ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা। দু’দিন আগেও টানা তিন দিন ধরে বিশ্বের ১২৬ দেশের শহরের মধ্যে দূষণের শীর্ষে ছিল। ঢাকায় আজ বাতাসে দূষণের মাত্রা ২৭৯। যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। বাতাসের এই অবস্থা বিশেষ করে চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা রোগীসহ সুস্থ মানুষের জন্যও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

অন্যদিকে আজ বায়ুদূষণের শীর্ষ পাঁচে নেই ভারতের কোনো শহর। ২২১ মাত্রার দূষণ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইজিপটের কায়রো শহর। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। রয়েছে ইরাক ও মঙ্গোলিয়ার শহর।

সোমবার সকাল ৬টায় বাতাসের এই পরিমাপ করা হয়। বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে বায়ুদূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূচকের হিসাব অনুযায়ী তৃতীয় অবস্থানে থাকা লাহোরের দূষণমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ১৮৫, যা অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। চতুর্থ অবস্থানে থাকা ইরাকের বাগদাদ শহরে দূষণের মাত্রা ১৮২ এবং দূষণমাত্রা ১৮১ নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার উলানবাতার শহর। এই শহর দুটিতে বায়ুদূষণ মাঝারি ধরনের অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে রয়েছে।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। এ বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে বিশ্ব গত বছর রেকর্ড পরিমাণ তেল, কয়লা ও গ্যাস ব্যবহার করেছে। এগুলো বিশ্বকে উত্তপ্ত করা কার্বনদূষণকে নতুন উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম ১০ ও পিএম ২.৫), এনও ২, সিও, এসও ২ ও ওজোন (ও৩)।

সর্বশেষ পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যসমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা। দু’দিন আগেও টানা তিন দিন ধরে বিশ্বের ১২৬ দেশের শহরের মধ্যে দূষণের শীর্ষে ছিল। ঢাকায় আজ বাতাসে দূষণের মাত্রা ২৭৯। যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। বাতাসের এই অবস্থা বিশেষ করে চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা রোগীসহ সুস্থ মানুষের জন্যও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

অন্যদিকে আজ বায়ুদূষণের শীর্ষ পাঁচে নেই ভারতের কোনো শহর। ২২১ মাত্রার দূষণ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইজিপটের কায়রো শহর। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। রয়েছে ইরাক ও মঙ্গোলিয়ার শহর।

সোমবার সকাল ৬টায় বাতাসের এই পরিমাপ করা হয়। বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে বায়ুদূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূচকের হিসাব অনুযায়ী তৃতীয় অবস্থানে থাকা লাহোরের দূষণমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ১৮৫, যা অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। চতুর্থ অবস্থানে থাকা ইরাকের বাগদাদ শহরে দূষণের মাত্রা ১৮২ এবং দূষণমাত্রা ১৮১ নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার উলানবাতার শহর। এই শহর দুটিতে বায়ুদূষণ মাঝারি ধরনের অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে রয়েছে।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। এ বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে বিশ্ব গত বছর রেকর্ড পরিমাণ তেল, কয়লা ও গ্যাস ব্যবহার করেছে। এগুলো বিশ্বকে উত্তপ্ত করা কার্বনদূষণকে নতুন উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম ১০ ও পিএম ২.৫), এনও ২, সিও, এসও ২ ও ওজোন (ও৩)।

সর্বশেষ পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যসমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।