ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আদালতকে মুজিবিয় কোর্ট করেছিলো পতিত সরকার’

রাজশাহী ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পূনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকট শফিকুল হক মিলন বলেছেন, দেশের একমাত্র নারী নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মা বেগম জিয়াকে ক্ষমতার দম্ভে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে জোরপুর্বক বের করে দিয়েছিলো খুনি হাসিনা। আর তারুন্যের অহংকার বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা ও সেই মামলায় রায় দিয়ে সাজা প্রদান করেছে। শুধু তাই নয় মেরে ফেলার জন্য অমানবিক নির্যাতন করেছিলো পতিত সরকারের দোসর আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য তারেক জিয়া বর্তমানে সুদুর লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন।

তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়াকে শুধু বাড়ি থেকে বের করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা। তাকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে টাকা আত্মস্বাতের মিথ্যা মামলা দিয়ে সাড়ে ছয় বছর জেলে আটকে রেখেছিলো। বেগম জিয়াকে মেরে ফেলার উদ্যোশ্যে বাহিরে নিয়ে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়নি এই স্বৈরাচার খুনি হাসিনা। সেই ভারতের দালাল বাংলাদেশের অবৈধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার বাড়িঘর নয় দেশ থেকে পালিয়ে প্রানে বেঁচেছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেননা।

মিলন বলেন, পতিত সরকারের আমলে আইন শৃংখলাবাহিনীকে যেমন একদলীয় করে ফেলেছিলো, তেমনি আদালতকে করেছিলো মুজিবিয় কোর্ট। হাসিনার নির্দেশেই সকল রায় হতো বলে জানান তিনি। পতিত সরকারের আমলে দেশে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের প্রায় দশ হাজার নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। গুম করা হয়েছে ৭৪৬জনকে। আর এক লক্ষ বিশ হাজার মামলায় প্রায় পাঁচ লক্ষ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। দেশে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের এমন কোন নেতা নাই যার নামে একটি মামলা নাই। আর যাদের নামে মামলা হয়নি সে সকল নেতা আসলে কোন দলের তার বুঝতে কারো বাকী নাই বলে উল্লেখ করে সময়ের মৌমাছি হত সাবধান থাকার জন্য নেতাকর্মীদের আহবান জানান তিনি।

পতিত সরকারের আমলে দেশের মানুষের মৌলক অধিকার ভোটের অধিকার হরন করেছে। সর্বদা একতরফা নির্বাচন করে নিজে হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাইনয় ২০৯৬সালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে যান। কিন্তিু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। এরপর থেকে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মিলন বলেন, ঘুনে ধরা রাষ্ট্রকে ঢেলে সাজাতে এবং খুনি হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারন করতে ২০২২ সালে তারেক রহমান ২৭ দফা একটি রাষ্ট্র সংস্কার দফা দেন। সেইসাথে এই দফা নিয়ে জনগণের মতামত নেন। পরে এটা ৩১ দফায় উন্নিত হয়। এতে করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯দফার কোন ক্ষতি বা পরিবর্তন হয়নি। তিনি সে সময়ে দেশের এবং দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের এই ১৯দফা দিয়ে ছিলেন। অত্র ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩১ দফা প্রচার করার লক্ষে এই ধরনের কর্মসূচী করার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশ এখন অন্তরবর্তীকালীন সকারের অধিনে চলছে। বিএনপি এই সরকারকে সমর্থন করে। সেইসাথে সহযোগিতাও করে আসছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা কথায় কথায় দেশের মানুষকে হুমকী দিতেন। দেশের মানুষকে না খাইয়ে রাখার কথা বলতেন। তিনি মনে করতে বঙ্গভবনে সব ধরনের চাষাবাদ কওে দেশবাসীকে খাওয়াতেন। তাঁর সেই বাব দাদার বঙ্গভবন তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। তিনি এখন ভারতে বসে ষড়যন্ত করছেন। খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার আহহবান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া ইউয়িনের শীতলাই স্কুল মাঠে দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক এনামুল হক কনক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামকুড়া ইউনিয়ন পরিষদেওে সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি রাজশাহী আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহজাহান আলী ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শওকত আলী, দর্শনপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক আব্দুস সালাম মাস্টার, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক সুলতান আহমেদ, কাশিয়াডাঙ্গা থানা বিএনপি’র আহবায়ক শামীম রেজা, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান দুলাল, পবা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য আনারুল ইসলাম, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সোহেল রানা, রাজু আহমেদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী সদস্য মাজদার রহমান, সদস্য আবুল কাশেম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আরফিন কনক, পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আকতারুল জামান, সিরাজুল ইসলাম, পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফিজ, প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘আদালতকে মুজিবিয় কোর্ট করেছিলো পতিত সরকার’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পূনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকট শফিকুল হক মিলন বলেছেন, দেশের একমাত্র নারী নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মা বেগম জিয়াকে ক্ষমতার দম্ভে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে জোরপুর্বক বের করে দিয়েছিলো খুনি হাসিনা। আর তারুন্যের অহংকার বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা ও সেই মামলায় রায় দিয়ে সাজা প্রদান করেছে। শুধু তাই নয় মেরে ফেলার জন্য অমানবিক নির্যাতন করেছিলো পতিত সরকারের দোসর আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য তারেক জিয়া বর্তমানে সুদুর লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন।

তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়াকে শুধু বাড়ি থেকে বের করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা। তাকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে টাকা আত্মস্বাতের মিথ্যা মামলা দিয়ে সাড়ে ছয় বছর জেলে আটকে রেখেছিলো। বেগম জিয়াকে মেরে ফেলার উদ্যোশ্যে বাহিরে নিয়ে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়নি এই স্বৈরাচার খুনি হাসিনা। সেই ভারতের দালাল বাংলাদেশের অবৈধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার বাড়িঘর নয় দেশ থেকে পালিয়ে প্রানে বেঁচেছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেননা।

মিলন বলেন, পতিত সরকারের আমলে আইন শৃংখলাবাহিনীকে যেমন একদলীয় করে ফেলেছিলো, তেমনি আদালতকে করেছিলো মুজিবিয় কোর্ট। হাসিনার নির্দেশেই সকল রায় হতো বলে জানান তিনি। পতিত সরকারের আমলে দেশে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের প্রায় দশ হাজার নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। গুম করা হয়েছে ৭৪৬জনকে। আর এক লক্ষ বিশ হাজার মামলায় প্রায় পাঁচ লক্ষ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। দেশে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের এমন কোন নেতা নাই যার নামে একটি মামলা নাই। আর যাদের নামে মামলা হয়নি সে সকল নেতা আসলে কোন দলের তার বুঝতে কারো বাকী নাই বলে উল্লেখ করে সময়ের মৌমাছি হত সাবধান থাকার জন্য নেতাকর্মীদের আহবান জানান তিনি।

পতিত সরকারের আমলে দেশের মানুষের মৌলক অধিকার ভোটের অধিকার হরন করেছে। সর্বদা একতরফা নির্বাচন করে নিজে হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাইনয় ২০৯৬সালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে যান। কিন্তিু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। এরপর থেকে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মিলন বলেন, ঘুনে ধরা রাষ্ট্রকে ঢেলে সাজাতে এবং খুনি হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারন করতে ২০২২ সালে তারেক রহমান ২৭ দফা একটি রাষ্ট্র সংস্কার দফা দেন। সেইসাথে এই দফা নিয়ে জনগণের মতামত নেন। পরে এটা ৩১ দফায় উন্নিত হয়। এতে করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯দফার কোন ক্ষতি বা পরিবর্তন হয়নি। তিনি সে সময়ে দেশের এবং দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের এই ১৯দফা দিয়ে ছিলেন। অত্র ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩১ দফা প্রচার করার লক্ষে এই ধরনের কর্মসূচী করার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশ এখন অন্তরবর্তীকালীন সকারের অধিনে চলছে। বিএনপি এই সরকারকে সমর্থন করে। সেইসাথে সহযোগিতাও করে আসছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা কথায় কথায় দেশের মানুষকে হুমকী দিতেন। দেশের মানুষকে না খাইয়ে রাখার কথা বলতেন। তিনি মনে করতে বঙ্গভবনে সব ধরনের চাষাবাদ কওে দেশবাসীকে খাওয়াতেন। তাঁর সেই বাব দাদার বঙ্গভবন তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। তিনি এখন ভারতে বসে ষড়যন্ত করছেন। খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার আহহবান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া ইউয়িনের শীতলাই স্কুল মাঠে দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক এনামুল হক কনক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামকুড়া ইউনিয়ন পরিষদেওে সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি রাজশাহী আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহজাহান আলী ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শওকত আলী, দর্শনপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক আব্দুস সালাম মাস্টার, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক সুলতান আহমেদ, কাশিয়াডাঙ্গা থানা বিএনপি’র আহবায়ক শামীম রেজা, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান দুলাল, পবা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য আনারুল ইসলাম, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সোহেল রানা, রাজু আহমেদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী সদস্য মাজদার রহমান, সদস্য আবুল কাশেম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আরফিন কনক, পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আকতারুল জামান, সিরাজুল ইসলাম, পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফিজ, প্রমুখ।