পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫০:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ৯৩ বার পড়া হয়েছে
খুলনায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগীয় পরিচালক বিকাশ কুমার দাসের (৫৫) বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিয়ে না করায় এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী স্বাস্থ্যকর্মী মোসা: আঞ্জুমান (৩৫) পরিবার পরিকল্পনা বিভাগীয় পরিচালক বিকাশ কুমার দাসের বিচার ও বিয়ের দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী ।
ভুক্তভোগী তার অভিযোগে জানান, বিকাশ কুমার দাস ২০১৮ সালে মেহেরপুরে চাকরিরত অবস্থায় আমার সাথে পরিচয় হয়। সে ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা বলে আমাকে ব্লাকমেইল করে। সে বিয়ের কথা বলে ২০১৮ সাল থেকে দিনের পর দিন আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। আমাকে বিয়ে করবে বলে আমার পরিবারের সাথে সু-সম্পর্ক তৈরী করে এবং সে আমাদের বাড়িতে বেড়াতেও গেছে ।
২০২০ সালের বিকাশ কুমার দাস চাকরি থেকে ট্রান্সফার হয়ে খুলনায় আসে।আমাকে খুলনায় আসতে একাধিকবার চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু আমি তাকে বিয়ের কথা বললেই সে বিষয়টি এড়িয়ে যায় ও কালক্ষেপণ করতে থাকে।
এক পর্যায় আমি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে আমার সাথে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয় ও হুমকি প্রদান করে। এখন সে আমাকে বিয়ে না করে বিভিন্ন জায়গায় আমার সম্পর্কে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করে আমাকে সামাজিকভাবে হেও করছে।
সে ব্লাগ মেইল করে যেভাবে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে আমি তার বিচার চাই। আমার অধিকার ফিরে পেতে চাই, তাকে আমি বিয়ে করতে চাই।
অভিযোগ কারী আরো জানান, বিকাশ বাগেরহাট, সুনামগঞ্জসহ যেসব জেলায় সে চাকরি করেছে প্রত্যেক জায়গায় তার নারী ঘটিত অসংখ্য অভিযোগ শুনছি। সে তার চাকরী জীবনে অনেক সহজ সরল মেয়েদের ইজ্জত নষ্ট করেছে। সে আমার জীবন ধ্বংস করেছে। আমি লোক লজ্জার ভয়ে মানুষের সামনে বের হতে পারি না। আমি তার বিচার চাই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই বিকাশ কুমার দাস নিজেকে একজন আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করতেন ও বিভিন্ন সরকারি প্রোগ্রামে রাজনৈতিক বক্তব্য দিতেন। আওয়ামী লীগের সাথে তার সখ্যতা থাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে একাধিকবার পদোন্নতী লাভ করেছে।
পরিবার পরিকল্পনায় কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, বিকাশ কুমার দাসের চারিত্রিকভাবে সমস্যা রয়েছে।
সে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে তার নারী সহকর্মীদের গভীর রাতে ফোন দিতেন ও জরুরি সাক্ষাতের কথা বলে তার রুমে ডেকে নিতেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় চরিত্র নিয়ে তার বিরুদ্ধে কথা বলতে কেউ সাহস পাননি।
এ বিষয়ে বিকাশ কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মেহেরপুর থাকাকালীন আঞ্জুমান এর সাথে আমার পরিচয় হয়। আমার পরিবার বাড়িতে ছিল, তার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। আমি তার বাড়িতেও গিয়েছি। কিন্তু ধর্ম পরিবর্তন করে তাকে বিয়ে করবো একথা তাকে কখনো বলি নাই বলে জানান এই কর্মকর্তা।