরকার ছিল না। ৮ই আগস্টে এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্যরা কীভাবে পালালো? মীর মুগ্ধসহ যারা শহীদ হয়েছে, যারা আহত হয়েছে তাদের বিপ্লবী যোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়ার দাবিও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘মার্চ ফর ইউনিটি’

জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে আল্টিমেটাম

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’র গাড়িবহরে হামলা, সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে খুলনা মহানগর থেকে শিক্ষার্থীদের বহনকারী ২৫টি বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বাগেরহাটের মোল্লাহাট মাদ্রাসাঘাট এলাকায় পৌঁছালে গাড়িবহরের সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে পরিবহণ শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরে বাস শ্রমিক ও স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীরা গাড়ি বহর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং গাড়ি থামিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে। পরে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে মূহুর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আগামী ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এই দাবি জানান তারা। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোল্লাহাট অতিক্রম করার সময় পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের সহযোগিতা করে। থানার সামনে ঘটনা ঘটা সত্তে¡ও পুলিশ নিরব ভূমিকায় ছিল বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন খুলনার সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর জানান, খুলনা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের বহর ঢাকায় যাচ্ছিল। পথে আমাদের ওপর হামলা করে।

আরেক সমন্বয়ক মিনহাজুল আবেদীন জানান, পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। তবে কোনো বাঁধা আমাদের লক্ষ্য থেকে সরাতে পারবে না। আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরেছে। এর বিচার অতি দ্রæত করতে হবে, জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর না হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে জড়িতদের খুঁজে বের করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ইমাদ পরিবহণ নামের একটি বাসের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাড়িবহরের সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাগবিতÐার এক পর্যায়ে পরিবহণ শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আমাদের সংগ্রাম শেষ হয় নাই। খুনিরা, খুনিদের দোসরা এখনো ঘুরে বেড়ায়। এই খুনিদের বিচার হতে হবে। বিচার না হলে আমরা নিজেদের মাফ করতে পারব না। কেন আমরা শুনবো এক হাত থেকে আরেক হাতে সিন্ডিকেট যাচ্ছে। আপনারা কী করছেন? হাত ভেঙ্গে দিচ্ছেন না কেন?

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, এই দেশের হাজার হাজার মানুষের ঘামের টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে। গোপালগঞ্জে এখনও কীভাবে আমাদের উপর হামলা হয়? পুলিশদের বলব, নিরাপত্তা না দিতে পারলে আপনাদের পদে থাকার দরকার নাই। আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ চাই, আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা চাই।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, যেসকল দালাল লুকিয়ে আছে তাদের মুক্ত করুন। যেদেশের বিপ্লবীদের নিরাপত্তা নাই, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসা ও শহীদ পরিবারের সম্মান নিশ্চিত করতে হবে। অতিদ্রæত আমাদের প্রোক্লেমেশন দিতে হবে। নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান চায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন জুলাই প্রোক্লেমেশনের জন্য রাজপথে তখন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। অবিলম্বে জুলাই প্রোক্লেমেশন জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে ঘোষণা করতে হবে।

সমন্বয়ক রিফাত রশীদ বলেন, এখনও খুনি হাসিনার বিচার হয় নাই। খুনি হাসিনাকে এনে অবিলম্বে বিচার করতে হবে। অলিতে গলিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদের বিচার করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না। সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রশ্ন করতে চাই সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্তে¡ও যেসব পুলিশ ছাত্র-জনতার উপর গুলি করেছে কেনো তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ভিডিও ফুটেজ থাকার পরও কেন লাশ কবর থেকে তোলা হবে। এই বিপ্লব শুধু ছাত্রদের বিপ্লব নয়। শ্রমিকরা বুক পেতে দিয়েছিলেন বন্দুকের সামনে তবুও তাদের বৈষম্য দূর হয় নাই। আজকে দ্রব্যমূল্য কমে নাই। আমাদের ভাইদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কী করেন? বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে কেন এত টালহাবানা। বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। বিভিন্ন দল সুশীলতা করে। কিন্তু চাঁদাবাজি করে কারা?

আহত শিক্ষার্থী আতিকুল গাজী বলেন, ভারত সরকারকে বলতে চাই এটা খুনি হাসিনার দেশ না। আমরা খুনি হাসিনাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলাবো। রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য পাগল হয়েছে। আমরা নির্বাচনের জন্য রক্ত দেই নাই। আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। শহীদ মীর মুগ্ধর বাবা বলেন, ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা হেলিকপ্টার দিয়ে ভারতে পালিয়েছে। তখনতো এই সরকার ছিল না। ৮ই আগস্টে এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্যরা কীভাবে পালালো? মীর মুগ্ধসহ যারা শহীদ হয়েছে, যারা আহত হয়েছে তাদের বিপ্লবী যোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়ার দাবিও জানান তিনি।