আলোচনা সভায় বক্তারা
মুন্সী মেহেরুল্লাহ যুগের দাবি পূরণ করতে এসেছিলেন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭১ বার পড়া হয়েছে
বাংলায় মুসলিম জাগরণের অগ্রপথিক মুন্সী মেহেরুল্লাহর ১৬৩তম জন্মদিন উপলক্ষে যশোরে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, মুন্সী মেহেরুল্লাহ ছিলেন যুগের সৃষ্টি। যুগের দাবি পূরণ করতে তিনি এসেছিলেন এবং তা করেছিলেন। বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে চলমান সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য তাঁর মতো মানুষের আজ খুবই প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘বাংলার মুসলিম জাগরণে মুন্সী মেহেরুল্লাহ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় শহরের প্রাচ্যসংঘ অডিটোরিয়ামে।
প্রাচ্য আকাদেমির অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লেখক, গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট বেনজীন খান, মুন্সী মেহেরুল্লাহ’র প্রপৌত্র অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মেহের মহব্বত হোসেন, জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা শাখার মজলিসে সুরা সদস্য বিশিষ্ট আইনজীবী গাজী এনামুল হক, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শামসুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক হারুন জামিল, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন ও যশোর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর।
বক্তারা বলেন, ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে রাজনৈতিক বিপর্যয়ের পর রাষ্ট্রীয় সহায়তায় খ্রিস্টান মিশনগুলো ইসলাম ও সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে। দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে হিন্দু-মুসলিমদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তর করার চেষ্টা করে। এমন সময়ে সনাতনীদের পক্ষে সোচ্চার ভুমিকা রাখেন রাজা রামমোহন রায়। অন্যদিকে ইসলাম ও মুসলিমদের পক্ষে সোচ্চার হন মুন্সী মেহেরুল্লাহ।
বক্তারা বলেন, মাত্র ৪৬ বছর বয়সে মারা যাওয়া মুন্সী মেহেরুল্লাহ ছিলেন সত্যানুসন্ধানী ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর পন্ডিত। যুগের দাবি পূরণে তিনি সাহিত্যিক হয়েছেন, ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছেন, ছিলেন অসাধারণ যুক্তিবাদী বক্তা। খ্রিস্টানদের অপপ্রচারের দাঁতভাঙা জবাব দিতে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা ও আসামের অলিতে গলিতে ছুটে গেছে বক্তব্য দিতে। চরম উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় শাসকরা তিন দিক দিয়ে বাংলাদেশকে ঘিরে আছে। দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাই মুন্সী মেহেরুল্লাহর মতো মানুষ আজ খুব দরকার। তাঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আরও বেশি চর্চা করা প্রয়োজন।