বেড়েছে শীতে, তাপমাত্রা নামল ১১ ডিগ্রিতে
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে
একদিকে হিমেল হাওয়া, অন্যদিকে ঘন কুয়াশা। বিপাকে পড়ছেন নিম্নআয়ের মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁয়।
নওগাঁর বদলগাছী কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২ দিন তাপমাত্রা এরকমই থাকতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
নওগাঁয় শীতের তীব্র দাপট ও কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পথঘাট। কুয়াশার কারণে ছোট-বড় যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
এদিকে হাসপাতালগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, বুধবার সকাল নয়টায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তীব্র ঠান্ডায় জুবুথুবু অবস্থায় পড়েছে পঞ্চগড়ের মানুষ। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করতে দেখা গেছে অনেকেই।
ঠাকুরগাঁওয়ে এক সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ। কুয়াশার দাপটে যানবাহনের হেড লাইটের আলোতেও ১০-১৫ গজ দূরত্ব পার হওয়া যায় না। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কায় ধীর গতিতে গাড়ি চালাচ্ছন চালকরা।
চালকরা বলছেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এমন ঘন কুয়াশা আর দেখেনি বলে জানান জেলাবাসী। আগামী দিনগুলোতে কুয়াশা ও শীত বাড়ার আশঙ্কা করে সরকারসহ সমাজের বিত্তবানদের ছিন্নমূলমানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানান তারা।
চুয়াডাঙ্গায় হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমুল মানুষ। তাদের স্বাভাবিক কাজ-কর্ম ব্যহত হচ্ছে।