ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচুরিপানায় আটকে ছিলো নিখোঁজ বেদের মরদেহ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:১১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নিখোঁজের ১০ দিন পর খাল থেকে এক বেদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মো.খোকন হোসেন (৬৫) লক্ষীপুর পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের মজুপুর গ্রামের সর্দার বাড়ির আব্দুল ওহাবের ছেলে। তিনি বর্তমানে বেগমগঞ্জের আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের বেদে পল্লীর পলোয়ানপুল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের ওয়াপদা খাল থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত খোকন তিন বিয়ে করেন। ছোট স্ত্রীর সাথে তিনি আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের চরওয়াপদা খাল পাড়ে বসবাস করতেন। গত ১০ নভেম্বর তার স্ত্রী বেগমগঞ্জ থানায় তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে সাধারণ ডায়েরি জিডি করেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত একটার দিকে এক জেলে ওয়াপদা খালে মাছ ধরতে যায়। সেখানে টর্চ লাইটের আলোয় জেলে দেখতে পান একটি মরদেহ খালে ভাসমান অবস্থায় কচুরিপানায় আটকে আছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ভোর রাতের দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে।

বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বখতিয়ার আলম বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। লাশ পঁচে যাওয়ায় শরীরে কোনো আঘাতের চিহৃ আছে কিনা বুঝা যায়নি। নিহতের পরিবার ধারণা করছে, নিহত খোকন স্ট্রোকের রোগী ছিলেন। স্ট্রোকের করে হয়তো খালে পড়ে গেলে তিনি আর উঠতে পারেননি। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কচুরিপানায় আটকে ছিলো নিখোঁজ বেদের মরদেহ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:১১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নিখোঁজের ১০ দিন পর খাল থেকে এক বেদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মো.খোকন হোসেন (৬৫) লক্ষীপুর পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের মজুপুর গ্রামের সর্দার বাড়ির আব্দুল ওহাবের ছেলে। তিনি বর্তমানে বেগমগঞ্জের আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের বেদে পল্লীর পলোয়ানপুল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের ওয়াপদা খাল থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত খোকন তিন বিয়ে করেন। ছোট স্ত্রীর সাথে তিনি আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের চরওয়াপদা খাল পাড়ে বসবাস করতেন। গত ১০ নভেম্বর তার স্ত্রী বেগমগঞ্জ থানায় তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে সাধারণ ডায়েরি জিডি করেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত একটার দিকে এক জেলে ওয়াপদা খালে মাছ ধরতে যায়। সেখানে টর্চ লাইটের আলোয় জেলে দেখতে পান একটি মরদেহ খালে ভাসমান অবস্থায় কচুরিপানায় আটকে আছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ভোর রাতের দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে।

বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বখতিয়ার আলম বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। লাশ পঁচে যাওয়ায় শরীরে কোনো আঘাতের চিহৃ আছে কিনা বুঝা যায়নি। নিহতের পরিবার ধারণা করছে, নিহত খোকন স্ট্রোকের রোগী ছিলেন। স্ট্রোকের করে হয়তো খালে পড়ে গেলে তিনি আর উঠতে পারেননি। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।