ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০৪:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
চলতি মাসের আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসতে পারেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। সব কিছু ঠিক থাকলে এটাই হবে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ভারতীয় কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার প্রথম ঢাকা সফর। এই তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফর নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানায়নি ভারত কিংবা বাংলাদেশ পক্ষ। তবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক পরামর্শের জন্য তিনি বাংলাদেশ সফর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঢাকা ও দিল্লিতে এই সফরের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানা-শোনা আছে এমন ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কথিত হামলা এবং ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নজিরবিহীন চাপের মধ্যে রয়েছে। এসব ইস্যুতে প্রতিদিনই বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের কয়েকটি রাজ্যে বিক্ষোভ হচ্ছে।
ওই দেশের নেতারাও বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য ও প্রস্তাব করছেন। এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশের কনস্যুলেটে একটি বড় বিক্ষোভ থেকে হামলা হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়া মঙ্গলবার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় বর্মাকে তলব করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অবশ্য ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিবের সফরের এই সিদ্ধান্ত গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সাইডেলাইনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের মধ্যে একটি বৈঠকে নেয়া হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আগস্টে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর এটিই ছিল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ।
বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, পররাষ্ট্র সচিব ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করবেন। তবে সফরের এখনো এক সপ্তাহ বাকি এবং সম্পর্কের বর্তমান অবস্থার কারণে কীভাবে পরিস্থিতি এগোয় তা দেখতে হবে।
এসময় তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত হামলা এবং শেখ হাসিনার ভারতে উপস্থিতি ঘিরে ঢাকার অসন্তোষের কারণে সৃষ্ট কূটনৈতিক উত্তেজনার কথা উল্লেখ করেন। হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর তাকে প্রত্যর্পণের বিষয়েও সরব রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এর আগে সবশেষ পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শের বৈঠক ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবারের এই প্রস্তাবিত বৈঠকে ভারতের অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প পুনরায় শুরু করা, ভিসা ব্যবস্থার সহজীকরণ, সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানো এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বাংলাদেশ এই সফরকে এগিয়ে নিতে আগ্রহী। কারণ একে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমানো এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দ্বিতীয় একটি সূত্র জানায়, যদি সফরটি হয় তাহলে ড. ইউনূসের সঙ্গে বিক্রম মিশ্রির বৈঠকের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাবে না।