অভয়নগরে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৫৩:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১৩ বার পড়া হয়েছে
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় আওয়ামীলীগ নেতা জিয়াউদ্দিন পলাশকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে দুর্বৃত্তরা চায়ের দোকান থেকে ধরে নিয়ে যায় নওয়াপাড়া বুড়িরঘাট এলাকায় আয়কর অফিসের পেছনে। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে ফেলে রেখে যায়। পরে রাত সোয়া ১০ টার দিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আওয়ামী লীগ জিয়াউদ্দিন পলাশ অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের ইব্রাহীম হোসেন সরদারের ছেলে। তিনি নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে এলাকার লোকজন রইচ উদ্দিন শিকদার (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে ধরে মারপিট করে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রইচ উদ্দিন শিকদার একই এলাকার সিদ্দিক সরদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে সাতটার দিকে জিয়াউদ্দিন পলাশ নওয়াপাড়া গ্রামের তেঁতুলতলা মসজিদের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। ওই সময় ১০ থেকে ১২ জন চায়ের দোকান থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাকে নওয়াপাড়া বুড়িরঘাট এলাকায় আয়কর অফিসের পেছনে ভৈরব নদের তীরে বালুর স্তুপের ওপর নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। এলাকার লোকজন খুঁজে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শোভন বিশ্বাস বলেছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগে জিয়াউদ্দিন পলাশের মৃত্যু হয়েছে। তার দুই পায়ের হাঁটুর নিচে ধারালো অস্ত্রের একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া দুই হাতের কবজিতে ভোঁতা অস্ত্রের ও পিঠে লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন রইচ উদ্দিন শিকদারকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে অভয়নগর থানার ওসি ওসি মো. এমাদুল করিম বলেন, দুর্বৃত্তরা তাকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কি কারনে কেন তাকে হত্যা করা হলো পুলিশ গভীরভাবে খতিয়া দেখছে। এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযানে আছে ।