ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংসদ নির্বাচন আগামী বছর, নাকি পরে

বিশেষ প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৬:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দিন যতোই গড়াচ্ছে জোড়ালো হচ্ছে নির্বাচন ইস্যু। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ নির্বাচন হচ্ছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। এদিকে, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রূপরেখা চাইছে বিএনপি ছাড়াও কোনো কোনো রাজনৈতিক দল । অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের দিন-তারিখ নিয়ে কোনো ঘোষণা না এলেও উপদেষ্টাদের কেউ কেউ আগামী বছর নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সর্বশেষ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে অংশ নিয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমাদের এই সরকার খুবই স্বল্পকালীন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আগামী বছরেই আমরা একটি রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত সরকার দেখব।

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সরকার গঠনের পর এই অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের ওপর জোর দেয়। তবে বিএনপি দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের দাবি করে আসছে। জামায়াতে ইসলামী শুরুতে নির্বাচনের তাগিদ না দিলেও গত কয়েক দিনে দলের আমির শফিকুর রহমান দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের কথা বলেছেন।

অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যরা বরাবরই বলে আসছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন হবে। তবে সংস্কার কতটুকু হবে, তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর।

গত ২১ নভেম্বর অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়। এরমধ্য দিয়ে নির্বাচনের প্রশ্নে এক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে ৩১ অক্টোবর সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রস্তাবিত নাম থেকেই নতুন ইসি গঠন করা হয়।

গত ১৭ নভেম্বর সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কারকাজ শেষে নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। তবে নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। কিন্তু যেতে যেতে আমাদের অনেকগুলো কাজ সেরে ফেলতে হবে। এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে, সেটা নির্ভর করবে কতো তাড়াতাড়ি আমরা তার জন্য রেললাইনগুলো বসিয়ে দিতে পারি, আর তা হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের মাধ্যমে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, প্রধান উপদেষ্টা আসলে সংস্কারকাজের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সংস্কার কতোটুকু হবে, এর ওপরই নির্বাচন কবে হবে তা নির্ভর করছে।

নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান, দুর্নীতি দমনসহ ১০টি বিষয়ে সংস্কারের জন্য সরকার কমিশন গঠন করেছে। বেশির ভাগ কমিশন চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের সুপারিশ দিতে পারে। আর সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে সরকার।

সূত্রমতে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় করে কোন কোন খাতে কী কী সংস্কার করা হবে, তা ঠিক করা হবে। সংস্কারের জন্য কত সময় লাগবে, সেই সময়সীমারও ধারণা পাওয়া যাবে। তখনই জানা যাবে নির্বাচন কবে হবে।

সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে গত ১৯ নভেম্বর আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, আমরা অতি প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেবো। আমরা জাস্ট এই জিনিসটা চাই না যে আগের মতো কোনো ভুয়া নির্বাচন হোক।

এরপর ২১ নভেম্বর যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে সরকারের নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি কাঙ্ক্ষিত ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ধারণার কথা জানান। সেনাপ্রধান বলেছিলেন, ১৮ মাসের মধ্যে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে এই সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এদিকে, ২৪ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, আগামী নির্বাচন কবে হবে, তা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হবে। নির্বাচন নিয়ে যারা কথা বলছেন, সেগুলো তাদের ব্যক্তিগত মতামত।

দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি বারবারই দ্রুত নির্বাচন না হলে সংকট কাটবে না বলে আসছে। জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন নিয়ে এতোদিন তাগাদা না দিলেও দলের আমির গত ২৯ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ন্যূনতম সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দেয়া উচিত। কুমিল্লায় এক কর্মী সম্মেলনে গত শুক্রবার আবারও দ্রুত সংস্কার শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন জামায়াতের আমির।

অন্রদিকে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়ে যৌথ সংলাপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এর মধ্যে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের তাগিদকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সংসদ নির্বাচন আগামী বছর, নাকি পরে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৬:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

দিন যতোই গড়াচ্ছে জোড়ালো হচ্ছে নির্বাচন ইস্যু। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ নির্বাচন হচ্ছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। এদিকে, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রূপরেখা চাইছে বিএনপি ছাড়াও কোনো কোনো রাজনৈতিক দল । অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের দিন-তারিখ নিয়ে কোনো ঘোষণা না এলেও উপদেষ্টাদের কেউ কেউ আগামী বছর নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সর্বশেষ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে অংশ নিয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমাদের এই সরকার খুবই স্বল্পকালীন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আগামী বছরেই আমরা একটি রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত সরকার দেখব।

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সরকার গঠনের পর এই অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের ওপর জোর দেয়। তবে বিএনপি দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের দাবি করে আসছে। জামায়াতে ইসলামী শুরুতে নির্বাচনের তাগিদ না দিলেও গত কয়েক দিনে দলের আমির শফিকুর রহমান দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের কথা বলেছেন।

অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যরা বরাবরই বলে আসছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন হবে। তবে সংস্কার কতটুকু হবে, তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর।

গত ২১ নভেম্বর অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়। এরমধ্য দিয়ে নির্বাচনের প্রশ্নে এক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে ৩১ অক্টোবর সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রস্তাবিত নাম থেকেই নতুন ইসি গঠন করা হয়।

গত ১৭ নভেম্বর সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কারকাজ শেষে নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। তবে নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। কিন্তু যেতে যেতে আমাদের অনেকগুলো কাজ সেরে ফেলতে হবে। এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে, সেটা নির্ভর করবে কতো তাড়াতাড়ি আমরা তার জন্য রেললাইনগুলো বসিয়ে দিতে পারি, আর তা হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের মাধ্যমে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, প্রধান উপদেষ্টা আসলে সংস্কারকাজের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সংস্কার কতোটুকু হবে, এর ওপরই নির্বাচন কবে হবে তা নির্ভর করছে।

নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান, দুর্নীতি দমনসহ ১০টি বিষয়ে সংস্কারের জন্য সরকার কমিশন গঠন করেছে। বেশির ভাগ কমিশন চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের সুপারিশ দিতে পারে। আর সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে সরকার।

সূত্রমতে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় করে কোন কোন খাতে কী কী সংস্কার করা হবে, তা ঠিক করা হবে। সংস্কারের জন্য কত সময় লাগবে, সেই সময়সীমারও ধারণা পাওয়া যাবে। তখনই জানা যাবে নির্বাচন কবে হবে।

সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে গত ১৯ নভেম্বর আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, আমরা অতি প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেবো। আমরা জাস্ট এই জিনিসটা চাই না যে আগের মতো কোনো ভুয়া নির্বাচন হোক।

এরপর ২১ নভেম্বর যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে সরকারের নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি কাঙ্ক্ষিত ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ধারণার কথা জানান। সেনাপ্রধান বলেছিলেন, ১৮ মাসের মধ্যে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে এই সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এদিকে, ২৪ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, আগামী নির্বাচন কবে হবে, তা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হবে। নির্বাচন নিয়ে যারা কথা বলছেন, সেগুলো তাদের ব্যক্তিগত মতামত।

দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি বারবারই দ্রুত নির্বাচন না হলে সংকট কাটবে না বলে আসছে। জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন নিয়ে এতোদিন তাগাদা না দিলেও দলের আমির গত ২৯ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ন্যূনতম সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দেয়া উচিত। কুমিল্লায় এক কর্মী সম্মেলনে গত শুক্রবার আবারও দ্রুত সংস্কার শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন জামায়াতের আমির।

অন্রদিকে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়ে যৌথ সংলাপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এর মধ্যে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের তাগিদকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে রাজনৈতিক মহল।