ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিএমডিএ’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শিবগঞ্জে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)’র কর্মকর্তা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম সেচযন্ত্রের খন্ডকালিন অপারেটর কাম রেকর্ডকিপার পদে জনবল নিয়োগ দিয়েছেন।

তবে, বিএমডিএ’র কর্মকর্তা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের দাবি, আমি কোন অর্থের বিনিময়ে কাউকে নিয়োগ দেইনি। বরং নিয়োগ কমিটির সেচযন্ত্রের খন্ডকালিন অপারেটর কাম রেকর্ডকিপার পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

এদিকে, শিবগঞ্জ বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর শিবগঞ্জ বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)’র বরাবর পৃথক দু’টি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের পারদিলালপুর গ্রামের একরামুল হকের ছেলে রবিউল আওয়াল।

লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী রবিউল আওয়াল জানান,  শাহবাজপুর ইউনিয়নের জেএল নং ৬১, গংগাহার মৌজার আরএস ৩৩০ নং দাগে অবস্থিত সেচযন্ত্র টি আমার পিতা একরামুল হক দীর্ঘ ৩৭ বছর যাবৎ পরিচালনা করে আসছেন। পিতার অসুস্থার পর থেকে আমি নিজে পরিচালনা করছি। কিন্তু গত নতুনভাবে খন্ডকালিন অপারেটর কাম রেকর্ডকিপার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২৩ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা হলেও নাম মাত্র পরীক্ষা হাজিরা খাতায় আমার সই নিয়ে ছেড়ে দেন। কিন্তু পরেরদিন বিএমডিএ’র কর্মকর্তা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম স্যার আমাকে ফোন করে ১ লাখ টাকা ঘুষ চান এবং তাকে নিয়োগ দেয়া হবে জানান। ঘুষের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমাকে নিয়োগ না দিয়ে অন্যজনকে সেখানে নিয়োগ দিয়েছেন।

এব্যাপারে শিবগঞ্জ বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)’র কর্মকর্তা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, আমার বিরুদ্ধে যে ব্যক্তি অভিযোগ করছেন তা ভিত্তিহীন। নিয়োগ বোর্ডে আমাদের বিভাগের উর্দ্ধেতম কর্তৃপক্ষের একজন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের একজন, উপজেলা কৃষি অফিসের একজন ও আমি ছিলাম এবং নিয়োগে স্বচ্ছতা হয়েছে। আমি রবিউল আওয়ালের কাছে কোন টাকা চাইনি। তিনি মিথ্যা বলছেন।

এদিকে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আফতাবুজ্জামান আল ইমরান অভিযোগটি হাতে পেয়েছি বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিএমডিএ’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শিবগঞ্জে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)’র কর্মকর্তা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম সেচযন্ত্রের খন্ডকালিন অপারেটর কাম রেকর্ডকিপার পদে জনবল নিয়োগ দিয়েছেন।

তবে, বিএমডিএ’র কর্মকর্তা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের দাবি, আমি কোন অর্থের বিনিময়ে কাউকে নিয়োগ দেইনি। বরং নিয়োগ কমিটির সেচযন্ত্রের খন্ডকালিন অপারেটর কাম রেকর্ডকিপার পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

এদিকে, শিবগঞ্জ বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর শিবগঞ্জ বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)’র বরাবর পৃথক দু’টি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের পারদিলালপুর গ্রামের একরামুল হকের ছেলে রবিউল আওয়াল।

লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী রবিউল আওয়াল জানান,  শাহবাজপুর ইউনিয়নের জেএল নং ৬১, গংগাহার মৌজার আরএস ৩৩০ নং দাগে অবস্থিত সেচযন্ত্র টি আমার পিতা একরামুল হক দীর্ঘ ৩৭ বছর যাবৎ পরিচালনা করে আসছেন। পিতার অসুস্থার পর থেকে আমি নিজে পরিচালনা করছি। কিন্তু গত নতুনভাবে খন্ডকালিন অপারেটর কাম রেকর্ডকিপার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২৩ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা হলেও নাম মাত্র পরীক্ষা হাজিরা খাতায় আমার সই নিয়ে ছেড়ে দেন। কিন্তু পরেরদিন বিএমডিএ’র কর্মকর্তা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম স্যার আমাকে ফোন করে ১ লাখ টাকা ঘুষ চান এবং তাকে নিয়োগ দেয়া হবে জানান। ঘুষের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমাকে নিয়োগ না দিয়ে অন্যজনকে সেখানে নিয়োগ দিয়েছেন।

এব্যাপারে শিবগঞ্জ বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)’র কর্মকর্তা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, আমার বিরুদ্ধে যে ব্যক্তি অভিযোগ করছেন তা ভিত্তিহীন। নিয়োগ বোর্ডে আমাদের বিভাগের উর্দ্ধেতম কর্তৃপক্ষের একজন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের একজন, উপজেলা কৃষি অফিসের একজন ও আমি ছিলাম এবং নিয়োগে স্বচ্ছতা হয়েছে। আমি রবিউল আওয়ালের কাছে কোন টাকা চাইনি। তিনি মিথ্যা বলছেন।

এদিকে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আফতাবুজ্জামান আল ইমরান অভিযোগটি হাতে পেয়েছি বলে জানান।